শব্দ ও পদ এবং পদের শ্রেণিবিভাগ | ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি | ভাষা ও শিক্ষা , শব্দ : শব্দ বস্তু বা ভাবের দ্যোতক। অর্থপূর্ণ ধ্বনি ও ধ্বনিসমষ্টিকে ‘শব্দ’ বলা হয়। যেমন : অ + সৃ + অ + + অ – অলস। অলস শব্দটি শ্রমবিমুখ, মদ্ধর, জড়প্রকৃতিবিশিষ্ট ভাবের দ্যোতক। এভাবে এক-একটি শব্দ প্রকাশ করে একটি বা একাধিক অর্থ বা ভাব বা ধারণা।
শব্দ ও পদ এবং পদের শ্রেণিবিভাগ | ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি | ভাষা ও শিক্ষা
পদ : বাক্যের অন্তর্গত বিভক্তিযুক্ত শব্দের প্রত্যেকটি একেকটি পদ (parts of speech)। শব্দগুলো যখন বাক্যে ব্যবহৃত হয় তখন এগুলোর রূপ যায় পাল্টে। অর্থাৎ বাক্যে ব্যবহৃত হতে হলে সাধারণভাবে শব্দের সঙ্গে বিভক্তি জুড়ে দিতে হয়, তাতেই শব্দটি ‘পদ’ হয়ে যায়। যেমন : এ কলমে (কলম+এ) লেখে ভাল।
পদ নির্মাণে যে সব লগ্নক (affix) ব্যবহৃত হয় প্রচলিত ব্যাকরণে তার নাম বিভক্তি (inflectional suffix) ।
উপরের উদাহরণে ‘কলম’ শব্দটির সঙ্গে ‘এ’ বিভক্তি যুক্ত হয়েছে। বাংলার মতো স্বপ্ন বিভক্তির ভাষায় কোনো বিভক্তি না জুড়লেও (‘শূন্য’ বিভক্তি জুড়লেও) শব্দটি পদ বলেই গণ্য হবে। বাক্যে ব্যবহৃত হলেই শব্দ – পরিচয় আচ্ছন্ন হয়, ‘পদ-পরিচয়’ প্রধান হয়ে ওঠে। নিচে শব্দ ও পদের পার্থক্য লক্ষ কর :
প্রথাগত ব্যাকরণের আলোকে পদের শ্রেণিবিভাগ
পদ পাঁচ প্রকার। পাঁচ প্রকার পদের আবার উপশ্রেণী রয়েছে, রয়েছে নানাবিধ কার্যক্রম ও ব্যবহারের রীতি-নীতি।
একনজরে পদের শ্রেণিবিন্যাস নিচের রেখাচিত্রে লক্ষ করা যাক–
পদ
|
————————————————-
| |
স্বরবর্ণ পদ ব্যঞ্জনবর্ণ পদ
| |
——————— —————————-
| | | |
সর্বনাম ক্রিয়া বিশেষ্য বিশেষণ
| |
—————- ——————-
| | | |
সাধারণ Proper গুণবাচক পরিমাণবাচক
বিশেষ্য বিশেষ্য বিশেষণ বিশেষণ
ব্যাখ্যা:
- পদ প্রধানত স্বরবর্ণ পদ ও ব্যঞ্জনবর্ণ পদে বিভক্ত।
- স্বরবর্ণ পদ হলো স্বরযুক্ত শব্দ, যেমন সর্বনাম, ক্রিয়া।
- ব্যঞ্জনবর্ণ পদ হলো ব্যঞ্জনযুক্ত শব্দ, যেমন বিশেষ্য, বিশেষণ।
- বিশেষ্য আবার সাধারণ বিশেষ্য ও Proper (ব্যক্তি/স্থান নাম) বিশেষ্যে বিভক্ত।
- বিশেষণ হলো গুণবাচক ও পরিমাণবাচক।
আপনি চাইলে এই রেখাচিত্র আরও বিস্তারিত বা ভিজ্যুয়াল আকৃতিতে নিতে পারেন।

আরও দেখুন: