পক্ষ পুরুষ | ব্যাকরণিক সংবর্গ । বাংলা ভাষা ও ব্যাকরণ

ভাষা ও শিক্ষা পর্বে পক্ষ পুরুষ নিয়ে আজকের আলোচনা | এই পাঠটি “ভাষা ও শিক্ষা” বিভাগের “ব্যাকরণিক সংবর্গ ” বিষয়ের একটি পাঠ।

 

পক্ষ পুরুষ | ভাষা ও শিক্ষা

পক্ষ(পুরুষ) | ভাষা ও শিক্ষা

 

আমি কথা বলি । তুমি শোন । যে কথা বলে সে বক্তা। যে শোনে সে শ্রোতা । আর যদি কথা বলার সময় আরেক জনের সম্পর্কে বলা হয়, যে উপস্থিত নেই । তবে তাকে বোঝানোর জন্য আমরা কী বলব? কথা বলার সময় বক্তা নিজেকে বোঝানোর জন্য ব্যবহার করে ‘আমি’। শ্রোতাকে বোঝানোর জন্য ‘তুমি’। আর যে তৃতীয়জন, বক্তাও নয় শ্রোতাও নয়, তাকে বোঝানোর জন্য ব্যবহার করি ‘সে’। যেমন-সে, তুমি ও আমি মিলে কাজটি করব। ‘আমি’, ‘তুমি’ ও ‘সে’ এগুলো সর্বনাম। তা আমরা জানি ।

যা জানি না, তা হল বক্তা, শ্রোতা ও তৃতীয় ব্যক্তি অনুসারে এগুলোকে ভাগ করা হয় তিনটি শ্রেণিতে। ব্যাকরণের ভাষায় এগুলোকে বলে পক্ষ বা পুরুষ। বক্তা পক্ষ হচ্ছে উত্তম পুরুষ। শ্রোতা পক্ষ হচ্ছে মধ্যম পুরুষ বা দ্বিতীয় পুরুষ। আর অন্যজন বা অন্য পক্ষ হচ্ছে প্রথম পুরুষ বা নামপুরুষ ।

তাহলে পক্ষ বা পুরুষ কাকে বলে? শব্দের যে রূপ বা বৈশিষ্ট্য দ্বারা বক্তা, শ্রোতা বা উদ্দিষ্ট ব্যক্তিকে নির্দেশ করা হয়, তাকে শব্দের ‘পক্ষ বা পুরুষ’ বলে। অথবা, ব্যক্তি বা বস্তু নির্দেশক সর্বনামকেই ব্যাকরণে পক্ষ বা পুরুষ বলে। যেমন : নিচের অনুচ্ছেদে পক্ষ বা পুরুষবাচক পদগুলোর ব্যবহার লক্ষ করা : পড়া শেষ করে আমি বল খেলতে যাব। আমরা পনেরো জন মিলে একটি দল করেছি। বিপক্ষ দলে যারা খেলে তারা আমাদের চেয়ে দুর্বল নয়।

 

পক্ষ(পুরুষ) | ভাষা ও শিক্ষা

 

আমার বন্ধু রাফিকে বললাম, “তুমি ওদের ভয় পেয়ো না। ওরা যত শক্তিশালীই হোক, আমাদের মনোবল থাকলে আমরা জিতবই। শিমুল ওদের দলনেতা। তোমরা সাহসের সঙ্গে খেলবে।” রাফি আমাকে সমর্থন করে আরও সাহসী হতে বলল । উপরের অনুচ্ছেদে তিন ধরনের ব্যক্তি রয়েছে। ব্যাকরণে এদের বক্তা বা পুরুষ বলে । এই পক্ষ একজন বা একাধিক হতে পারে। অনুচ্ছেদে মোটা হরফে লেখা শব্দগুলো তিন ধরনের পক্ষ নির্দেশ করে। যেমন- বক্তাপক্ষ বক্তা নিজে ও তার বন্ধুরা শ্রোতাপক্ষ অন্যপক্ষ শ্রোতা ও তার বন্ধুরা অন্য ব্যক্তি ও তার বন্ধু আমি, আমরা, আমাদের, আমার । তুমি, তোমরা । ও, ওরা, ওদের।

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

আরও দেখুন:

Leave a Comment