Site icon Bangla Gurukul [ বাংলা গুরুকুল ] GOLN

জ্বলন্ত জিরাফ কবিতা | সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এর কবিতা | সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

জ্বলন্ত জিরাফ কবিতাটি কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এর লেখা একটি কবিতা।সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় (৭ সেপ্টেম্বর ১৯৩৪ – ২৩ অক্টোবর ২০১২) বিশ শতকের শেষভাগে সক্রিয় একজন প্রথিতযশা বাঙালি সাহিত্যিক। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুর পূর্ববর্তী চার দশক তিনি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব হিসাবে সর্ববৈশ্বিক বাংলা ভাষার জনগোষ্ঠীর কাছে ব্যাপকভাবে পরিচিত ছিলেন।

লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় [ Author Sunil Gangopadhyay ]

জ্বলন্ত জিরাফ কবিতা – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

শেষ কবে নারীহত্যা করেছি আমার ব্যক্তিগত স্বর্গে?

বাথরুমে- ছ’মাস আগে, সেই থেকে চোখে ভালো দেখতে পাই না।

সাতদিন পর্যন্ত আয়নায় হাসির প্রমাণ লেগেছিল- এছাড়া চোষের জল জমিয়ে রেখেছিলাম বেসিনে।

সেই ঠান্ডা চোখের জলে রোজ মুখ ধুতাম ও কুলকুচোঁ করেছি জানালা দিয়ে।

প্রতিবেশী এসে বিরাট আপত্তি জানালোঃ এতদিন পেচ্ছাপ করা সহ্য করেছি, তা বলে কি কুলকুচো করাও। তার ছোটো বাড়ির রঙ শাদা ছিল।

পুলিস এসে বলেছিলো, এই নিয়ে সাতটা খুনের জন্য তুমি মোট তেরোটা ছুরি ভেঙেছো।

ইস্পাতের এ-রকম অনটনের দিনে তোমার অমন বিলাসিতা।

এরপর থেকে তোমার ঐ খামখেয়ালরি জন্য যত খুশী সিল্কের রুমাল বা ধুত্‌রোফল ব্যবহার করবে।

কিন’ ইস্পাতের অপচয়ের মতো বে-আইনী। দু’বছর অন্তত ঘানি ঘোরাতে।-

আমার ঘড়ি ছিল না বলে ক’টা বাজে দেখবার জন্য আমি মণিবন্ধটা কানের কাছে। রক্ত চলাচলের স্পষ্ট শব্দ ও সময়।

টেলিফোন মিস্ত্রী অভিযোগ জানালো, আমার ঘরে রেডিও নেই কেন।

সরমা অনুযোগ করেছিল, আমার ঘরে কোনও ছবি নেই। আমি ওকে টেবিলের সম্পূর্ণ খালি সতেরোটা ড্রয়ার দেখিয়েছিলাম।

ও দূরের জ্বলন্ত জিরাফ একেবারে লক্ষ্য করেনি। সেই পাপেই ওর মৃত্যু হলো।

দাঁতের ডাক্তার আমার পায়ে ঘা কর দিয়েছিলো বলে আমি কখনও আর সে শুয়োরের বাচ্চা জীবানু সমন্বয়ের সঙ্গে সিনেমা দেখতে যাইনি।

তার বদলে আমি এখন পেচ্ছাপ ও কান্নার সম্পর্ক নিয়ে বই লিখছি। এখন রাত্রি কি দিন চেনা যায় না।

আরও পড়ুন:

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন
Exit mobile version