কোথায় স্বর্গ কোথায় নরক | ভাব-সম্প্রসারণ | ভাষা ও শিক্ষা , ভাবসম্প্রসারণ কি তা বললে বোঝায়, কবি, সাহিত্যিক, মনীষীদের রচনা কিংবা হাজার বছর ধরে প্রচলিত প্রবাদ প্রবচনে নিহিত থাকে জীবনসত্য। এ-ধরনের গভীর ভাব বিশ্লেষণ করে তা সহজভাবে বুঝিয়ে দেওয়াকে বলে ভাবসম্প্রসারণ।
কোথায় স্বর্গ কোথায় নরক/ কে বলে তা বহুদূর
অপার্থিব জগতে স্বর্গ ও নরকের অস্তিত্ব কল্পনা করা হলেও প্রকৃতপক্ষে স্বর্গ ও নরকের অবস্থান মানুষের মধ্যেই বিরাজমান ।ধারণা করা হয়, স্বর্গ-নরকের অস্তিত্ব আছে পরলোকে। স্বর্গে বাস করে পুণ্যবান, ভোগ করে অনন্ত সুখসম্ভোগ। আর নরকে বাস করে পাপাচারীগণ, ভোগ করে কঠিন শাস্তি। কিন্তু এ জগতেই আমরা এই স্বর্গ-নরকের উপস্থিতি প্রতিনিয়ত প্রত্যক্ষ করি। পৃথিবীর বুকে মানুষের মাঝেই এই স্বর্গ নরকের অবস্থান লক্ষণীয়।
নিজের কর্মফলের মধ্য দিয়েই মানুষ এখানে স্বর্গ-নরকের ফল ভোগ করে। লোভ লালসা ইত্যাদি মানুষকে …পক্ষান্তরে হিংসা, দ্বেষ, লোভ-লালসা অন্তর থেকে বিদূরিত করে সরলপ্রাণে ঐক্য এবং শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে কর্মের পথেঅগ্রসর হলে এই ধূলির পৃথিবীতেই শান্তি ও সুখের স্বর্গ রচনা করা যায়। স্বর্গ ও নরক কেবল পরলােকের ব্যাপার নয়। ইহলােকেও তা বিরাজমান। বিবেকহীন মানুষের অপকর্ম ও বর্বরতা সীমা ছাড়িয়ে গেলে জগৎ হয়ে ওঠে নরকতুল্য। অন্যদিকে মানুষে মানুষে সম্প্রীতির বন্ধনে মিলেমিশে বসবাস করলে যে এক নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠে তখন জগৎ হয়ে ওঠে স্বয় সুষমাময়।এই পৃথিবীতে মানুষের মাঝেই স্বর্গ ও নরক বিদ্যমান।
বিবেকহীন মানুষ পৃথিবীতেই নরক যন্ত্রণা ভোগ করে, আর যারা ভালোবাসা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলে তাদের কাছে পৃথিবীটাই স্বর্গ। প্রকৃতপক্ষে স্বর্গ ও নরকের অবস্থান মানুষের মধ্যেই বিরাজমান। রিপুর তাড়নায় মানুষ বিবেকহীন নরকের যন্ত্রণা সৃষ্টি করে। প্রেমময় ও কল্যাণময় আচরণ স্বর্গসুখ নিয়ে আসে।স্বর্গ (Heaven) নরকের (Hell) অস্তিত্ব আছে পরকালে। স্বর্গে বাস করে পুণ্যবানেরা, ভােগ করে অনন্ত সুখ-শান্তি । আর নরকে বাস করে পাপাচারীরা, ভােগ করে কঠিন শাস্তি। কিন্তু এ জগতেই আমরা স্বর্গ-নরকের অস্তিত্ব প্রতিনিয়ত প্রত্যক্ষ করি। পৃথিবীর (Earth) বুকে মানুষের মাঝেও এ স্বর্গ-নরকের অবস্থান লক্ষণীয়। নিজের কর্মফলের মধ্য দিয়েই মানুষ এখানে স্বর্গ-নরকের ফল ভােগ করে। লােভ-লালসা ইত্যাদি মানুষকে অন্যায়ের পথে ঠেলে দেয়।

অন্যায় আচরণ ও পাপাচারের ফলে সমাজে নেমে আসে ঘােরতর অন্ধকার ও চরম অশান্তি। ফলে সমাজ নরকের ক্ষুদ্র সংস্করণ হয়ে ওঠে। পক্ষান্তরে হিংসা, দ্বেষ, লােভ-লালসা অন্তর থেকে বিদূরিত করে সরল প্রাণে ঐক্য ও শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে সংসারেই নেমে আসে স্বর্গীয় সুষমা ও শান্তি। মাটির পৃথিবী তখন হয়ে ওঠে স্বর্গীয় লীলা-নিকেতন। পৃথিবীর মানুষ তার কর্মফলের মাধ্যমেই স্বর্গের সুখ ও নরকের যন্ত্রণা ভােগ করে থাকে। মানুষের অপকর্মের ফল নরকযন্ত্রণা আর মহৎ কাজের ফল স্বর্গীয় আনন্দ।পৃথিবীর সুখ ও দুঃখ সৃষ্টি মানুষের নিজের ওপর নির্ভর করে। মানুষের আপন কর্মের ফলেই এই পৃথিবী হতে পারে স্বর্গ আবার হতে পারে নরক।
আরও দেখুন: