নেমন্তন্ন কবিতা – অন্নদাশঙ্কর রায়

ভারতের প্রখ্যাত বাঙালী কবি অন্নদাশঙ্কর রায় রচিত ‘নেমন্তন্ন’ একটি বিশেষ ধরনের ছড়া যা বাংলার গ্রামীণ জীবনের সরলতা ও সৌন্দর্যকে কাব্যরূপে তুলে ধরে। অন্নদাশঙ্কর রায়ের কবিতা সাধারণ মানুষের জীবনের সহজ ভাষায় গভীর অনুভূতি প্রকাশ করে এবং ‘নেমন্তন্ন’ ছড়াটি তারই এক উজ্জ্বল উদাহরণ। এই ছড়ার মাধ্যমে তিনি বাংলার ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি, মানুষের বন্ধুত্ব, প্রকৃতি ও আনন্দের ছবি আঁকেন, যা পাঠক হৃদয়ে অনন্য সুর তোলে। বাংলার ছোট ছোট আনন্দ-দুঃখ, উৎসব ও দৈনন্দিন জীবনের নানা চিত্র এখানে মুগ্ধকরভাবে ফুটে উঠেছে। তাই ‘নেমন্তন্ন’ শুধুমাত্র একটি ছড়া নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতির এক মধুর প্রতিফলন।

 

নেমন্তন্ন কবিতা – অন্নদাশঙ্কর রায়

 

যাচ্ছ কোথা?
চাংড়িপোতা।
কিসের জন্য?
নেমন্তন্ন।
বিয়ের বুঝি?
না, বাবুজি।
কিসের তবে?
ভজন হবে।
শুধুই ভজন?
প্রসাদ ভোজন।
কেমন প্রসাদ?
যা খেতে সাধ।
কী খেতে চাও?
ছানার পোলাও।
ইচ্ছে কী আর?
সরপুরিয়ার।
আঃ কী আয়েস।
রাবড়ি পায়েস।
এই কেবলি?
ক্ষীর কদলী।
বাঃ কী ফলার!
সবরি কলার।
এবার থামো।
ফজলি আমও।
আমিও যাই?
না, মশাই।

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

 

নেমন্তন্ন কবিতা নিয়ে বিস্তারিতঃ

এই ছড়াটিতে আসলে একটা হাসির গল্প বলা হয়েছে। একজন লোক ভজন গান শুনতে চাংড়িপোতা নামে একটা জায়গায় যাচ্ছে। পথে এক বন্ধুর সাথে দেখা। বন্ধু একটার পর একটা প্রশ্ন করছে, আর সে উত্তর দিয়ে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে বোঝা গেল- ভজন গান শোনার চেয়ে তার অনেক বেশি লোভ ভোজনে, অর্থাৎ ভালো ভালো খাবার খাওয়ায়। তার বন্ধু সঙ্গে যেতে চাইলেও সে তাকে নেয় না। কারণ, বন্ধু সঙ্গে গেলে তার খাওয়া যদি কম হয়- এই ভয়।

 

নেমন্তন্ন কবিতা আবৃত্তিঃ

 

 

Leave a Comment