ছুটি কবিতা – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ছুটি কবিতাটি শিশু-মন ও শৈশবের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষাকে গভীরভাবে তুলে ধরেছে। এই কবিতার প্রধান চরিত্র “ফটিক” একটি গ্রাম্য ছেলে, যার দুরন্তপনা, আবেগ এবং স্বাধীনচেতা মন স্বাভাবিকভাবেই শহুরে নিয়ম-কানুনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে না। কবিতার মাধ্যমে কবি দেখিয়েছেন কীভাবে শৈশবের স্বাভাবিক জীবনধারা কঠোর সামাজিক নিয়মের চাপে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। ফটিকের করুণ পরিণতি পাঠকের মনে সহানুভূতি জাগায় এবং শৈশবের স্বাভাবিক স্বাধীনতা ও মমতার গুরুত্বকে স্মরণ করিয়ে দেয়। ছুটি কবিতাটি রবীন্দ্রনাথের মানবতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গির একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছুটি কবিতা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 

ছুটি কবিতা – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

মেঘের কোলে রোদ হেসেছে,
বাদল গেছে টুটি,
আজ আমাদের ছুটি, ও ভাই,
আজ আমাদের ছুটি।।
কী করি আজ ভেবে না পাই,
পথ হারিয়ে কোন্‌ বনে যাই,
কোন্‌ মাঠে যে ছুটে বেড়াই,
সকল ছেলে জুটি।।
কেয়াপাতায় নৌকো গড়ে’
সাজিয়ে দেব ফুলে,
তালদিঘিতে ভাসিয়ে দেবো,
চলবে দুলে দুলে।
রাখাল ছেলের সঙ্গে ধেনু
চরাব আজ বাজিয়ে বেণু,
মাখব গায়ে ফুলের রেণু
চাঁপার বনে লুটি।
আজ আমাদের ছুটি, ও ভাই,
আজ আমাদের ছুটি।।

 

 

ছুটি কবিতা আবৃত্তিঃ

 

Leave a Comment