পরীক্ষাকেন্দ্রের পরিবেশ সম্পর্কে প্রতিবেদন | প্রতিবেদন | ভাষা ও শিক্ষা , আজ ৭টি শিক্ষা বোর্ডের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা সারা দেশব্যাপী একসঙ্গে শুরু হয়েছে। বোর্ড এবং সরকারের পক্ষ থেকে পরীক্ষা হলে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা, নকল-প্রবণতা রোধ ও পরীক্ষার পরিবেশ বজায় রাখার জন্য পর্যাপ্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে জাতীয় দৈনিক ও টিভি সংবাদেও পরীক্ষা কেন্দ্রের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সতর্ক দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে। একটি জাতীয় দৈনিকের স্থানীয় সংবাদদাতা হিসেবে আমি পরীক্ষার প্রথম দিন কুমিল্লা সরকারি কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন করি। আজ ছিল ইংরেজি পরীক্ষা।
পরীক্ষাকেন্দ্রের পরিবেশ সম্পর্কে প্রতিবেদন
প্রথম দর্শনেই গেটের বাইরের শৃঙ্খলা দেখে পরীক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ সম্পর্কে আমার উপলব্ধি সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে। সীমানা প্রাচীরবেষ্টিত কেন্দ্রে একটি মাত্র গেট দিয়ে সকাল ৯টায় পরীক্ষার্থীদের হলে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের গেটের ভেতরে ঢোকার আগে দেহ তল্লাশি করা হচ্ছিল, যদিও কারো কাছেই কিছু পাওয়া যাচ্ছিল না। সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের দৃশ্যটি ছিল প্রশংসনীয়।
যে কারণে পরীক্ষার্থী ছাড়া অন্য কেউই কেন্দ্র সীমানায় প্রবেশ করার কোনো সুযোগ ছিল না। বাইরে বিপুল অভিভাবক ও দর্শনার্থী থাকলেও কোনোরূপ হইচই ছিল না। কলেজের বাইরে পুলিশ ও স্কাউটরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করে। কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরের ফটোস্ট্যাট দোকানগুলো গতদিন থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরিবেশের বিঘ্ন হতে পারে এমন ধরনের দোকানপাটও কয়েকটি বন্ধ থাকতে দেখা যায়।
বেলা ১০টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা শুরু হলে কলেজের একমাত্র গেইটটি ভেতর থেকে তালাবদ্ধ করে দেওয়া হয়। কোনো প্রকার রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব কিংবা স্থানীয় কোনো প্রভাবশালী লোককে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয় নি। কলেজের শিক্ষকগণ পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করেন। কয়েকজন ভ্রমমাণ পরিদর্শকও ছিলেন। প্রায় ৮০০ শিক্ষার্থী এই কেন্দ্রে পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়। ১৮টি কক্ষে, পরিবেশই ছিল শান্ত ও সুশৃঙ্খল ।

প্রতি বেঞ্চে ২ জন করে পরীক্ষার্থী আসন গ্রহণ করে। প্রতিটি কক্ষের পরীক্ষাকেন্দ্র এবং হলের পরিবেশ সম্পর্কে পরীক্ষার্থী মাহমুদা আকতার মন্তব্য করেন : ‘পরীক্ষাকেন্দ্রের পরিবেশ এবং হলের পরিবেশ ছিল খুবই ভালো— যা আমাদেরকে মনোযোগী হয়ে পরীক্ষা দিতে সাহায্য করে।” এ সম্পর্কে কলেজের অধ্যক্ষ ড. এম. এ রশীদ উল্লেখ করেন— ‘আমরা সুন্দর-সুশৃঙ্খল এবং নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা নেওয়ার জন্যে প্রয়োজনীয় সব ধরনেরই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি; এ ব্যাপারে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং স্থানীয় প্রশাসনসহ সবাই আমাদেরকে সর্বতোভাবে সাহায্য করেছে। ‘
সাম্প্রতিক কালে দেশের প্রায় সবকটি পরীক্ষা কেন্দ্রেই সুশৃঙ্খল পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও এ কেন্দ্রটির পরিবেশ ছিল লক্ষ করার মতো। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কেন্দ্রটি রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হওয়ায় এবং স্থানীয় লোকজন ও অভিভাবকদের সচেতন সহযোগিতায় কেন্দ্রটির ভেতরে ও বাইরে সর্বত্র সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে।
আরও দেখুন: