এলাকায় ছিনতাইয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্যে পত্র | আবেদন পত্র | ভাষা ও শিক্ষা ,আবেদন পত্র লেখার নিয়ম আমাদের ছাত্র জীবন থেকে কর্মজীবন সব জায়গায় প্রয়োজন হয়। বিভিন্ন কাজের জন্যই আমাদের বিভিন্ন রকম দরখাস্ত লেখার নিয়ম জানার দরকার হয়ে থাকে। ছোটবেলায় ছুটির জন্য আবেদন পত্র লেখার নিয়ম শেখা কিংবা পড়াশোনা শেষে চাকরির দরখাস্ত লেখা, বাস্তবিক অর্থে আবেদন পত্র লেখার জন্য সবার মাঝেই প্রথমবার একটি অস্বস্তি অনুভব হয়ে থাকে। তাছাড়া, চাকরির দরখাস্ত লেখার নিয়ম নিয়ে আমাদের একটু বাড়তি সতর্কতাই অবলম্বন করতে হয়। তাই, আবেদন পত্র লেখার নিয়ম বাংলা কিংবা ইংরেজি যে ভাষাতেই হোক না কেন তা সঠিকভাবে জানা প্রয়োজন।
আবেদন পত্র লেখার নিয়ম নিয়ে কোনো বিষয় অজানা থাকলে বা মনে দ্বিধাগ্রস্ত হলেও অন্য কারো সাহায্য গ্রহন করতে অস্বস্তিবোধ হয়। কারন শিক্ষাগত যোগ্যতার বিপরীতে কারো কাছে এধরনের সহযোগিতা চাওয়াটা বিব্রতকর মনে ওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। তাই আমাদের উচিৎ আবেদনপত্র লেখার নিয়মগুলো সঠিকভাবে আয়ত্বে নিয়ে আসা। কিভাবে দরখাস্ত লিখতে হয়, কোন আবেদনপত্রের ফরম্যাট কেমন হবে, কি ধরনের তথ্য সংযুক্তি হিসেবে দিতে হবে, সেসব বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান অর্জন করা।

এলাকায় ছিনতাইয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্যে পত্র
তারিখ : ১২ জুন, ২০০০
সম্পাদক,
দৈনিক জনকণ্ঠ
২৪/এ নিউ ইস্কাটন রোড, ঢাকা।
‘খ’, ২৯/ডি, কল্যাণপুর, মিরপুর, ঢাকা।
জনাব,
আপনার সম্পাদিত বহুল প্রচারিত পত্রিকার ‘চিঠিপত্র’ বিভাগে এই পত্রটি প্রকাশ করলে বাধিত হব। আমার নাম প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করছি। ক্রমবর্ধমান ছিনতাইয়ের ঘটনায় জনজীবন অতিষ্ঠ ঢাকা মহানগরীর কল্যাণপুর একটি জনবহুল এলাকা। এখানে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ দীর্ঘদিন যাবৎ নিরবচ্ছিন্ন সুখ- শান্তিতে বসবাস করে আসছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি ছিনতাইকারীদের উপদ্রবে এখানকার জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল তরুণ রাস্তার মোড়ে মোড়ে জটলা বেঁধে হই-হল্লা করে, চায়ের দোকানে আড্ডা জমায়। সন্ধ্যার পর এখানকার রাস্তায় যাতায়াত করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। প্রায় প্রতিদিনই এখানে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে।
এ মাস্তানরা সংঘবদ্ধভাবে পথচারীকে হয়রানি করে। অস্ত্র দেখিয়ে তারা ঘরি, অর্থ, ব্যাগ ইত্যাদি ছিনতাই করে। আবার ছিনতাইয়ের সঙ্গে দৈহিকভাবেও কেউ কেউ নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। মাঝে মাঝে তারা দোকানে দোকানে চাঁদা ওঠায়। এলাকার ব্যবসায়ী কিংবা ঠিকাদারদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করে নেয়। ইদানীং স্কুটারে চড়েও রিক্সাযাত্রীদের গতিরোধ করে ছিনতাই করছে। তারা প্রায় প্রতিদিনই মারামারি আর ঝগড়া-ফ্যাসাদে লিপ্ত থাকে। তাদের দ্বারা সংঘটিত খুন, রাহাজানি নিত্য-নৈমিত্তিক ঘটনা। এলাকার বাসিন্দারা তাদের ভয়ে সব সময় তটস্থ থাকে। এ অপকর্মের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে চাইলে প্রাণনাশের হুমকিও দেয়া হয়।
রাত দশটার পরে রাস্তা দিয়ে কোনো ভদ্রলোক হেঁটে যেতে পারে না। সন্ধ্যায় যখন লোডশেডিং হয় তখনই তারা উৎসব জমিয়ে ফেলে। এলাকাটি ক্রাইম জোন হিসেবে পরিচিত এবং এখানকার অনেক খবর ইতোপূর্বে পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। কিন্তু কোনো প্রতিকার হয় নি। বরং পত্রিকায় ছাপা হলে তাদের অত্যাচারের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। তাই এলাকার জনগণ মুখ বুজে সব সহ্য করে যাচ্ছে। সে যা-ই হোক, আমরা সবাই নিরাপদে বাঁচতে চাই। কোনো প্রকার আতঙ্কে না থেকে চাই নির্বিঘ্নে জীবনযাপন করতে। আর এ কারণেই উক্ত এলাকার নিরীহ জনতা সরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুদৃষ্টি প্রত্যাশা করছে। আশা করি, অচিরেই কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করে এলাকাবাসীকে ছিনতাইকারীদের থাবা থেকে মুক্তি দেবেন।
বিনীত
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।
২৯ / ডি, কল্যাণপুর, মিরপুর, ঢাকা।
আরও দেখুন: