দাও ফিরে সে অরণ্য সারাংশ সারমর্ম

দাও ফিরে সে অরণ্য সারাংশ সারমর্ম দেখবো আজ। এই পাঠটি আমাদের ভাষা ও শিক্ষা সিরিজের , সারাংশ সারমর্ম বিভাগের একটি পাঠ।

দাও ফিরে সে অরণ্য  সারাংশ সারমর্ম লিখন

দাও ফিরে সে অরণ্য … রচনাটি ভালোভাবে পড়ে নেবো। এরপর আমরা সারাংশ সারমর্ম তৈরি করবো। তারপর সারাংশ সারমর্ম তৈরি করার নিয়মের দিকে একটু চোখ বুলিয়ে নেব।

 

দাও ফিরে সে অরণ্য | সারাংশ সারমর্ম | ভাষা ও শিক্ষা

দাও ফিরে সে অরণ্য রচনা

কবি-সাহিত্যিকগণ যখন তাঁদের সাহিত্যের রচনাকে সৃষ্টি করেন তখন মূলকথাটি রসমধুর করে অর্থাৎ খুবই মর্মগ্রাহী করে প্রকাশ করেন। এর মূল লক্ষ্য হল শ্রোতা বা পাঠকের মনকে আকর্ষণ করা। আর এ-জন্যে মূলকথাটির সঙ্গে বেঁধে দেয়া হয় ছন্দ, অলঙ্কার, উপমা, দৃষ্টান্ত ইত্যাদি। ফলে মূল বক্তব্যের গায়ে লাগে রসের প্রলেপ। রবীন্দ্রনাথের ভাষায়, ‘শুধু কথা যখন খাড়া দাঁড়িয়ে থাকে, তখন কেবলমাত্র অর্থকে প্রকাশ করে। কিন্তু, কথাকে যখন তির্যক ভঙ্গি ও বিশেষ গতি দেওয়া যায়, তখন সে আপন অর্থের চেয়ে আরও কিছু বেশি প্রকাশ করে। সেই বেশিটুকু যে কী, তা বলা শক্ত। কেননা, তা কথার অতীত; সুতরাং অনির্বচনীয়। যা আমরা দেখছি, শুনছি, জানছি তার সঙ্গে যখন খুঁজে বের করা একটু কঠিনই হয়।

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

দাও ফিরে সে অরণ্য কবিতা

দাও ফিরে সে অরণ্য, লও এ নগর

লও যত লৌহ লোষ্ট কাষ্ঠ ও প্রস্তর

হে নব সভ্যতা! হে নিষ্ঠুর সর্বগ্রাসী,

দাও সেই তপোবনে পুণ্যচ্ছায়া রাশি

গ্লানিহীন দিনগুলি; সেই সন্ধ্যাস্নান,

সেই গোচারণ, শান্ত সামগান,

নীবার ধান্যের মুষ্টি, বল-বসনে

মগ্ন হয়ে আত্মমাঝে নিত্য আলোচন

মহাতত্ত্বগুলি। পাষাণপিঞ্জরে তব নাহি চাহি

নিরাপদে রাজভোগ নব– চাই স্বাধীনতা,

চাই পক্ষের বিস্তার, বক্ষে ফিরে পেতে

চাই শক্তি আপনার,

পরানে স্পর্শিতে চাই-ছিড়িয়া কখন

অনন্ত এ জগতের হৃদয়স্পন্দন।

 

দাও ফিরে সে অরণ্য | সারাংশ সারমর্ম | ভাষা ও শিক্ষা

 

দাও ফিরে সে অরণ্যসারমর্ম সারাংশ :

আধুনিক সভ্যতার কর্মনাশা স্রোতে আরণ্যক পরিবেশ আজ ধ্বংসের মুখে পতিত হয়েছে। নগরসভ্যতার কৃত্রিমতায় মানবজীবন অতিষ্ঠ। তাই মানুষ আজ আরণ্যক জীবন ফিরে পেতে চায়।

সারাংশ সারমর্ম তৈরি করার নিয়ম:

সারাংশ সারমর্ম  বলতে কোন বৃহত্তর রচনা, যেমন কোন গবেষণাপত্র, সন্দর্ভ, অভিসন্দর্ভ, পর্যালোচনা, সম্মেলন বিবরণী, বা যেকোন বিষয়ের উপর গভীর বিশ্লেষণী কোন রচনার মূল বিষয়বস্তুর ধারণা প্রদানকারী একটি সংক্ষিপ্ত রচনাকে বোঝায়। সারাংশ সাধারণত রচনার শুরুতে বা কখনো কখনো রচনার শেষে সংযুক্ত করা হয়।

শিক্ষায়তনিক গবেষণায় জটিল গবেষণাধর্মী বিষয়সমূহ সহজভাবে বোধগম্য করে তুলতে সারাংশ ব্যবহৃত হয়। সারাংশ সম্পূর্ণ গবেষণাপত্রের পরিবর্তে একটি ছোট সত্তা হিসেবে কাজ করতে পারে। যেমন, অনেক প্রতিষ্ঠান কোন গবেষণার মূলভিত্তি নির্বাচনে সারাংশ ব্যবহার করে, যা কোন শিক্ষায়তনিক সম্মেলনে পোস্টার আকারে, মৌখিক উপস্থাপনার বা মঞ্চে উপস্থাপনার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতে পারে। বেশিরভাগ গবেষণা ডেটাবেজ সার্চ ইঞ্জিনে সম্পূর্ণ গবেষণাপত্র দেওয়ার পরিবর্তে শুরু সারাংশ প্রদান করে থাকে।

আরও দেখুন:

Leave a Comment