নারীশিক্ষা নিয়ে দু বান্ধবীর সংলাপ | সংলাপ লিখন | ভাষা ও শিক্ষা

নারীশিক্ষা নিয়ে দু বান্ধবীর সংলাপ | সংলাপ লিখন | ভাষা ও শিক্ষা , সংলাপ-নির্ভর সাহিত্যশাখার নাম নাটক। সংলাপই নাটকের একমাত্র প্রকাশ-মাধ্যম। সংলাপের মধ্য দিয়ে নাটকের কাহিনী এগোয়, চরিত্রগুলো নিজ নিজ বৈশিষ্ট্যকে পাপড়ি মিলে ফুটে ওঠা ফুলের মতো ধীরে ধীরে বিকশিত করে, ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে নাটকের কাহিনী ও চরিত্র পরিণতির অভিমুখী হয়। সেজন্য সংলাপ নাটকের প্রাণ বললে অত্যুক্তি হয় না। তবে শিক্ষার্থীর অনুশীলিত সংলাপের সঙ্গে নাটকের সংলাপের পার্থক্য দুস্তর।

 

নারীশিক্ষা নিয়ে দু বান্ধবীর সংলাপ | সংলাপ লিখন | ভাষা ও শিক্ষা

নারীশিক্ষা নিয়ে দু বান্ধবীর সংলাপ

নীলা : তমা, কেমন আছিস? শুনলাম উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিস। আমি তো মাধ্যমিক পরীক্ষাটাই দিতে পারলাম না। বাবা-মা বিয়ে দিয়ে দিলেন ।

তমা : দুঃখ করার নেই। আমিও বোধ হয় আর বেশিদূর লেখাপড়া করতে পারব না। আব্বু আমার জন্য বিয়ে ঠিক করে ফেলেছেন। : বলিস কী? তোর না দু ভাই বিদেশে থেকে লেখাপড়া করছে। নীলা

তমা : হ্যাঁ, সেটাই তো কথা। ছেলেদেরকে অনেক শিখতে হয়, তারা ঘরে থেকে আয়-উপার্জন করবে। আর মেয়েদের পরের ঘরে যেতে হয়।

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

নীলা : তুই এগুলো কী বলছিস ?

তমা : মা যা বলে তা শুনলে তো তুই আরও অবাক হবি। তাঁর যুক্তি আরও বিচিত্র। মা বলেন, “আমরা তো প্রাথমিক শিক্ষাটুকু নিয়েই সংসার চালিয়ে দিলাম। তোর নানু-দাদিদের তো লেখাপড়াই ছিল না। মেয়েদের অত লেখাপড়া করলে সংসার হয় না। ‘

নীলা : এসব কথায় তুই মন খারাপ করিস না। তোর মা কিন্তু তোকে খুব ভালোবাসে। হয়তো তোর ভালোর জন্যেই বলেছে। তোর মতামতের সঙ্গে মিলেনি বলেই তুই বিষয়টাকে এভাবে নিয়েছিস।

তমা : হ্যাঁ, আরও কিছু কারণ আছে। সেটা নিজের গুণের কথা তো; তা কী করে বলি। আমি নাকি রূপসী। এজন্যে বাবা-মা সারাক্ষণ দুশ্চিন্তায় থাকেন।

নীলা :এবার কিন্তু সঠিক কথাই বলেছে। আমাদের নীতিনৈতিকতার শিক্ষা একেবারে কম। পাড়া-মহল্লায়

তমা: এখনো বখাটে ছেলেদের আড্ডা চলে, ইভটিজিং চলে। পেপার পত্রিকায় আরও কত খবর? পড়লে ভয়ই লাগে।

নীলা: তবে কি এই সিদ্ধান্ত দিলি যে, এখনই বিয়েতে রাজি হয়ে যাব ।

 

নারীশিক্ষা নিয়ে দু বান্ধবীর সংলাপ | সংলাপ লিখন | ভাষা ও শিক্ষা

 

তমা: আমি ঠিক এমনটা বলছি না। তুই মেধাবী ছাত্রী। অবশ্যই লেখাপড়াটা চালিয়ে যাবি বলে আমার বিশ্বাস ।

তমা : আমার দৃঢ় সংকল্প এটাই। কবে কার বিয়ে হবে, কে ইভটিজিং করবে, এসব না ভেবে আমি পড়াশোনা

নীলা: চালিয়ে যাব বলেই ভাবছি। বিশ্বায়নের এই যুগে অল্প-স্বল্প শিক্ষার কোনো মূল্য নেই। : তবে এটা সত্য যে, আমাদের দেশে নারীশিক্ষা ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে। তুই বড় হয়ে ডাক্তার হবি নিশ্চয়ই। নীলা

তমা : ডাক্তার হওয়ার একটা ইচ্ছা আমার আছে। দেখা যাক।

নীলা: : আমাদের দেশে তো প্রধানমন্ত্রীই নারী। আজকের দিনে প্রায় সকল পেশায় নারীদের ভূমিকা চোখে পড়ার মতো।

তমা : ঠিকই বলেছিস। নারী-শিক্ষার জয় হোক ।

আরও দেখুন:

 

Leave a Comment