নৈতিকতার অবক্ষয় ও নৈতিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা | শিক্ষাবিষয়ক | বাংলা রচনা সম্ভার

নৈতিকতার অবক্ষয় ও নৈতিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা | শিক্ষাবিষয়ক | বাংলা রচনা সম্ভার ,  ভূমিকা : বিজ্ঞানের অশেষ আশীর্বাদপুষ্ট আমাদের এই বিশ্ব পরিবর্তিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। দ্রুত এগিয়ে চলছে এর গতির চাকা, এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে ধর্ম-জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশেষে পৃথিবীর সকল রাষ্ট্রের মানুষ । তাই উন্নতির চিন্তা, কথা, স্লোগান ও ছাপ আজ সর্বত্রই সুস্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। দিন দিন সমৃদ্ধ হচ্ছে মানুষের জ্ঞান, প্রসারিত হচ্ছে তার অধিকৃত অঞ্চলের পরিধি। অবস্থান সুদৃঢ় করার চেষ্টা চলছে নিরন্তর। দু হাতে আসছে বিত্ত। আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য সৃষ্টি হয়েছে বহুমাফিক সুযোগ। কিন্তু এই প্রাচুর্য আর বিত্ত-বৈভবের মাঝে চিত্তের লালন-পালন প্রায় নেই বললেই চলে।

নৈতিকতার অবক্ষয় ও নৈতিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা | শিক্ষাবিষয়ক | বাংলা রচনা সম্ভার

নৈতিকতার অবক্ষয় ও নৈতিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা

নৈতিকতার গুরুত্বও শূন্যের কোঠায়। আধিপত্য বিস্তারকারী প্রজাতি হিসেবে আমরা যখন বিশ্ব, বিত্ত ও অবস্থান করতলগত করার ঐকান্তিক অভিপ্রায়ে লিঙ্গ, তখন আমাদের বিস্ত ভৃত্য সেজে গোলামি করছে নীতিহীনতার; অন্যায় অবিচারের ধারক-বাহক হিসেবে বিপথে চালিত করছে আমাদেরকে। আকাশছোঁয়া জ্ঞান ও বিত্তের পাহাড় একদিকে আমাদের জীবনযাত্রাকে উন্নত করছে, অন্যদিকে ক্ষয়িষ্ণু নৈতিকতা আমাদের নিত্যসঙ্গী হয়ে মানবজীবনকে নিম্নগামী করছে।

নৈতিকতার অবক্ষয় ও নৈতিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা | শিক্ষাবিষয়ক | বাংলা রচনা সম্ভার

 

ফলে এক বিপন্নতার মুখোমুখি আমরা; চরম অবক্ষয়ের সম্মুখীন আমাদের নৈতিকতা। সারবস্তুহীন আধুনিকতার খোলস আমাদের কাঁধে চেপেছে আরব্য রজনীর দৈত্য হয়ে, বিদেশী অপসংস্কৃতির আগ্রাসনের মধ্যে গা ভাসাচ্ছি আমরা নির্দ্বিধায়। শিক্ষা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য আমাদের কাছে মনে হচ্ছে অপ্রয়োজনীয়। নৈতিক অবক্ষয় ভাই বেড়ে চলেছে অনিয়ন্ত্রিতভাবে। সমাজের বুকে নেমে এসেছে নৈরাজ্য, অশান্তি আর হতাশা। স্বর্গীয় শান্তির পরিবর্তে নেমে এসেছে নরক যন্ত্রণা, সৃষ্টি হয়েছে অসহনীয় পরিবেশ। নৈতিকতার অবক্ষয়াই এর মূল কারণ। এর আও প্রতিকার তাই একান্ত জরুরি।

নৈতিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা : সুষ্ঠু সামাজিক পরিস্থিতি, সুসংগঠিত জীবন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও সমৃদ্ধ জীবনের জন্য নৈতিক শিক্ষার পরিচর্যা, অনুশীলন ও প্রয়োগের কোনো বিকল্প নেই, বরং পরিপূর্ণ জীবন নিশ্চিত করতে প্রথম ও সর্বশেষ অপরিহার্য শর্ত হলো নৈতিক শিক্ষা । সমাজে বিরাজমান অনাচার ও অবিচার, নৈরাজ্য, অশান্তি, চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, খুন, রাহাজানি, ধর্ষণ, অপহরণ, শোষণ, নিষ্পেষণ প্রভৃতির মূলে আছে নৈতিকতার অবক্ষয়। নৈতিক অবক্ষয়ের শিকার মানুষ যে কোনো কাজ নির্দ্বিধায় করতে পারে।

তার বোধের স্বচ্ছতা নেই, সিদ্ধান্তের লাগাম নেই, বিবেকের তাড়না বা দংশন নেই। তার নিকট আলো-অন্ধকার, ন্যায়-অন্যায়, ভালোমন্দ, সুন্দর- কুৎসিত সবই এক। নৈতিকভাবে অবক্ষয়গ্রস্ত মানুষের সমাজের কল্যাণমূলক কোনো ভাবনা নেই, তার জন্য প্রচেষ্টাও নেই। ফলে সমাজের বুকে জগদ্দল পাথর হয়ে বসে এরা নানা অনিষ্ট আর অমঙ্গলের ধারক-বাহক হিসেবে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। এরা সমাজ ও জাতিকে নিক্ষেপ করে নৈরাজ্য ও অন্ধকারের অতলে।

এই নারকীয় অবস্থা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য নৈতিক শিক্ষা অপরিহার্য। এতে করে মানুষের মধ্যে নৈতিকতার সঠিক মূল্যায়ন হবে। তারা এর প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করতে পারবে। এর ফলে মানবিকতা জাগ্রত হবে এবং সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। কেননা নৈতিক শিক্ষা মানুষের চেতনাকে জাগ্রত ও বোধকে শাণিত করে, জ্ঞানকে করে স্বচ্ছও সমৃদ্ধ । সত্য ও সুন্দরের পূজারী হতে শেখায় এই নৈতিক শিক্ষা ।

নৈতিকতার অবক্ষয়ের কারণ : নৈতিকতার অবক্ষয়ের জন্য একক কোনো বিষয় বা পরিস্থিতি দায়ী নয় । বরং নানা অবস্থা এর পেছনে ভূমিকা রাখছে। তবুও কিছু দিক ও বিষয় বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য :

১. পারিপার্শ্বিকতা : আমাদের পারিপার্শ্বিকতায় আজ লেগেছে ক্ষয়। বনাঞ্চলের ক্ষতির সাথে সাথে মনের অঞ্চলের ক্ষতি একেবারে কম নয়। চারদিকে ক্ষুদ্র গণ্ডি থেকে শুরু করে বৃহৎ পত্তি, ঘরের দরজা থেকে বৃহত্তর সমাজ, পারিবারিক পরিবেশ থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়—সবখানে নৈতিকতার অধঃগতি। এ অধঃগতির শিকার সমাজের সর্বস্তরের মানুষ। ছোট থেকে বড়, নবীন থেকে প্রবীণ কেউ বাদ পড়ছে না । নৈতিকতার অবক্ষয়ের জন্য আমাদের পারিপার্শ্বিকতা প্রধানভাবে দায়ী ।

২. অশিক্ষা ও কুশিক্ষা : সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের শিক্ষার হার আশানুরূপভাবে বাড়লেও নৈতিকতার উন্নতি হয়নি। বরং নৈতিকতার অবক্ষয় প্রকট থেকে প্রকটতর হচ্ছে। এ অবক্ষয় ও অবনতি অশিক্ষা ও কুশিক্ষার ফল। অশিক্ষা মানুষকে অন্ধকারে রেখে দেয়। আলোকিত পথ তাই অশিক্ষিত মানুষের নিকট রুদ্ধ। সে কারণে অনৈতিক পথ বেছে নেয়াও তার জন্য খুবই সাধারণ ও স্বাভাবিক ব্যাপার। পাশাপাশি কুশিক্ষাও সমান হারে বেড়ে যাচ্ছে আমাদের দেশে। শিক্ষার পাঠ্যক্রম, শিক্ষাদান পদ্ধতি ও পরিবেশ, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্ক প্রায়শই কুশিক্ষার পথ প্রশস্ত করছে। সে কারণে কাগজে-কলমে শিক্ষিত হলেও অনৈতিক কার্যকলাপ কমছে না। বরং সমাজের উচ্চশ্রেণী তথা উচ্চ শিক্ষিতরাই আজ সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত।

৩. বিদেশী অপসংস্কৃতির আগ্রাসন মুক্ত আকাশ আর মুক্ত বাণিজ্যের এই বাধাহীন বিশ্বে বিদেশী অপসংস্কৃতির প্রবেশের পথ আজ উন্মুক্ত। ফলে বাংলাদেশের সংস্কৃতির স্বচ্ছতাকে টেক্কা দিয়ে বিশাল থাবাসহ এগিয়ে আসছে বিদেশী অপসংস্কৃতি । ডিশ ও ইন্টারনেটের বহুমুখী সুবিধাকে ডিঙিয়ে অসুবিধাগুলো বেড়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত এবং বিপথগ্রস্ত করছে যুবসমাজকে। তারা যৌবনের স্বাভাবিক আকর্ষণে নগ্নতা আর অশ্লীলতার পূজারী হয়ে উঠছে । নৈতিকতার প্রশ্নে তাদের কোনো বিবেচনা থাকছে না ।

নৈতিকতার অবক্ষয় ও নৈতিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা | শিক্ষাবিষয়ক | বাংলা রচনা সম্ভার

 

৪. দারিদ্র্য : একবিংশ শতাব্দীতে এসেও আমাদের দেশ দারিদ্র্যের করালগ্রাস থেকে মুক্ত হয়নি। বরং এখনো এই স্বাধীন দেশের ৩৩.৭% লোক দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। জীবনের ন্যূনতম প্রয়োজন ও চাহিদা পূরণ করতে ব্যর্থ এই সব লোক জীবন ও জীবিকার তাগিদে দিশেহারা হয়ে বিভিন্ন অনৈতিক কাজ যেমন— চুরি, ডাকাতি, রাহাজানির আশ্রয় নিচ্ছে। সরাসরি অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ছে অনেকে, আবার অনৈতিক ও অপকর্মের পরোক্ষ সহযোগী হয়ে দাঁড়াচ্ছে অগণিত মানুষ।

৫. বেকারত্ব বেকার সমস্যা যে কোনো দেশের জন্যই অভিশাপ। বেকারত্বের কারণে একদিকে কর্মশক্তিকে কাজে না লাগিয়ে অপচয় করা হয়, অন্যদিকে ঐসব জনশক্তি জীবন ধারণের জন্য, সমাজে অবস্থান ধরে রাখার জন্য অনৈতিক কাজে অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশের জনসংখ্যার একটা বিরাট অংশ বেকার। এ বিপুল জনশক্তির কিছু অংশ উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সামান্য সম্পত্তির দেখাশোনায় নিয়োজিত। বাকি সিংহভাগের কোনো কাজ নেই। এরা জীবন ও কর্ম সম্বন্ধে হতাশ — তাই এই বিশাল সংখ্যক লোক নানা অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ে এবং নৈতিক অবক্ষয় ঘটে।

৬. আভিজাত্য ও কুসংস্কার : অনেক ক্ষেত্রে মিথ্যা খোলসযুক্ত আভিজাত্য ও আজন্য লালিত কুসংস্কার মানুষকে অনৈতিক ও অমানবিক কাজের দিকে ঠেলে দেয়। আভিজাত্যের মিথ্যা অহঙ্কার, সমাজের বুকে চেপে বসার উদ্ভট মানসিকতা মানুষকে নৈতিক বিষয়ে অন্ধ ও অজ্ঞ করে ফেলে। এ চিত্র দেখা যায় বিশেষত গ্রাম্য মাতব্বর ও মোড়লদের ক্ষেত্রে। বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে অশান্তির মূল কারণ হিসেবে আভিজাত্য ও কুসংস্কারকে অনেকাংশে দায়ী করা যায়। অন্যদিকে কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষের কোনো স্বচ্ছ বিবেচনা নেই। নিজস্ব বিবেক ও বুদ্ধিপ্রসূত কোনো মতামত ও সিদ্ধান্ত নেই বলে নৈতিক প্রশ্নেও তারা অন্ধ ।

৭. ধর্মের প্রতি উদাসীনতা : দিন দিন ধর্ম ও ধর্মীয় কাজের প্রতি এক শ্রেণীর মানুষের মধ্যে উদাসীনতা প্রকটভাবে দেখা যাচ্ছে । এরা না করছে কোনো নীতির প্রতিষ্ঠা ও অনুসরণ, আবার না করছে প্রতিষ্ঠিত নীতির লালন। ফলে অনৈতিক কাজের পরিমাণ ও পরিধি বেড়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নৈতিকতার যে চরম অবক্ষয় লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তার মূলে রয়েছে ধর্মীয় কাজে উদাসীনতা ও অবজ্ঞা । এভাবে নানা কারণে বাংলাদেশে নৈতিকতার অবক্ষয় আজ চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।

নৈতিক অবক্ষয়ের প্রতিকার : সর্বগ্রাসী ও সর্বত্র বিরাজমান নৈতিকতার অবক্ষয় কোনো যান্ত্রিক প্রক্রিয়া নয় বলে হঠাৎ করে কঠোর, কঠিন পদ্ধতি ও পদক্ষেপ গ্রহণ করে এর তাৎক্ষণিক প্রতিকার অসম্ভব। তাই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও প্রচেষ্টার আওতায় ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করলে এই অবক্ষয় প্রতিরোধ ও নিশ্চিহ্ন করা সম্ভব। এর জন্য সমাজের সকল স্তরের মানুষের ঐকান্তিক ইচ্ছা ও সাধনা এবং ধারাবাহিক সমর্থন একান্ত অপরিহার্য। কিছু কিছু দিকে বিশেষ সুদৃষ্টি দিলে অবক্ষয় দূরীকরণের এই বিশাল কঠিন কাজ সহজ হতে পারে :

১. সুশিক্ষা জাতিকে শুধু অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন নয়, বরং সুশিক্ষিত করার ব্রত সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের থাকা : দরকার। সুশিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তি কোনো পরিস্থিতিতে অনৈতিক চিন্তা ও কাজে নিজেকে জড়াতে পারে না, এমনকি সমর্থনও দিতে পারে না। তিনি ভালোকে ভালো, মন্দকে মন্দ বলতে শেখেন। আমাদের বিশাল জনশক্তি এখনো অন্ধকারের মধ্যে দিনাতিপাত করছে বিধায় নৈতিকতার বোধ তাদের কম। এ কারণে এই সব মানুষকে জাগাতে হবে।

পাঠ্যক্রমে বিষয় নির্ধারণের ক্ষেত্রে স্মরণ রাখা আবশ্যক যে, কোনো বিষয় অধ্যয়ন শেষে শিক্ষার্থীর যেন কোনো অনৈতিক কাজের ইচ্ছা জান্নাত না হয়। আমাদের সংস্কৃতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিষয়ের ওপর জোর দেয়া আবশ্যক । একজন শিক্ষার্থী এতে নিজস্ব পরিচয় ভালো করে জানবে এবং নৈতিক প্রশ্নে অটল থাকবে ।

২. অপসংস্কৃতির আগ্রাসন রোধ নৈতিকতার অবক্ষয়ের ক্ষেত্রে বিদেশী অপসংস্কৃতির আগ্রাসন প্রতিরোধের পাশাপাশি দেশীয় কোনো মহল যেন অপসংস্কৃতির অনুপ্রবেশ ঘটাতে না পারে, সেদিকে নজর দেয়া একান্ত আবশ্যক। সে কারণে বিদেশী অর্থহীন মারদাঙ্গা ছবি, ডিশের অশ্লীল চ্যানেল, অশ্লীল পত্রপত্রিকা প্রভৃতির ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। সেই সাথে নিজস্ব পরিমণ্ডলে নিজস্ব সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাতে হবে। সমৃদ্ধ করতে হবে আমাদের ঐতিহ্যের বিভিন্ন দিক। উঠতি প্রজন্য যেন গর্ববোধ করে তার নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য নিয়ে । তবেই নৈতিকতার সুদৃঢ় ভিত্তি স্থাপিত হবে ।

৩. ধর্মীয় শিক্ষা : ধর্মীয় শিক্ষাকে শৈশব থেকেই আত্মস্থ করার ব্যবস্থা করতে হবে। এ জন্য গ্রাম্য মসজিদ, মক্তব, মাদ্রাসার পাশাপাশি সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং পারিবারিক পরিমণ্ডল ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে। সকল ধর্মে নৈতিক শিক্ষার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। কঠোর নীতিমালা অনুশীলন করার সুস্পষ্ট নির্দেশও আছে। তাই প্রকৃত ধর্মীয় শিক্ষা নৈতিক অবক্ষয় প্রতিরোধে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হতে পারে।

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

উপসংহার : নৈতিক অবক্ষয় রোধে সমাজের সকলের সর্বাত্মক সমর্থন ও সামগ্রিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে এক আদর্শ সমাজ গঠনের প্রতিজ্ঞা করতে হবে। নৈতিকতার উন্নতি এবং তার পরিচর্যা ও অনুশীলনের জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। আর তা করার এখনই সময়। এ অবক্ষয় রোধ করা আমাদের সকলের একান্ত কর্তব্য। এ কর্তব্যে অবহেলা বা অবজ্ঞা করলে চরম দুর্ভোগের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যাবে না কোনোভাবেই।

 

আরও দেখুন:

Leave a Comment