খাঁটি বাংলা সন্ধি | সন্ধি ও সন্ধি-গঠন | ভাষা ও শিক্ষা

খাঁটি বাংলা সন্ধি | সন্ধি ও সন্ধি-গঠন | ভাষা ও শিক্ষা , বাংলা ভাষার সন্ধি খাঁটি বাংলা সন্ধি নামে পরিচিত। অনেকের মতে, সন্ধির নিয়ম শুধু সংস্কৃত শব্দের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। খাঁটি বা চলিত বাংলা শব্দ পাশাপাশি উচ্চারণের সময় এক ধরনের ধ্বনিগত পরিবর্তন হয়।

খাঁটি বাংলা সন্ধি | সন্ধি ও সন্ধি-গঠন | ভাষা ও শিক্ষা

যেমন : পাঁচ + জন = পাজ্জন উচ্চারণ করা হলেও লেখার সময় এক শব্দে না লিখে আলাদাভাবে ‘পাঁচ জন’ লেখা হয়। চলিত ভাষার উচ্চারণের সময়ে এ-ধরনের যে-পরিবর্তন হয় তা বানানে দেখানো হয় না। তাই অনেকে যুক্তি দেখান যে, খাঁটি বাংলায় কোনো সন্ধি নেই।

খাঁটি বাংলা সন্ধি | সন্ধি ও সন্ধি-গঠন | ভাষা ও শিক্ষা

কিন্তু এ-কথাও সত্য যে, বাংলা ভাষার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী কিছু কিছু সন্ধি দেখা যায়, যা সংস্কৃত সন্ধির বৈশিষ্ট্য বা নিয়ম থেকে আলাদা। তাই বাংলা ভাষার সন্ধির ফলে যে-সব নতুন শব্দ তৈরি হয়েছে তা একান্তই বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডারের নিজস্ব সম্পদ এবং তা খাঁটি বাংলা ভাষার সন্ধিজাত শব্দ হিসেবে গণ্য । খাঁটি বাংলা ধ্বনি-পরিবর্তনের নিজস্ব রীতি গড়ে উঠেছে।

খাঁটি বাংলা সন্ধি | সন্ধি ও সন্ধি-গঠন | ভাষা ও শিক্ষা

বাংলা ভাষার সন্ধি প্রধানত দু ধরনের : ১. বাংলা স্বরসন্ধি এবং ২. বাংলা ব্যঞ্জনসন্ধি। খাঁটি বাংলা ভাষায় বিসর্গের উচ্চারণ নেই বলে বাংলায় বিসর্গ সন্ধি হয় না। সংস্কৃত শব্দেই কেবল বিসর্গসন্ধি হয়ে থাকে। ব্যাকরণ বলতে সাধারণত ভাষার কাঠামোর, বিশেষ করে শব্দ ও বাক্যের কাঠামোর, গবেষণাকে বোঝায়। এ অর্থে ব্যাকরণ হল কোন ভাষার রূপমূলতত্ত্ব ও বাক্যতত্ত্বের আলোচনা। কখনও কখনও আধুনিক ভাষাবিজ্ঞানে ব্যাকরণ পরিভাষাটি দিয়ে কোন ভাষার কাঠামোর সমস্ত নিয়মকানুনের বর্ণনাকে বোঝানো হয়, এবং এই ব্যাপকতর সংজ্ঞার ভেতরে ঐ ভাষার ধ্বনিতত্ত্ব ও প্রয়োগতত্ত্বের আলোচনাও চলে আসে।

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

আরও দেখুন:

Leave a Comment