তৎপুরুষ সমাস ও তৎপুরুষ সমাসের শ্রেণিবিভাগ

আজকের আলোচনার বিষয় তৎপুরুষ সমাস। তৎপুরুষ সমাস বাংলা ভাষার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমাসের একটি, যা বাক্যের অর্থকে সংক্ষিপ্ত ও সুচিন্তিত রূপে প্রকাশ করে। এই আর্টিকেলে আমরা তৎপুরুষ সমাসের সংজ্ঞা, তার বিভিন্ন শ্রেণিবিভাগ এবং নির্ণয়ের সহজ উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তৎপুরুষ সমাসের সঠিক ব্যবহার এবং চিহ্নিতকরণ বাংলা ভাষাকে আরও বোধগম্য ও সাবলীল করতে সহায়তা করে। এছাড়া, বিভিন্ন উদাহরণ ও ব্যাখ্যার মাধ্যমে বিষয়টিকে সহজ ও বোধগম্য করার চেষ্টা করা হবে। এটি বাংলা ভাষাভাষী শিক্ষার্থী ও ভাষাপ্রেমীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ও দরকারি বিষয়।

তৎপুরুষ সমাস

 

যে সমাসে পরপদের অর্থ প্রধান বলে বিবেচিত হয় এবং পূর্বপদের দ্বিতীয়াদি বিভক্তি লোপ পায় তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে। আরও বিস্তৃতভাবে বললে বলা যায়, পূর্বপদে কর্ম প্রভৃতি কারকের বিভক্তিস্থানীয় অনুসর্গযুক্ত পদের সঙ্গে অথবা সদস্যপদের সঙ্গে সমাস হয়ে যদি পরপদের অর্থ প্রাধান্য থাকে তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন : ধানের ক্ষেত – ধানক্ষেত, ভাতকে রাঁধা ভাতরাধা ইত্যাদি। এ সমাসে পূর্বপদে দ্বিতীয়া থেকে সপ্তমী পর্যন্ত বিভক্তি থাকে এবং সমাস গঠনের ফলে সে সব বিভক্তি লোপ পায়।

BanglaGOLN.com Logo 252x68 px White তৎপুরুষ সমাস ও তৎপুরুষ সমাসের শ্রেণিবিভাগ

 

তৎপুরুষ সমাসের শ্রেণিবিভাগ:

তৎপুরুষ সমাস নয় প্রকারের হয়ে থাকে। যেমন

১। দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাস :

পূর্বপদের দ্বিতীয়া বিভক্তি (কে, রে ইত্যাদি) লোপ পেয়ে যে তৎপুরুষ সমাস হয়, তাকে দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাস বলে। দ্বিতীয়া বিভক্তির চিহ্ন কে. রে। যেমন : গাকে ঢাকা গা-ঢাকা, বইকে পড়া – বই-পড়া ইত্যাদি। এ-রকম আত্মরক্ষা, আত্মহত্যা, কাপড় কাচা, গুনটানা, জাতিগত, দর্পচূর্ণ, দুঃখপ্রান্ত, নারী নির্যাতন, পদত্যাগ, চুক্তি-সম্পাদন, বৃত্তিপ্রান্ত, বুকজুড়ানো, দেশত্যাগ, প্রাণনাশ, ফুলতোলা, বর্ণনাতীত, বিপদাপন্ন ব্যক্তিগত, হস্তগত, রেখাপাত, মর্মগত, মজ্জাগত ইত্যাদি।

ব্যাপ্তি অর্থে কালবাচক পদের সঙ্গে দ্বিতীয়া তৎপুরুষ হয়। যেমন চিরকাল ধরে সুখ – চিরসুখ, ক্ষণকাল।

ধরে স্থায়ী – ক্ষণস্থায়ী ইত্যাদি। এ-রকম চিরকুমারী, চিরকৃতজ্ঞ, চিরদুঃখী, চিরবঞ্চিত, চিরবসন্ত,

চিরশত্রু, চিরস্থায়ী, চিরস্মরণীয়, দীর্ঘস্থায়ী ইত্যাদি।

পূর্বপদটি বিশেষণের বিশেষণ বা ক্রিয়া-বিশেষণ হলে পরবর্তী কৃদন্ত পদের সঙ্গে দ্বিতীয়া তৎপুরুষ হয়। যেমন: অর্থরূপে নিচ্ছে অর্ধসিদ্ধ, আধভাবে মরা আধমরা ইত্যাদি।

দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাস বিষয়ক একটি তথ্যবহুল ও শিক্ষনীয় টেবিল দেওয়া হলো:

ক্রমিকসমাসবদ্ধ শব্দসমাস বিচ্ছেদঅর্থ/ব্যাখ্যা
গ্রামভোজনগ্রামের ভোজনগ্রামের উদ্দেশ্যে ভোজন বা গ্রামের মধ্যে ভোজন
নদীস্নাননদীতে স্নাননদীতে গিয়ে স্নান করা
কর্মসাধনকর্মের সাধনকাজের সিদ্ধি বা পরিপূর্ণতা লাভ
গ্রন্থপাঠগ্রন্থের পাঠবই পড়া
বিদ্যালয়গমনবিদ্যালয়ে গমনস্কুলে যাত্রা করা
যুদ্ধজয়যুদ্ধের জয়যুদ্ধে বিজয় লাভ
ধর্মরক্ষাধর্মের রক্ষাধর্মকে রক্ষা করা
শাস্ত্রচর্চাশাস্ত্রের চর্চাধর্মগ্রন্থ বা জ্ঞানচর্চা
দেশপ্রেমদেশের প্রেমদেশের প্রতি ভালোবাসা
১০জ্ঞানলাভজ্ঞানের লাভজ্ঞান অর্জন

বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি: দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাসে সমাসের পূর্বপদটি সাধারণত কর্মপদ হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং এটি দ্বিতীয়া বিভক্তিযুক্ত পদ বোঝায়।

 

 

২। তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস :

পূর্বপদের তৃতীয়া বিভক্তি (দ্বারা, দিয়া কর্তৃক ইত্যাদি) লোপ পেয়ে যে তৎপুরুষ’ সমাস হয় তাকে তৃতীয়া তৎপুরুষ ‘সমাস বলে। যারা, দিয়া, কর্তৃক এসব তৃতীয়া বিভক্তি। যেমন : মন দ্বারা গড়া – মনগড়া, শ্রম দ্বারা লব্দ = শ্রমলব্দ , মধু দিয়ে মাখা মধুমাখা ইত্যাদি।

উন, হীন, শূন্য প্রভৃতি শব্দ উত্তরপদ হলেও তৃতীয়া তৎপুরুষ ‘সমাস হয়। যথা- এক যারা উন- একোন, বিদ্যা দ্বারা হীন – বিদ্যাহীন, জ্ঞান দ্বারা শূন্য জ্ঞানশূন্য ইত্যাদি।

উপকরণবাচক বিশেষ্যপদ পূর্বপদে বসলেও তৃতীয়া তৎপুরুষ’ সমাস হয়। যেমন : স্বর্ণ দ্বারা মণ্ডিত – স্বর্ণমণ্ডিত, এ-রকম : অস্ত্রাঘাত, আইনসংগত, ঋণগ্রস্ত, কণ্টকাকীর্ণ, কুরুচিপূর্ণ, কষ্টার্জিত, ক্ষতিগ্রস্ত, গুণান্বিত, ঘটনাবহুল, চন্দনচর্চিত, চিনিপাতা, ছন্দোবদ্ধ, ছায়াশীতল, চুরিকাঘাত, ছায়াচ্ছন্ন, মাটাপেটা, ঢেঁকিছাটা মুখপোষ্য, ধর্মান্ধ, প্রথাবর, প্রীতিপূর্ণ, বায়ুচালিত, বিকারগ্রস্ত, বিজ্ঞানসম্মত, ভারাক্লান্ত মন্ত্রমুগ্ধ, রাহুগ্রস্ত, রোগগ্রস্ত, শস্যশ্যামল, সর্পদষ্ট, হীরকখচিত ইত্যাদি।

তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস সম্পর্কিত একটি তথ্যবহুল টেবিল দেওয়া হলো:

ধারার নামসমাসের ধরনউপপদ (পূর্বপদ)প্রধান পদ (পরবর্তীপদ)সমাসবদ্ধ শব্দসমাস বিশ্লেষণঅর্থ
তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাসতৎপুরুষ সমাস (তৃতীয়া)তৃতীয়া বিভক্তি পদকোনো মূল পদহস্তচালিতহস্তে চালিত = হস্তচালিতহাতে চালিত
দণ্ডপ্রহৃতদণ্ডে প্রহৃত = দণ্ডপ্রহৃতলাঠি দিয়ে প্রহৃত/আঘাতপ্রাপ্ত
বশকৃতবশে কৃত = বশকৃতবশে আনা হয়েছে এমন
শক্তিসংপন্নশক্তিতে সংপন্ন = শক্তিসংপন্নশক্তিতে পরিপূর্ণ
তৃষ্ণাতুরতৃষ্ণায় আতুর = তৃষ্ণাতুরতৃষ্ণায় কষ্ট পাচ্ছে এমন

 

৩। চতুর্থী তৎপুরুষ সমাস :

পূর্বপদের চতুর্থী বিভক্তি (কে, রে ইত্যাদি) লোপ পেয়ে যে তৎপুরুষ’ সমাস হয় তাকে চতুর্থী তৎপুরুষ’ সমাস বলে। চতুর্থী বিভক্তির চিহ্ন কে, রে। নিমিত্ত বা জন্য অর্থেও চতুর্থী তৎপুরুষ- সমাস হয়। যেমন : দেবকে দত্ত দেবদত্ত বিয়ের জন্যে পাগল – বিয়েপাগল। এ রকম অতিথিশালা, আকেলসেলামি, এতিমখানা, ঔষধালয়, কাদানে গ্যাস, কিশোর পত্রিকা, গুরুভক্তি ছাত্রাবাস, জিয়নকাঠি, ডাকখরচ, পাঠশালা, পাগলাগারদ, পাঠকক্ষ, পা শালা, পান্থনিবাস, ফাঁসিকাষ্ঠ, বসতবাড়ি, মুক্তিপণ বিশ্রামঘর, বৈঠকখানা, ভজনালয়, তোজনালয়, শিশুবিভাগ, হজযাত্রা, স্বদেশপ্রেম, সভামঞ্চ ইত্যাদি।

উদ্দেশ্য বোঝাতে নিমিত্তার্থে চতুর্থী তৎপুরুষ হয়। তখন এর জন্যে’, ‘এর নিমিত্ত’, ‘এর তরে’ ইত্যাদি যুক্ত হয়। যেমন মাপের জন্যে কাঠি মাপকাঠি, বসতের জন্যে বাড়ি – বসতবাড়ি ইত্যাদি।

চতুর্থী তৎপুরুষ সমাস–বিষয়ক একটি তথ্যবহুল ও সহজবোধ্য টেবিল দেওয়া হলো, যা শিক্ষার্থীদের এই সমাস রচনার ধরন বুঝতে সহায়তা করবে।

ক্রমিকসমাসযুক্ত শব্দসমাস বিচ্ছেদব্যাখ্যা / অর্থসমাসের ধরন
গুরুভক্তগুরোর প্রতি ভক্তযিনি গুরুর প্রতি ভক্তচতুর্থী তৎপুরুষ
রাজদ্রোহীরাজার প্রতি দ্রোহীযিনি রাজার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেনচতুর্থী তৎপুরুষ
দেশপ্রেমিকদেশের প্রতি প্রেমিকযিনি দেশের প্রতি প্রেম রাখেনচতুর্থী তৎপুরুষ
ঈশ্বরনির্ভরঈশ্বরের প্রতি নির্ভরযিনি ঈশ্বরে নির্ভর করেনচতুর্থী তৎপুরুষ
মাতৃভক্তমায়ের প্রতি ভক্তযিনি মায়ের প্রতি ভক্তচতুর্থী তৎপুরুষ

 

8। পঞ্চমী তৎপুরুষ সমাস :

পূর্বপদের পঞ্চমী বিভক্তি (হতে, থেকে ইত্যাদি) লোপ পেয়ে যে তৎপুরুষ’ সমাস হয় তাকে পঞ্চমী তৎপুরুষ’ সমাস বলে। হতে, থেকে, চেয়ে এসব পঞ্চমী বিভক্তির চিহ্ন। যেমন: পরানের চেয়ে প্রিয় পরানপ্রিয়; বিলাত থেকে ফেরত – বিলাতফেরত, বদ থেকে জাত – বজ্জাত ইত্যাদি। এ-রকম : কণ্ঠনিঃসৃত মুখভ্রান্ত, বোঁটাৎসা, স্বর্গচত, ঋণমুক্ত, কারামুক্ত, কৃষিজাত, খাঁচাছাড়া, গদিচ্যুত, দলচ্যুত, বৃন্তচ্যুত, লক্ষ্যচ্যুত, চাকভাঙা, জেলফেরত, দলছুট, দভ্রষ্ট, পথভ্রষ্ট, সভ্য, কখনমুক্ত, বিরুয়ল, বিদেশাগত, মেঘমুক্ত, শাপমুক্ত, রোগমুক্ত, স্কুলপালানো, স্নেহবঞ্চিত, হাতছাড়া ইত্যাদি।

সাধারণত চ্যুত, জাত, আগত, তাঁত, গৃহীত, বিরক্ত, মুক্ত, উত্তীর্ণ, পালানো, স্রষ্ট ইত্যাদি পরপদের সঙ্গে পঞ্চমী তৎপুরুষ’ সমাস হয়। কোনো কোনো সময় পঞ্চমী তৎপুরুষ ‘সমাসের ব্যাসবাক্যে ‘এর’, ‘চেয়ে’ ইত্যাদি অনুসর্গের ব্যবহার হয়। যথা পরানের চেয়ে প্রিয় পরানপ্রিয়।

পঞ্চমী তৎপুরুষ সমাস সম্পর্কিত একটি টেবিল দেওয়া হলো, যেখানে সংজ্ঞা, গঠনরীতি, উদাহরণ, বিশ্লেষণ ও অর্থ উল্লেখ করা হয়েছে:

ক্র.উপাদান/চরণগঠনরীতিউদাহরণবিশ্লেষণঅর্থ/ব্যাখ্যা
সংজ্ঞাপঞ্চমী বিভক্তি (যেমন: থেকে) সমর্থ পদ + প্রধান পদযে সমাসে কর্ম বা গতি পঞ্চমী বিভক্তি (থেকে) বোঝায়
গঠনরীতিপঞ্চমী বিভক্তিযুক্ত পদ + মূল শব্দগ্রাম তঃ আগতঃ → গ্রামাগত“গ্রাম থেকে আগত” → “গ্রামাগত”যে ব্যক্তি গ্রাম থেকে এসেছে
উদাহরণ ১বন তঃ স্থিতঃ → বনস্থিতবনস্থিত“বন থেকে স্থিত” → “বনে অবস্থানকারী”যে ব্যক্তি বা বস্তু বনে অবস্থান করছে
উদাহরণ ২শত্রু তঃ ভীতঃ → শত্রুভীতশত্রুভীত“শত্রু থেকে ভীত” → “শত্রুভীত”যে শত্রুর ভয়ে আতঙ্কিত
উদাহরণ ৩নদী তঃ আহৃতঃ → নদ্যাহৃতনদ্যাহৃত“নদী থেকে আহৃত” → “নদ্যাহৃত”নদী থেকে যে জল আহরণ করা হয়েছে

 

৫। ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস :

পূর্বপদের ষষ্ঠী বিভক্তি (র, এর ইত্যাদি) লোপ পেয়ে যে তৎপুরুষ ‘সমাস হয় তাকে ষষ্ঠী তৎপুরুষ’ সমাস বলে। বর্তী বিভক্তির চিহ্ন ‘র’, ‘এর’। যেমন বটের তলা – বটতলা, ঘোড়ার গাড়ি ঘোড়াগাড়ি, রান্নার ঘর রান্নাঘর ইত্যাদি।

এ-রকম অশ্বডিম্য, কবিগুরু, কর্মকর্তা, কর্মক্ষেত্র, কর্মাধ্যক্ষ, কার্যক্রম, কার্যনির্বাহক, কাপপ্রবাহ, কল্পনাশক্তি, ক্ষতচিহ্ন, খাদ্যপ্ৰাণ, গঠনপ্রণালি, গৃহকর্তা, গৃহসজ্জা, গ্রন্থাগার, ঘোড়দৌড়, চন্দ্রগ্রহণ, ছাত্রসমাজ, জগ, জাহাজঘাট, জীবনচরিত, জ্ঞানতাপস, বিশ্লেফুল, টিকিটম্বর, ঠাকুরঘর, তত্ত্বানুসন্ধান, দমননীতি, দলনেতা, দলপতি, দাসত্ব প্রথা, দেশবন্ধু, দেহাতীত, ধর্মচর্চা, ধর্মসংস্কার, ধানক্ষেত, ধারণাতীত, নদীতট, নদীতীর, নির্মাণকৌশল, নীতিবিরুদ্ধ, পথখরচ, পদোন্নতি, পরাধীন, পর্যায়ক্রম পরি-উন্নয়ন, পুকুরঘাট, প্রশ্নমালা, ফুলকলি, বর্ণমালা, বাপঝাড়, বাডুবল বিশ্বনবী, বিশ্বাসঘাতক, বৃক্ষছায়া, বোধোদয়, ভগ্নিপতি, ভাগ্যফল, ভাবাবেগ, ভাবোচ্ছাস, মনোতার, মানহানি, মায়াডোর, মুক্তিপিপাসা, মুখভঙ্গি, মৃত্যুশয্যা, রণকৌশল, রাজকন্যা, রাজপ্রাসাদ, রাশিচক্র, রাষ্ট্রপতি, লীলাভূমি, লোকনিন্দা, লোকালয়, শব্দকোষ, শয়নকক্ষ, শোকাতীত, শোকোচ্ছাস, শ্বশুরবাড়ি, সংখ্যাতীত সভাগৃহ, সভানেত্রী, সূর্যাস্ত, সূর্যোদয়, সৃষ্টিকর্তা ইত্যাদি।

ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস সম্পর্কিত টেবিল তৈরি করা হলো, যা সংজ্ঞা, বিভক্তি চিহ্ন, উদাহরণ ও ব্যাখ্যা সহ সাজানো হয়েছে:

শিরোনামবিবরণ
সংজ্ঞাপূর্বপদের ষষ্ঠী বিভক্তি (যেমন ‘র’, ‘এর’) লোপ পেয়ে যে তৎপুরুষ সমাস হয়, তাকে ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস বলে।
বিভক্তি চিহ্ন‘র’, ‘এর’ (ষষ্ঠী বিভক্তি)
সমাস রূপান্তর নিয়মদুটি শব্দের মধ্যে ‘র/এর’ লোপ পেয়ে একটি যৌগিক শব্দ গঠিত হয়।
উদাহরণব্যাখ্যা
————————————————————————————————
বটের তলা → বটতলাবট গাছের নিচের স্থান
ঘোড়ার গাড়ি → ঘোড়াগাড়িঘোড়ার দ্বারা টানা গাড়ি
রান্নার ঘর → রান্নাঘররান্না করার ঘর
নদীর তীর → নদীতীরনদীর ধারের ভূমি
রাষ্ট্রের নেতা → রাষ্ট্রপতিরাষ্ট্রের প্রধান বা প্রতিনিধি
কর্মের ক্ষেত্র → কর্মক্ষেত্রকাজের স্থান
গৃহের সজ্জা → গৃহসজ্জাঘরের সাজসজ্জা
চন্দ্রের গ্রহণ → চন্দ্রগ্রহণচাঁদের গ্রহণ
ফুলের কলি → ফুলকলিফুলের কুঁড়ি
শব্দের কোষ → শব্দকোষশব্দ সংকলন

এই টেবিলের মাধ্যমে ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাসের সংজ্ঞা, গঠনরীতি, বিভক্তি চিহ্ন ও বাস্তব উদাহরণগুলি সহজে বোঝা যায়।

 

৬। সপ্তমী তৎপুরুষ’ সমাস :

পূর্বপদের সপ্তমী বিভক্তি (এ, য়, তে) লোপ পেয়ে যে তৎপুরুষ ‘সমাস হয় তাকে। সপ্তমী তৎপুরুষ’ সমাস বলে। এ, য়, তে – এগুলো সপ্তমী বিভক্তির চিহ্ন। যেমন দানে বীর – দানবীর,

গাছে পাকা – গাছপাকা মাথায় ব্যথা মাথাব্যথা, গলাতে ধাক্কা গলাধাক্কা ইত্যাদি।

এ-রকম অকালপক্ক, জলমগ্ন, মহাকাশভ্রমণ, ঝুড়িভরতি, শ্রুতিমধুর, অকালমৃত্যু, অধ্যয়নরত, আকাশভ্রমণ, কর্মকুশল, কর্মনিপুণ, কার্যক্ষম, গুণমুগ্ধ, গৃহবন্দি, ঘরপোড়া, চরণাশ্রিত, চিন্তামগ্ন, দেশবিখ্যাত, ধর্মবিশ্বাস, ধর্মভীরু, ধ্যানমগ্ন, পাঠানুরাগ, পাঠরত পানিবন্দি, বনবাস, বনভোজন, বাক্সবলি, বিশ্ববিখ্যাত, তোজন পটু, রণনিপুণ, রৌদ্রস্য, শক্তিহীন, সংখ্যালঘু, শিরোধার্য, শয্যাশায়ী ইত্যাদি।

সপ্তমী তৎপুরুষ সমাস-সংক্রান্ত একটি সুন্দরভাবে সাজানো টেবিল দেওয়া হলো, যেখানে সংজ্ঞা, বিভক্তি চিহ্ন, উদাহরণ এবং বিশ্লেষণ একসাথে উপস্থাপন করা হয়েছে:

সপ্তমী তৎপুরুষ সমাস – টেবিল

বিষয়বর্ণনা
সংজ্ঞাযে তৎপুরুষ সমাসে পূর্বপদের সপ্তমী বিভক্তি (এ, য়, তে) লোপ পায়, তাকে সপ্তমী তৎপুরুষ সমাস বলে।
বিভক্তির চিহ্ন“এ”, “য়ে”, “তে” – এগুলো সপ্তমী বিভক্তির লক্ষণ।
গঠনের ধরনসপ্তমী বিভক্তিযুক্ত শব্দ + অপর পদ → বিভক্তি লোপ পেয়ে সমাসবদ্ধ হয়।
উদাহরণসমূহবিশ্লেষণসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ:

 

উদাহরণ ও বিশ্লেষণ

সমাসবদ্ধ শব্দসম্পূর্ণ রূপ (বিভক্তিযুক্ত)ব্যাখ্যা
দানবীরদানে বীরযে ব্যক্তি দানে বীরত্ব দেখায়
গাছপাকাগাছে পাকাগাছে পাকা ফল
মাথাব্যথামাথায় ব্যথামাথায় অনুভূত ব্যথা
গলাধাক্কাগলাতে ধাক্কাগলায় বা ঘাড়ে জোরে ধাক্কা
জলমগ্নজলে মগ্নজলে ডুবে থাকা
ধ্যানমগ্নধ্যানে মগ্নধ্যানে সম্পূর্ণ নিমগ্ন
পাঠরতপাঠে রতঅধ্যয়নে নিয়োজিত
গৃহবন্দিগৃহে বন্দিঘরের মধ্যে আবদ্ধ
দেশবিখ্যাতদেশে বিখ্যাতদেশজুড়ে পরিচিত ও প্রসিদ্ধ
কর্মনিপুণকর্মে নিপুণকাজে দক্ষ
রণনিপুণরণে নিপুণযুদ্ধে দক্ষ
শিরোধার্যশিরে ধার্যমাথায় ধারণযোগ্য; শ্রদ্ধার বস্তু
বনভোজনবনে ভোজনবনে গিয়ে আহার
বাক্সবলিবাক্সে বলিবাক্সে পুরে উৎসর্গ
বিশ্ববিখ্যাতবিশ্বে বিখ্যাতসারা বিশ্বে খ্যাত

 

৭। নঞ তৎপুরুষ সমাস :

পূর্বপদে নঞর্থক বা না-বাচক অব্যয় না, নেই, নাই, নয়া ব্যবহৃত হয়ে যে তৎপুরুষ’ সমাস হয় তাকে নঞ তৎপুরুষ’ সমাস বলে। নঞ তৎপুরুষ’ সমাসে নঞ-এর অর্থ- না। ন-এর আদি উচ্চারণ নং বা নইং। নঞর্থক অব্যয়গুলো হল- নয়, না, নেই, অ, অন, অনা, আ, গর, ন, নি, বি, বে, ইত্যাদি। ন (নেঞ) স্বরবর্ণের আগে বসলে ‘অন” এবং ব্যঞ্জনবর্ণের আগে বসলে ‘অ’ হয়। নঞ তৎপুরুষের উদাহরণ নয় অধিক অনধিক, নেই অ অন্য নয় জানা অজানা, ন তার অভাব, ন কাল অকাল, নয় রাজি নারাজ নয় ধোয়া – আধোয়া, নয় হাজির – গরহাজির, নাা হিসাবি = বেহিসাবি ইত্যাদি।

নঞ তৎপুরুষ’ সমাসের উদাহরণ:

পূর্বপদে অ : যেমন অকাতর, অকথ্য, অকপট, অকেজো, অক্ষম, অক্ষুণ্ণ, অখ্যাত, অর্থ, অচেনা, অজ্ঞাত, অধৈর্য, অনিবার্য, অফুরন্ত, অপরিণত, অপ্রিয়, অব্যক্ত, অম্লান, অভয়, অভদ্র, অসময় ইত্যাদি।

পূর্বপদে আ : যেমন আপুনি, আকাড়া, আগাছা ইত্যাদি।

পূর্বপদে গর:  যেমন : গরমিল, গরহাজির, গররাজি ইত্যাদি।

পূর্বপদে ন / না :  যেমন : নাতিদীর্ঘ, নাবালক, নাখোশ, না-জানা, না-বলা, নাছোড়বালা, নারাজ, না- মঞ্জুর ইত্যাদি।

পূর্বপদে নি/নির : যেমন নিখুঁত, নিরাশা, নিরামিষ, নিরুৎসাহ ইত্যাদি।

পূর্বপদে বি/ বে : যেমন বিদেশ, বিপাক, বেআইনি, বেকায়দা, বেজোড়, বেসরকারি, বেহিসাব ইত্যাদি।

নঞ তৎপুরুষ সমাস-সংক্রান্ত একটি সাজানো টেবিল দেওয়া হলো, যেখানে নঞর্থক অব্যয় অনুযায়ী শ্রেণিবিন্যাস করে উদাহরণসহ উপস্থাপন করা হয়েছে:

নঞর্থক অব্যয় (পূর্বপদ)সমাসিত শব্দবিশ্লেষণ/অর্থ
অকাতর, অকথ্য, অকপট, অকেজো, অক্ষমনা-কাতর, না-কথ্য, না-কপট, ইত্যাদি
অনঅনধিক, অনিবার্য, অনিচ্ছুকনা-অধিক, না-নিবার্য, না-ইচ্ছুক
আপুনি, আকাড়া, আগাছানা-পুনি, না-কাড়া, না-গাছা
গরগরমিল, গরহাজির, গররাজিনা-মিল, না-হাজির, না-রাজি
না / নাবালক, না-জানা, না-বলা, নারাজ, নাছোড়বালানা-বালক, না-জানা, না-বলা, ইত্যাদি
নি / নিরনিখুঁত, নিরাশা, নিরামিষ, নিরুৎসাহনা-খুঁত, না-আশা, না-মাংস (আমিষ)
বি / বেবিদেশ, বিপাক, বেআইনি, বেকায়দা, বেহিসাবনা-দেশ, না-পাক, না-আইনি, ইত্যাদি
নয় / নেই / নাইনয়জানা, নেইভয়, নাইআশানা-জানা, না-ভয়, না-আশা

বিঃদ্রঃ নঞ তৎপুরুষ সমাসে মূলত “না” অর্থবোধক অব্যয় (যেমন: না, নয়, নেই, অ, অন, নি, বি, গর, ইত্যাদি) প্রথম পদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে দ্বিতীয় পদকে অস্বীকার বা বর্জনের অর্থ প্রকাশ করে।

এই টেবিলটি শিক্ষার্থীদের জন্য নঞ তৎপুরুষ সমাস বুঝতে সহায়ক হবে এবং পরীক্ষার প্রস্তুতিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

 

৮। উপপদ তৎপুরুষ’ সমাস :

কৃদন্ত পদের সঙ্গে উপপদের যে সমাস হয় তাকে উপপদ তৎপুরুষ ‘সমাস বলে। যেমন: অগ্রে গমন করে যে অগ্রগামী। এখানে ‘গামী’র স্বতন্ত্র প্রয়োগ নেই। অগ্রে গামী বালে চলবে না, ব্যাসবাক্য হবে জয়ে গমন করে যে’। এরূপ ধামা ধরে যে – ধামাধরা, ছেলে ধরে যে ছেলেধরা ইত্যাদি।

কোনো পদ বিশ্লেষণ করলে যদি প্রথমে একটি পদ, তারপর একটি ধাতু এবং শেষে একটি প্রত্যয় পাওয়া যায়, তাহলে প্রথম পদটিকে বলে উপপদ।

উপপদ তৎপুরুষের উদাহরণ :

অগ্র আজ পরুন, মাহিমারা ইঁদুরমারা (কল), ইন্দ্রজিৎ, কৃষ্ণকার কৃষ্ণ করে যে), জলচনা খেচর নিশাচর, নভশ্চর, স্বর্ণকার, নাট্যকার, প্রবন্ধকার, গণিতজ্ঞ, শাস্ত্রজ্ঞ, গাঁটকাটা, পকেটকাটা, পদ্য, তট, গৃহস্থ, জামা, মুখ, পা, প্রকৃতি, পাত্র, ছন্নছাড়া, জগদ ফেল দেয় যো দশছাড়া, ঘরছাড়া, পরজীবী, বুদ্ধিজীবী, শত্রু পেরুকে হত্যা করে যে, শ্রমজীবী, পথহারা, গৃহহারা, বাস্তুহারা, দিশাহারা, চিত্রা, কর, বাজিকর, জাদুকর, আকাশচারী সুবিধাভোগী, বেতনভোগী, ভুক্তভোগী, অনুযায়ী, ভেকধারী, জটাধারী, পারদর্শী, সুখ দুঃখে থাকে যো, দূরদর্শী, অস্তগামী, ধীরগামী, ইত্যাদি।

 

৯। অলুক তৎপুরুষ সমাস :

পূর্বপদের বিভক্তি লোপ না পেয়ে তৎপুরুষ’ সমাস হলে তাকে অলুক তৎপুরুষ’ সমাস বলে। ‘অলুক’ শব্দের অর্থ অ-লোপ, অর্থাৎ লোপ না হওয়া। যেমন – সোনার তরী সোনার তরী; চিনির বলদ – চিনির বলদ, তেলে ভাজা – তেলেভাজা, খেলার মাঠ – খেলার মাঠ ইত্যাদি।

[গায়ে হলুদ, হাতে খড়ি প্রভৃতি সমস্তপদে পরপদের অর্থ প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয় না অর্থাৎ হলুদ বা খড়ি বোঝায় না, অনুষ্ঠান বিশেষকে বোঝায়। সুতরাং এগুলো অলুক তৎপুরুষ ‘সমাস নয়, অলুক বহুব্রীহি সমাস। ]

সবরকম তৎপুরুষ সমাসই অনুক হতে পারে। যেমন –

অলুক তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস :

যেমন চোখ দিয়ে দেখা চোখে দেখা। এ-রকম কলে-ছাঁটা থিয়ে ভাজা, জলে-তেজা, দায়ে-কাটা, পায়ে-চলা, পোকায় কাটা, বাঁশে বাঁধা, বানে ভাসা, রঙে-আঁকা, রোদে পোড়া, শিশিরে-তেজা, সাপে কাটা, সুরে-বাধা, হাতে-গড়া ইত্যাদি। এগুলোকে অনু সপ্তমী তৎপুরুষ’ সমাস হিসেবে বিবেচনা করাই সংগত।

অলুক চতুর্থী তৎপুরুষ সমাস :

যেমন খেলার জন্যে মাঠ – খেলার মাঠ। এ-রকম চায়ের কাপ, গায়ের চাদর, নাচের নূপুর, তেলের শিশি, পড়ার টেবিল, পাকের ঘর ইত্যাদি। এগুলোকে অনুক ষষ্ঠী তৎপুরুষ’ সমাস

হিসেবে বিবেচনা করাই সংগত।

অলুক পঞ্চমী তৎপুরুষ সমাস :

যেমন মানি থেকে তেল – মানির তেল। এ-রকম তিলের তেল, কলের জল, নাকের জল ইত্যাদি। এগুলোও অসুরু ষষ্ঠী তৎপুরুষ’ সমাসের অন্তর্ভুক্ত।

অলুক ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস :

যেমন খবরের কাগজ – খবরের কাগজ। এ-রকম : চিনির কল, গরুর দুধ, চোখের বালি, ঢাকার কুমির, ডুমুরের ফুল, তাসের ঘর, পায়ের চিহ্ন, মনের মানুষ, মামার বাড়ি, মগের মুল্লুক ইত্যাদি।

অলুক সপ্তমী তৎপুরুষ সমাস:

যেমন: অরণ্যে রোদন অরণ্যে রোদন। এ-রকম কলেজে পড়া, কলে ছাঁটা, গোড়ায় গম, ঘিয়ে ভাজা, ছাঁচে ঢালা, পায়ে ঠেকা, দিনে ডাকাতি, নাকে খত, পায়ে ধরা, মনে রাখা, সোনায় সোহাগা, পায়ে পড়া ইত্যাদি।

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

অলুক তৎপুরুষ সমাস সম্পর্কিত একটি সাজানো টেবিল দেওয়া হলো, যেখানে বিভিন্ন প্রকার অলুক তৎপুরুষ সমাস শ্রেণিবদ্ধভাবে উদাহরণসহ উপস্থাপন করা হয়েছে।

ধরনসংজ্ঞা/বর্ণনাউদাহরণবিশেষ মন্তব্য
অলুক তৃতীয়া তৎপুরুষতৃতীয়া বিভক্তি লোপ না পেয়ে সমাস হয়চোখে দেখা, কলে ছাঁটা, তেলে ভাজা, বানে ভাসা, পায়ে চলাঅনু সপ্তমী তৎপুরুষ হিসেবে ধরা সংগত
অলুক চতুর্থী তৎপুরুষচতুর্থী বিভক্তি লোপ না পেয়ে সমাস হয়খেলার মাঠ, পড়ার টেবিল, তেলের শিশি, চায়ের কাপ, গায়ের চাদরঅনুক ষষ্ঠী তৎপুরুষ হিসেবে ধরা হয়
অলুক পঞ্চমী তৎপুরুষপঞ্চমী বিভক্তি লোপ না পেয়ে সমাস হয়মানির তেল, তিলের তেল, কলের জল, নাকের জলঅসুরু ষষ্ঠী তৎপুরুষ হিসেবেও ধরা হয়
অলুক ষষ্ঠী তৎপুরুষষষ্ঠী বিভক্তি লোপ না পেয়ে সমাস হয়খবরের কাগজ, গরুর দুধ, ঢাকার কুমির, পায়ের চিহ্ন, মনের মানুষপ্রাধান্য পায় পূর্বপদ, অর্থের ভিত্তিতে সহজে চেনা যায়
অলুক সপ্তমী তৎপুরুষসপ্তমী বিভক্তি লোপ না পেয়ে সমাস হয়কলেজে পড়া, ছাঁচে ঢালা, পায়ে ধরা, মনে রাখা, দিনে ডাকাতিঅনু সপ্তমী তৎপুরুষ হিসেবে ধরা যায়
সাধারণ উদাহরণ (অশ্রেণিবদ্ধ)বিভক্তি লোপ না পেয়ে গঠিত, তবে শ্রেণি অনুসারে বিশ্লেষণ প্রয়োজনসোনার তরী, চিনির বলদ, খেলার মাঠ, তেলের শিশিবিভক্তি লোপ না হওয়ায় এগুলো ‘অলুক’ তৎপুরুষ সমাস
ভ্রান্ত উদাহরণ (বহুব্রীহি)যেগুলোর পরপদের অর্থ প্রধান নয়, বরং ভিন্ন ধারণা বোঝায়গায়ে হলুদ, হাতে খড়িএগুলো অলুক তৎপুরুষ নয়, বরং অলুক বহুব্রীহি সমাস

এই টেবিলটি অলুক তৎপুরুষ সমাসের শ্রেণিবিভাগ, বৈশিষ্ট্য, এবং উদাহরণগুলোকে সহজে বুঝতে সহায়তা করবে।

 

সূত্র: তৎপুরুষ সমাস | তৎপুরুষ সমাসের শ্রেণিবিভাগ | ভাষা ও শিক্ষা

 

আরও দেখুন:

Leave a Comment