গ্রীষ্মের ছুটিতে বেড়াতে যাওয়া নিয়ে দু বন্ধুর সংলাপ | সংলাপ লিখন | ভাষা ও শিক্ষা , দুই বা ততোধিক ব্যক্তির পারস্পরিক কথােপকথনকে সংলাপ বলা হয়। প্রাত্যহিক জীবনে আমরা প্রতিনিয়ত একে অপরের সাথে কথা বাল। লক্ষ করলে দেখতে পাব এর অধিকাংশ কথাই বিচ্ছিন্ন ও অসম্পূর্ণ এবং যথাযথ শব্দ প্রয়ােগ বা বাক্য বিন্যাস সুসংহত নয়। কিন্তু লিখিত সংলাপে বিচ্ছিন্ন বা অসম্পূর্ণ বাক্য কাম্য নয়।
গ্রীষ্মের ছুটিতে বেড়াতে যাওয়া নিয়ে দু বন্ধুর সংলাপ
রিভু : পরীক্ষা তো শেষ হল, সামনে একমাস গ্রীষ্মের ছুটি। ছুটিতে কক্সবাজার বেড়াতে যাব ভাবছি। তোর কী পরিকল্পনা?
ঋজু : আমার কোনো পরিকল্পনা করতে হয়নি, ভাই। বাবা-মা আগে থেকেই সিদ্ধান্ত করে রেখেছেন, আমার পরীক্ষা শেষ হলেই গ্রামের বাড়ি বেড়াতে যাবেন।
রিভু : তুই তো কখনো কক্সবাজার যাসনি, ঋজু। চল, এবার আমার সঙ্গে কক্সবাজার বেড়িয়ে আসবি। যদিও
আমার পরিকল্পনাটা এখনো বাসায় বাবা-মাকে জানাই নি।
ঋজু : তাহলে তো বেশ ভালোই হল। আমি বলছি কি রিভু, তুই চল আমার সঙ্গে। আমাদের গ্রামের বাড়ির পাশ দিয়ে গোমতী নদী বয়ে গেছে। বিকেলে নদীর পাড়ে ঘোরার মজাটাই আলাদা। নদীর নির্মল বাতাস তোর সর্বাঙ্গে বুলিয়ে দেবে এক স্বাস্থ্যকর আমেজ, আর সবুজ গাছগাছালি তোর মনকে আরও সতেজ করে তুলবে।
রিভু : তুই যে কাব্য শুরু করলি, ঋজু।

ঋজু : কাব্য যে বাস্তব নয়, তোকে কে বলল? গ্রীষ্মের ভর দুপুরে আমবাগানে গিয়েছিস কখনো। নিবিড় ছায়ায় গাছপাকা আম খাওয়ার মজা কেমন টের পেয়েছিস কোনোদিন? পুকুরে সাঁতার কাটার আনন্দ যদি জানতিস। আর বিকেলে নদীর তীরে বেড়াতে বেড়াতে সূর্যাস্ত দেখা।
রিভু : কিন্তু গ্রামে যে ভীষণ গরম ঋজু।
ঋজু : তুই তো গরমের দেশের মানুষ রিভু, গরমকে তোর ভয় কেন? আমি মোটেই গরম-কাতর নরম ছেলে নই । তাছাড়া আমাদের বাড়িতে ইলেকট্রিসিটি আছে। গরম নিয়ে ভাবনার কোনো কারণ নেই।
রিভু : তোর কথা শুনে মনে হচ্ছে আমিও তোর সঙ্গী হয়ে যাই। ঋজু : সত্যি যাবি, আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি আমাদের গ্রামের বাড়ি তোর ভালো না লেগে পারবে না।
রিভু : হয়তো তাই। অসাধারণের পেছনে ছুটোছুটি করতে গিয়ে সাধারণ জিনিস দেখার মন আমরা হারিয়ে ফেলি। ঋজু : কবির কথায়, ‘দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া একটি ধানের শীষের উপর একটি শিশির বিন্দু।
রিভু : চল, তোর সঙ্গে গ্রামের বাড়ির সেই শিশির বিন্দুর খোঁজেই যাই। বাবা-মর কাছ থেকে অনুমতিটা পেলেই হলো।
ঋজু : অবশ্যই অনুমতি দেবেন।
রিভু : তাই যেন হয়।
আরও দেখুন: