জলহারা মেঘখানি বরষার শেষে সারাংশ সারমর্ম দেখবো আজ। এই পাঠটি আমাদের ভাষা ও শিক্ষা সিরিজের , সারাংশ সারমর্ম বিভাগের একটি পাঠ।
Table of Contents
জলহারা মেঘখানি বরষার শেষে সারাংশ সারমর্ম লিখন
জলহারা মেঘখানি বরষার শেষে… রচনাটি ভালোভাবে পড়ে নেবো। এরপর আমরা সারাংশ সারমর্ম তৈরি করবো। তারপর সারাংশ সারমর্ম তৈরি করার নিয়মের দিকে একটু চোখ বুলিয়ে নেব।
জলহারা মেঘখানি বরষার শেষে কবিতা
জলহারা মেঘখানি বরষার’ শেষে
পড়ে আছে গগনের এক কোণ ঘেঁষে। বর্ষাপূর্ণ সরোবর তারি দশা দেখে
সারাদিন ঝিকিমিকি হাসে থেকে থেকে
কহে, ওটা লক্ষ্মীছাড়া, চালচুলাহীন, নিজেরে নিঃশেষ করি, কোথায় বিলীন।
আমি দেখো চিরকাল থাকি জলভরা
সরোবর, সুগম্ভীর নাই নড়াচড়া। মেঘ কহে, ওহে বাপু, করো না গরব,
তোমার পূর্ণতা সে যে আমারই গৌরব
জলহারা মেঘখানি বরষার শেষে সারমর্ম :
উপকারীর উপকার স্বীকার করাই প্রকৃত মনুষ্যত্বের পরিচয়। কিন্তু সমাজে এমন লোক রয়েছে যারা স্বার্থোদ্ধারের পর উপকারীকে পরিহাস করতেও কুণ্ঠিত হয় না। এ-রকম ব্যবহারে তাদের প্রকৃত পরিচয় পাওয়া যায় বলে, উপকারীরাই সমাজে মর্যাদা পেয়ে থাকে।
সারাংশ সারমর্ম তৈরি করার নিয়ম:
সারাংশ সারমর্ম বলতে কোন বৃহত্তর রচনা, যেমন কোন গবেষণাপত্র, সন্দর্ভ, অভিসন্দর্ভ, পর্যালোচনা, সম্মেলন বিবরণী, বা যেকোন বিষয়ের উপর গভীর বিশ্লেষণী কোন রচনার মূল বিষয়বস্তুর ধারণা প্রদানকারী একটি সংক্ষিপ্ত রচনাকে বোঝায়। সারাংশ সাধারণত রচনার শুরুতে বা কখনো কখনো রচনার শেষে সংযুক্ত করা হয়।
শিক্ষায়তনিক গবেষণায় জটিল গবেষণাধর্মী বিষয়সমূহ সহজভাবে বোধগম্য করে তুলতে সারাংশ ব্যবহৃত হয়। সারাংশ সম্পূর্ণ গবেষণাপত্রের পরিবর্তে একটি ছোট সত্তা হিসেবে কাজ করতে পারে। যেমন, অনেক প্রতিষ্ঠান কোন গবেষণার মূলভিত্তি নির্বাচনে সারাংশ ব্যবহার করে, যা কোন শিক্ষায়তনিক সম্মেলনে পোস্টার আকারে, মৌখিক উপস্থাপনার বা মঞ্চে উপস্থাপনার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতে পারে। বেশিরভাগ গবেষণা ডেটাবেজ সার্চ ইঞ্জিনে সম্পূর্ণ গবেষণাপত্র দেওয়ার পরিবর্তে শুরু সারাংশ প্রদান করে থাকে।