Site icon Bangla Gurukul [ বাংলা গুরুকুল ] GOLN

কুসংস্কার সমস্যা | সামাজিক সমস্যা ও বিষয়াবলী | বাংলা রচনা সম্ভার

কুসংস্কার সমস্যা | সামাজিক সমস্যা ও বিষয়াবলী | বাংলা রচনা সম্ভার , ভূমিকা : প্রাচীনকাল থেকেই পৃথিবীর প্রত্যেক দেশে, প্রত্যেক জাতির মধ্যে কিছু কিছু সংস্কার প্রচলিত আছে। এ সংস্কারের পাশাপাশি কিছু কুসংস্কারও প্রচলিত আছে। বলাবাহুল্য সংস্কার ভালো, কিন্তু কুসংস্কার দেশ, জাতি ও ব্যক্তির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। কারণ কুসংস্কার মানুষের কোনো মঙ্গল সাধন করে না, বরং ক্ষতিই করে থাকে। এসব কুসংস্কারের পেছনে কোনো যুক্তিতর্ক থাকে না, অন্ধবিশ্বাসই এর মূলভিত্তি। জিন অস্ট্রিম বে ‘Superstition is the destructive element that corrodes national status of a nation predominantly’

কুসংস্কার সমস্যা | সামাজিক সমস্যা ও বিষয়াবলী | বাংলা রচনা সম্ভার

কুসংস্কার

কুসংস্কারের স্বরূপ : কুসংস্কার বলতে আমরা সমাজে প্রচলিত এমন কতগুলো অন্ধবিশ্বাস বা ধ্যান- ধারণাকে বুঝি যা সমাজের অগ্রগতির প্রতিবন্ধক, জীবন বিকাশের অন্তরায় এবং যুক্তি বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গির পথে বাধা স্বরূপ। কুসংস্কার সমাজে স্থবিরতা ও প্রগতির সামনে প্রতিবন্ধক সৃষ্টি করে। কুসংস্কার অন্ধবিশ্বাস এবং গোঁড়ামিতে আচ্ছন্ন।

 

এর পেছনে কোনো যুক্তিতর্ক থাকে না। কুসংস্কার মানবসমাজের উন্নতিতে বাধাস্বরূপ, মোটকথা, যে সংস্কারকে সত্যের কষ্টি পাথরে যাচাই করা যায় না এবং যার পেছনে কোনো যৌক্তিক ভিত্তি থাকে না, তাই কু’সংস্কার বলে পরিচিত। Encyclopaedia of Britannica-র সংজ্ঞায়িত হয়েছে, Superstition means depression and disappointment that are emanated from the ignorance, wrong traditions and evilism of a nation.’

কুসংস্কারের উৎপত্তি : ঠিক কবে থেকে কু’সংস্কারের উৎপত্তি সঠিকভাবে বলা মুশকিল। তবে বর্জন-সংযোজনের মাধ্যমে মানুষের আদিম অবস্থা থেকেই তার অপরিহার্য অঙ্গ হিসেবে চলে আসছে বলা চলে। আধুনিক যুগে আমরা যাকে কার্যকারণ সম্পর্ক বলি তা-ই আদিম যুগে ছিল কাকতালীয় ঘটনা। তবে আদিম মানুষও বিশ্বাস করত, কারণ ছাড়া কোনো কিছুই ঘটে না। শত্রুর আক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করে ক্ষুধা নিবারণের জন্য শিকারে তাদের ভীষণ সতর্ক থাকতে হতো। কেননা প্রতি মুহূর্তে শিকার ফসকে যাওয়া কিংবা মৃত্যুর মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তাই আদিম মানুষ তাদের পরিচিত সীমাবদ্ধ জগতের সর্বত্র সচেতন দৃষ্টি রেখে বিভিন্ন সংকেত বা চিহ্নের সাথে পরিচিত হয়ে উঠেছিল।

শিকারের পদচিহ্ন বোঝার শিকার প্রাপ্তি আর পাখির কলকাকলি বোঝাত বসন্ত ঋতু। আর বারবার একই ঘটনা ঘটায় মানুষ এগুলোকে বিশেষ পরিণতি হিসেবে ভেবে নিতে শেখে। এমনিভাবে বজ্রপাত, ভূমিকম্প ইত্যাদি ঘটনায় শিকারে ব্যর্থ হওয়া, শত্রু দ্বারা আক্রান্ত হওয়া কিংবা কারো মৃত্যু ইত্যাদি বিশ্বাসের জন্ম দেয়। পরিণামে এগুলো সংস্কার সৃষ্টির ক্ষেত্রে অন্যতম উৎস হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। সংস্কার উদ্ভবের মূলে ধর্মীয় নির্দেশ বা আচার গ্রহণ করে বিশেষ ভূমিকা । প্রাচীন গ্রন্থ ঋকবেদে এ ধরনের কিছু নমুনা আছে।

বিভিন্ন ধরনের কুসংস্কার : বিজ্ঞান আর কু’সংস্কার বিপরীত দুটো বিষয়। মানুষ যতই বিজ্ঞান-মনস্ক হচ্ছে কু’সংস্কার ততই সংকুচিত হচ্ছে। একসময় ইংরেজি শিক্ষা, নারী শিক্ষার ঘোর বিরোধিতা করা হতো। হিন্দু সমাজে ছিল সতীদাহ প্রথার মতো ভয়াবহতা। আজ সতীদাহ প্রথা না থাকলে কৌলীন্য প্রথা আছে। অনেকেই রাসিফল, হাতগোনা কিংবা ভাগ্য বদলাতে পাথরে বিশ্বাস করেন। চিকিৎসায় পানি পড়া বা ঝাড়ফুঁকের তো রয়েছেই। এমনকি জন্ডিসের মতো জটিল রোগের চিকিৎসাও হাত ধুইয়ে করা হয়। ঘর থেকে বের ৩৪৯ হওয়ার সময় হোঁচট খেলে, ঝাঁটা কিংবা খালি কলসি দেখলে, হাঁচি দিলে কেউ কেউ খানিকটা বসে তারপর যাত্রা করেন।

পেঁচার ডাক অমঙ্গলসূচক, পেছন থেকে কাউকে ডাকা অশুভ, বিবাহিতা নারী এলোচুলে খেতে বসলে স্বামী পাগল হয়ে যায়, রাতে নখ কাটতে নেই, জোড়া ফল খেলে যমজ সন্তান হয়, শিশুর জন্মবারে চুল কাটলে শিশুর অমঙ্গল হয়, গায়ে জামা পরা অবস্থায় সেলাই করলে দারিদ্র্য বৃদ্ধি পায়, শিশুর দুধের দাঁত ইঁদুরের গর্তে ফেললে ইঁদুরের মতো ধারালো দাঁত হয় ইত্যাদি হাজারো কু’সংস্কার প্রচলিত রয়েছে। লোকের বিশ্বাস সাত সংখ্যা সৌভাগ্যের, তের সংখ্যা দুর্ভাগ্যের আর চারশ বিশ্ব সংখ্যা প্রতারণার ।

কুসংস্কারের বৈচিত্র্য : দেশ, জাতি ও সমাজভেদে কু’সংস্কারের বৈচিত্র্য পরিলক্ষিত হয়। যেমন— যে সমাজের মানুষ যত শিক্ষিত বা সচেতন সে সমাজে কুসংস্কার তত কম। আবার একটু লক্ষ্য করলে দেখা যায়, এক এক দেশে এক এক ধরনের কুসংস্কার বিদ্যমান। অনেক সময় দেখা যায়, যে দেশের উপর দিয়ে যত বেশি যুদ্ধ বা বিপদের ঝড়-ঝঞ্ঝা প্রবাহিত হয়েছে সে দেশ বা জাতি তত বেশি কু’সংস্কারমুক্ত। কারণ বাস্তবতার অভিঘাতে তারা মিথ্যা ও অন্ধবিশ্বাসকে পরিত্যাগ করতে বাধ্য হয়। এক্ষেত্রে ইউরোপের দেশসমূহ বা জাপানকে উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করা যায়। আবার আমেরিকান বা আরো অনেক জাতি আছে যারা শিক্ষার মাধ্যমে কু’সংস্কারমুক্ত হতে পেরেছে।

একটি ঘটনার বর্ণনা : এখনকার শিক্ষিত সমাজেও কু’সংস্কার অনেক ক্ষতিসাধন করে । মানুষ অনেক ক্ষেত্রে দুঃখ- দুর্দশার শিকার হয়। আর এসব যে মানুষের কু’সংস্কারের জন্যই হয়ে থাকে তা বলাই বাহুল্য। মধ্যযুগের ইংল্যান্ডের একটি প্রসিদ্ধ ঘটনা আমাদের সকলেরই জানা। ঘটনাটি জোয়ান অব আর্ক নামক এক বীরবালা সম্পর্কে। এই ফরাসি বীরবালা জনৈক দরিদ্র কৃষকের কন্যা। তার শৌর্য ও উদ্দীপনায় ফরাসিরা ইংরেজদের অরলিয়েন্স থেকে বিতাড়িত করে। পরে বার্গেন্ডির ডিউক তাকে আহত অবস্থায় ধৃত করে করে ইংরেজদের হাতে সমর্পণ করলে জোয়ান অব আর্ককে ‘ডাকিনী’ বলে আখ্যায়িত করে এবং কু’সংস্কার বশে তাকে নৃশংসভাবে পুড়িয়ে হত্যা করে।

আজ ইউরোপ তথা পশ্চিমী দেশগুলোতে অনেক রকমের কু’সংস্কার সমাজ অঙ্গ থেকে নির্মূল হয়েছে; তথাপি কোনো উন্ন সমাজে কু’সংস্কার মাঝে মধ্যে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে এবং বিড়ম্বনার সৃষ্টি করে। ফলে দেখা যায় যে, পৃথিবীর উন্নত সমাজ গোষ্ঠীর প্রতিনিধি হওয়া সত্ত্বেও কোনো কোনো নর-নারীর মধ্যে কু’সংস্কার এখনো বহাল তবিয়তে বিদ্যমান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শ্বেতাঙ্গরা কেবল বর্ণ বা গায়ের রঙের জন্য কৃষাঙ্গদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ জাতি এ বিশ্বাস অবশ্যই কু’সংস্কার থেকে জাত ।

কুসংস্কারের ক্ষতিকর প্রভাব : কুসংস্কার একটি জাতির জন্য মারাত্মক অভিশাপ। কু’সংস্কার জাতিকে সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ইত্যাদি নানাদিক থেকে পঙ্গু করে ফেলে। কু’সংস্কার মানুষের সঠিক চিন্তা-চেতনা ও বুদ্ধি বিকাশের পথে বড় ধরনের অন্তরায়। বিজ্ঞানের আশীর্বাদ গ্রহণে মানুষকে দ্বিধান্বিত করে ।

এতে সমাজে যুক্তিবাদ ও প্রগতিশীল চেতনা মুখ থুবড়ে পড়ে। কু’সংস্কার মানবতার জন্য এক চরম অভিশাপস্বরূপ । কুসংস্কারাচ্ছন্ন হয়ে অনেক সময় নরবলি করার মতো ঘটনাও ভারতবর্ষে দেখা যায়। অসুস্থতায় অনেক উপযুক্ত চিকিৎসা পর্যন্ত গৃহীত হয় না। বিনা চিকিৎসায় মারা যায় মানুষ। কু’সংস্কার মানুষে মানুষে, জাতিতে জাতিতে ও বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে। কু’সংস্কার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করে এবং দেশ ও জাতিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়। তাই কু’সংস্কার যে কোনো সভ্য জাতির জন্য কলঙ্কস্বরূপ।

কুসংস্কার মুক্তচিন্তার অন্তরায় : কু’সংস্কারাচ্ছন্ন ব্যক্তি মুক্তবুদ্ধি ও মুক্তচিন্তার অধিকারী হয় না। তার মন আটকে থাকে পুরানো সংস্কারের মধ্যে। ফলে জীবনের সাধনা বাধাগ্রস্ত হয় এবং সমাজ ও জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে । ইংরেজি শিক্ষা ও নারীশিক্ষা সম্পর্কিত কু’সংস্কার জাতির জন্য ভয়ানকভাবে ক্ষতি সাধন করেছে। সমাজে আভিজাত্যবোধ সমাজকে পঙ্গু করে রেখেছে। এ পঙ্গুত্ব বিমোচনের জন্য শক্তিশালী নেতা ও সমাজ সংস্কারকের প্রয়োজন হয় ।

কু’সংস্কারের বর্তমান অবস্থা : বর্তমান কু’সংস্কার সম্পর্কিত সমস্যার অনেক লাঘব ঘটেছে। এ যুগে শিক্ষার সম্প্রসারণ হয়েছে, নাগরিক জীবনের সুযোগসুবিধা বৃদ্ধি পেয়েছে। রেডিও টেলিভিশনের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত জনগণ বিভিন্ন কার্যকলাপ সম্পর্কে জানতে পারছে। নিজেদের বাস্তব অবস্থা সম্পর্কে ধারণা হচ্ছে। ফলে কু’সংস্কারের প্রভাব অনেকাংশে কমেছে। তাছাড়া মানুষের জীবন ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে; অর্থনৈতিক সমস্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। জটিল সমস্যাময় জীবনে পুরানো সব কু’সংস্কার আঁকড়ে বসে থাকলে জীবনের সার্থকতা আশা করা চলে না।। প্রয়োজন যেখানে বেশি সেখানে কু’সংস্কারের গুরুত্ব বেশি হলে মানুষ পশ্চাৎমুখী হতে বাধ্য।

 

কুসংস্কার ও বাঙালি সমাজ : কু’সংস্কার নামক অভিশাপের প্রকোপ আমাদের সমাজে অনেক বেশি। আমাদের সমাজের আনাচে-কানাচে এ অভিশাপ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে আছে। কারণ আমাদের সমাজের অধিকাংশ লোক অশিক্ষিত। তাই কু’সংস্কার নামক ভূত আমাদের ঘাড়ে চেপে বসেছে। এ কু’সংস্কার এদেশের হিন্দু-মুসলমান উভ সম্প্রদায়ের মধ্যেই পরিলক্ষিত হয়। হিন্দুদের জাতিভেন, বাতেন, পূজা-পার্বণ এবং নাচের অনুষ্ঠা মধ্যেই এ কু’সংস্কার নিহিত। এ কুসংস্কারগুলো কিছু কিছু শাস্ত্রানুমোদিত এবং কতগুলো হচ্ছে লোকাচার ভিত্তিক। কু’সংস্কার জাতি বা পরিবার ভিত্তিকও হয়ে থাকে। জাতিভেদ সম্পর্কিত কু’সংস্কার তিন ভাগে বিভক্ত। যথা :

১. জাত্যন্তরে বিবাহ নিষেধ,

২. অন্য জাতির রান্না করা বা তৈরি খাবার খাওয়া নিষেধ ও

৩. বংশপরম্পরায় বৃত্তি নির্বাচনে বিবিধ বিধি-নিষেধ।

হিন্দু সমাজে আরো আছে স্ত্রীলোক সম্পর্কিত নানা কু’সংস্কার। যেমন- বিধবাদের আহার সংক্রান্ত বিধি-নিষেধ। এগুলো ছাড়াও সমাজে রয়েছে মহামারীর সময় চিকিৎসকের শরণাপন্ন না হয়ে ওঝার শরণাপন্ন হওয়া। ভূত-প্রেতের দোহাই দেয়া, পানি পড়া, পান করা ইত্যাদি কু’সংস্কার হিন্দু ও মুসলমান উভয় সমাজে পরিলক্ষিত হয়। তিথি, নক্ষত্র, তারিখ, যাত্রাকালে বাধাপ্রাপ্ত হওয়া টিকটিকির ডাক, হাঁচি, শূন্য কলস দেখা অমঙ্গলের লক্ষণ ইত্যাদি হাজারো কু’সংস্কার আমাদের সমাজে প্রচলিত। শ্মশানে তালগাছে, বেলগাছে, তেঁতুল গাছে, বাঁশঝাড়ে ভূত-প্রেত বসবাস করে এমন সব অলৌকিক বিশ্বাস আমাদের সমাজে প্রচলিত মোটকথা, প্রাচীনকাল থেকেই আমাদের সমাজে কু’সংস্কারের রাজত্ব চলছে ।

কুসংস্কার থেকে মুক্তি : কু’সংস্কার মানুষের জন্য সব সময়ই অমঙ্গলজনক। তাই এ কু’সংস্কারকে সকলেরই বর্জন করা উচিত। আর কু’সংস্কার বর্জনের একমাত্র উপায় হচ্ছে জাতিকে শিক্ষিত করে তোলা। একমাত্র সুশিক্ষাই পারে জাতিকে কু’সংস্কারের অভিশাপ থেকে রক্ষা করতে। সাথে সাথে সকলকে বিজ্ঞানের বাস্তব সত্য উপলব্ধি করতে হবে।

এ ব্যাপারে আমাদের গণমাধ্যমগুলোও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। রেডিও, টেলিভিশন সংবাদপত্র প্রভৃতিতে কুসংস্কারের কুফল সম্পর্কে নাটক, ফিচার, কথিকা ইত্যাদি প্রচার করতে হবে। ধর্মের প্রবর চর্চা বিশেষ করে ইসলামের প্রকৃত স্বরূপ অনুধাবন করা গেলে কুসংস্কার থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। কারণ ইসলাম বৈজ্ঞানিক ও স্বচ্ছচিন্তার ধর্ম। এতে অজ্ঞতা ও কু’সংস্কারের কোনো স্থান নেই ।

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

উপসংহার: কুসংস্কার সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে জর্জ লিলি বলেছেন, ‘কুসংস্কার মানুষের জীবনে অনেক বিপদ ডেকে আনতে পারে।’ সুতরাং কু’সংস্কারমুক্ত সমাজ গড়া একান্ত আবশ্যক। জীবনে সার্থকতা লাভের জন্য কু’সংস্কারকে অভিে করা দরকার। আর এর জন্য দরকার শিক্ষিত সমাজ ও সম্মিলিত প্রচেষ্টা। স্রোতহীন নদীতে যেমন অজস্র শৈবাল এসে নিজের স্থান দখল করে নেয় এবং স্রোতধারায় বাধা সৃষ্টি করে, তেমনি কু’সংস্কারও সমাজের সকল উন্নতি ও অগ্রগতিকে ব্যাহত করে। তাই শিক্ষিত সচেতন জাতি গড়ে সমাজকে কুসংস্কারমুক্ত করা অত্যন্ত জরুরি।

 

আরও দেখুন:

Exit mobile version