Site icon Bangla Gurukul [ বাংলা গুরুকুল ] GOLN

এসেছে নতুন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান কবিতা ও সারাংশ সারমর্ম

এসেছে নতুন শিশু, তাকে জায়গা করে দিতে হবে”—এই পাঠের সারাংশ ও সারমর্ম আজ আমরা জানব। এটি আমাদের ‘ভাষা ও শিক্ষা’ সিরিজের ‘সারাংশ ও সারমর্ম’ বিভাগে অন্তর্ভুক্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ পাঠ।

এসেছে নতুন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান কবিতা ও সারাংশ সারমর্ম

এসেছে নতুন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে হবে… রচনাটি ভালোভাবে পড়ে নেবো। এরপর আমরা সারাংশ সারমর্ম তৈরি করবো। তারপর সারাংশ সারমর্ম তৈরি করার নিয়মের দিকে একটু চোখ বুলিয়ে নেব।

 

এসেছে নতুন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান কবিতা

এসেছে নতুন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান;

জীর্ণ পৃথিবীতে ব্যর্থ, মৃত আর ধ্বংসস্তূপ-পিঠে।

চলে যেতে হবে আমাদের।

চলে যাব তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ

প্রাণপণে পৃথিবীর সরাবো জঞ্জাল,

এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য ক’রে যাবো

আমি নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।

 

এসেছে নতুন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান সারমর্ম :

পৃথিবীতে নতুনের জন্যে পুরাতনকে স্থান ছেড়ে দিতে হয়—এটাই প্রকৃতির নিয়ম। জীর্ণপৃথিবীর বাই মৃত, ধ্বংসস্তূপ আর গ্লানি দূর করে তাকে নবীনদে বাসযোগ্য আবাসভূমি হিসেবে গড়ে তোলাই আমাদের একমাত্র কাম্য।

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

বক্তা বা লেখক মনের বিচিত্র ও গভীর ভাব তাঁর নানা উপমা, অলংকার, বিশেষণ ইত্যাদির সাহায্যে প্রকাশ করেন। রচনা গদ্য কিংবা কবিতা যাই হোক, তার মৌলিক অংশটুকু বিবেচনার বিষয়। বক্তা বা লেখকের বক্তব্যের সার বা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অংশই সারাংশ। পক্ষান্তরে কোনো গদ্য বা পদ্য রচনার মূলভাব বা মর্মকথা সক্ষেপে গুছিয়ে লেখার নামই সারমর্ম। প্রদত্ত গদ্য বা গদ্যাংশের ভাষা বড় কথা নয়, ভাষাতীত ভাব, অর্থাৎ ভাবের মর্মার্থ বিবেচনার বিষয়। মূলীভূত ভাবের যথার্থ ব্যঞ্জনা বা লেখকের উদ্দিষ্ট বক্তব্য খুঁজে বের করাই সারমর্ম লিখনের প্রথম শর্ত। কল্পনা বা ভাব দ্যোতনার মাধ্যমে নিজস্ব ভাষায় সংক্ষেপে সারমর্ম লিখতে হয়।

কবি-সাহিত্যিকগণ যখন তাঁদের সাহিত্যের রচনাকে সৃষ্টি করেন তখন মূলকথাটি রসমধুর করে অর্থাৎ খুবই মর্মগ্রাহী করে প্রকাশ করেন। এর মূল লক্ষ্য হল শ্রোতা বা পাঠকের মনকে আকর্ষণ করা। আর এ-জন্যে মূলকথাটির সঙ্গে বেঁধে দেয়া হয় ছন্দ, অলঙ্কার, উপমা, দৃষ্টান্ত ইত্যাদি। ফলে মূল বক্তব্যের গায়ে লাগে রসের প্রলেপ। রবীন্দ্রনাথের ভাষায়, ‘শুধু কথা যখন খাড়া দাঁড়িয়ে থাকে, তখন কেবলমাত্র অর্থকে প্রকাশ করে। কিন্তু, কথাকে যখন তির্যক ভঙ্গি ও বিশেষ গতি দেওয়া যায়, তখন সে আপন অর্থের চেয়ে আরও কিছু বেশি প্রকাশ করে। সেই বেশিটুকু যে কী, তা বলা শক্ত। কেননা, তা কথার অতীত; সুতরাং অনির্বচনীয়। যা আমরা দেখছি, শুনছি, জানছি তার সঙ্গে যখন খুঁজে বের করা একটু কঠিনই হয়।

Exit mobile version