উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন গদ্য বিশ্লেষণ

উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন গদ্য বিশ্লেষণ। উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন পাঠটি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের দাখিল ও বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রমের এসএসসি বাংলা প্রথম পত্র, সাহিত্যপাঠ এর অংশ।

 

কাজী নজরুল ইসলাম

 

ভাব ও কাজ । কাজী নজরুল ইসলাম

 

কাজী নজরুল ইসলাম (২৪ মে ১৮৯৯ – ২৯ আগস্ট ১৯৭৬; ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬ – ১২ ভাদ্র ১৩৮৩ বঙ্গাব্দ) বিংশ শতাব্দীর প্রধান বাঙালি কবি ও সঙ্গীতকার। তার মাত্র ২৩ বছরের সাহিত্যিক জীবনে সৃষ্টির যে প্রাচুর্য তা তুলনারহিত। সাহিত্যের নানা শাখায় বিচরণ করলেও তার প্রধান পরিচয় তিনি কবি।

তার জীবন শুরু হয়েছিল অকিঞ্চিতকর পরিবেশে। স্কুলের গণ্ডি পার হওয়ার আগেই ১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। মুসলিম পরিবারের সন্তান এবং শৈশবে ইসলামী শিক্ষায় দীক্ষিত হয়েও তিনি বড় হয়েছিলেন একটি ধর্মনিরপেক্ষ সত্তা নিয়ে। একই সঙ্গে তার মধ্যে বিকশিত হয়েছিল একটি বিদ্রোহী সত্তা। ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ সরকার তাকে রাজ্যদ্রোহিতার অপরাধে কারাবন্দী করেছিল। তিনি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীন অবিভক্ত ভারতের বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত হয়েছিলেন।

যে নজরুল সুগঠিত দেহ, অপরিমেয় স্বাস্থ্য ও প্রাণখোলা হাসির জন্য বিখ্যাত ছিলেন, ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি মারাত্মকভাবে স্নায়বিক অসুস্থতায় আক্রান্ত হয়ে পড়লে আকস্মিকভাবে তার সকল সক্রিয়তার অবসান হয়। ফলে ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যু অবধি সুদীর্ঘ ৩৪ বছর তাকে সাহিত্যকর্ম থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন থাকতে হয়। বাংলাদেশ সরকারের প্রযোজনায় ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে তাকে সপরিবারে কলকাতা থেকে ঢাকা স্থানান্তর করা হয়। ১৯৭৬ সালে তাকে বাংলাদেশের জাতীয়তা প্রদান করা হয়। এখানেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

বিংশ শতাব্দীর বাঙালির মননে কাজী নজরুল ইসলামের মর্যাদা ও গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশে তাকে “জাতীয় কবি“ হিসাবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তার কবিতা ও গানের জনপ্রিয়তা বাংলাভাষী পাঠকের মধ্যে তুঙ্গস্পর্শী। তার মানবিকতা, ঔপনিবেশিক শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে দ্রোহ, ধর্মীয়গোঁড়ামির বিরুদ্ধতা বোধ এবং নারী-পুরুষের সমতার বন্দনা গত প্রায় একশত বছর যাবৎ বাঙালির মানসপীঠ গঠনে ভূমিকা রেখে চলেছে।

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন গদ্য মুল্ভাব ঃ

 

সাম্যবাদী চেতনায় বিশ্বাসী নজরুল তার লেখনীতে সাম্প্রদায়িকতা শুধু ধর্মীয় বা সামাজিক নয় অর্থনৈতিকও বটে তা “উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে সে উপলব্ধি প্রকাশ করেন। এ প্রবন্ধের শুরুতে রবীন্দ্রনাথের দুটি বিখ্যাত পঙক্তি উদ্ধৃত হয়েছে, “হে মোর দুর্ভাগা দেশ! যাদের করেছ অপমান অপমানে হতে হবে তাদের সমান।” নজরুল দেশের মহাজাগরণের দিনে দেশের তথাকথিত “ছোটলোক সম্প্রদায়” এর কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, অভিজাত-গর্বিত সম্প্রদায় হতভাগাদের অনুরূপ নামকরণ করেছে।

কিন্তুর প্রাবন্ধিকের ঐ তথাকথিত “ছোটলোক” এর অন্তর কাঁচের ন্যায় স্বচ্ছ আর ঐ অভিজাত্য গর্বিত “ভদ্রলোক” সম্প্রদায়ের অন্তর মসীমায় অন্ধকার। প্রাবন্ধিকের মতে, নীচের তলার মানুষকে অবহেলার কারণেই সমাজের আজ এই অধঃপতন আর এজন্যই দেশের জনশক্তি বা গণতন্ত্র গঠিত হতে পারছে না।

তিনি মহাত্মা গান্ধীর রাজনৈতিক সফলতার কারণ হিসেবে ঐ অবহেলিত শ্রেণির সঙ্গে তার সম্পর্ক স্থাপনকে নির্দেশ করেছেন। মহাত্মা গান্ধীর এই ছোটলোককে বক্ষে ধারণ করে ভাই বলে ডেকেছেন, যে আহ্বানে জাতি, ধর্ম, সমাজভেদ নেই তাই তাঁর ডাকে সব মানুষ সাড়া দিয়েছিল। এই প্রক্রিয়াকে নজরুল ইসলাম ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ বলেছেন।

 

উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন

 

উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন বিস্তারিত ঃ

 

উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

 

১.    ‘তোমারে সেবিতে হইল যাহারা মজুর, মুটে ও কুলি,

তোমারে বহিতে যারা পবিত্র অঙ্গে লাগাল ধূলি;

তারাই মানুষ, তারাই দেবতা, গাহি তাহাদেরি গান,

তাদেরি ব্যথিত বক্ষে পা ফেলে আসে নব উত্থান!’

ক.   ব্যক্তির সমষ্টিকে এক কথায় কী বলা যায়?      ১

খ.   আমাদের দেশে জনশক্তি গঠন হতে পারছে না কেন? ২

গ.   উদ্দীপক কবিতাংশে ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধের প্রতিফলিত দিকটি ব্যাখ্যা করো। ৩

ঘ.   প্রতিফলিত দিকটি ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধের খণ্ডাংশ মাত্রÑ মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ করো। ৪

 

১ নং প্র. উ.

ক.  ব্যক্তির সমষ্টিকে এক কথায় জাতি বলা হয়।

খ.   আমাদের দেশে জনশক্তি গঠন হতে পারছে না কারণ আমরা ‘দশ আনা’ জনশক্তিকে উপেক্ষা করে আসছি।

‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে তথাকথিত ছোটলোক সম্প্রদায়কে উপেক্ষিত সম্প্রদায় বলা হয়েছে। লেখকের মতে সাম্যবাদী ও গণতান্ত্রিক চেতনার আলোকে এই উপেক্ষিত শ্রেণিকে যথাযোগ্য মর্যাদা দিতে হবে। তাদের জাগিয়ে তুলতে হবে, তাদের ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। অভিজাত শ্রেণি সমাজের অধঃপতিত, দুর্বল শ্রেণিকে যুগের পর যুগ অবজ্ঞা অবহেলা করে আসছে। তাদের যথাযথ মর্যাদা না দেওয়ার কারণেই আমাদের দেশে জনশক্তি গঠিত হতে পারছে না।

গ.   উদ্দীপক কবিতাংশে ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে প্রতিফলিত উপেক্ষিত শক্তির জয়গান করা হয়েছে।

।     ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম সমাজের একটি অসংগতির বিষয়ে আমাদের বিবেককে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। আমাদের সমাজের আভিজাত্য গঠিত কথিত ‘বড়লোক’ সম্প্রদায় খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষকে ‘ছোটলোক’ আখ্যায়িত করে। তাদের অহেতুক হেয় প্রতিপন্ন করে থাকে। তাদের দিকে ঘৃণার দৃষ্টিতে দেখে। অথচ এরাই দেশের উন্নয়নের চাকা। নজরুল এই শ্রেণিকে উপেক্ষার আঘাতে জর্জরিত না করে তাদের বুকে টেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

উদ্দীপকে মজুর, মুটে ও কুলিদের অবদানের কথা বলা হয়েছে। কারণ তাদের রক্তে ও ঘামে গড়ে ওঠে বিশাল বিশাল অট্টালিকা। তারা যদি তাদের কাজ না করত তবে কথিত ‘ভদ্রলোক’ বা ‘বড়লোক’ সম্প্রদায়ের জীবন স্থবির হয়ে পড়ত। তাদের গায়ে ধূলি লাগে বলেই আমরা কেতাদুরস্ত হয়ে চলাফেরা করি। অথচ তাদের কাজের ফলাফল অত্যন্ত মহৎ ও কল্যাণকর। যে কারণে কবি তাদেরই সত্যিকারের মানুষ বলেছেন, তাদেরই দেবতা জ্ঞান করেছেন। ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধেও একই অনুভূতি প্রকাশিত হয়েছে।

ঘ.   ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে মেহনতি মানুষদের মূল্যায়নের আহ্বান জানানোর পাশপাশি বর্ণিত হয়েছে তা করার গুরুত্ব। উদ্দীপকে এসেছে কেবল মূল্যায়নের দিকটি।

কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহ ছিল অসাম্য ও অসংগতির বিরুদ্ধে। ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধেও তাঁর সেই চেতনা আমরা লক্ষ করি। সমাজে একটি শ্রেণি অসহায় দরিদ্র মানুষকে ছোটলোক বলে গালি দেয়। তাদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে। তাদের কোনো সামাজিক মর্যাদা দিতে চায় না। নজরুল সমাজে তাদের অবদানের কথা তুলে ধরেছেন। গণতান্ত্রিক চেতনা বিকাশে নজরুল তাদের যথাযথ সম্মান ও মূল্যায়ন করতে বলেছেন।

উদ্দীপকে অত্যন্ত চমৎকার ভাষায় মুটে, মজুরদের কথা বলা হয়েছে। সমাজে উঁচুতলার মানুষগুলো এই শ্রমিক মেহনতি মানুষের ত্যাগ-তিতিক্ষার ফলেই সুখে অট্টালিকায় বাস করে। এই খেটে খাওয়া মানুষগুলোই সত্যিকার মানুষ। তাদের অবদানেই দেশে উন্নয়ন অগ্রগতি সাধিত হয়। এই শ্রেণির মানুষদের যথাযথ মূল্যায়ন করার বিষয়টি আলোচ্য প্রবন্ধে আরো বিশদভাবে আলোচিত হয়েছে।

‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর সাম্যবাদী চেতনাকে ফুটিয়ে তুলেছেন। তিনি ছোট-বড়, উঁচু-নিচু, ধর্মীয় ও জাতিগত বিভেদ দূর করার মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন। মর্যাদাবান জাতি ও রাষ্ট্রগঠনে বিভিন্ন দেশের মনীষীগণ কীভাবে আমরণ সংগ্রাম করেছেন তা বাস্তবভাবে আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। অন্যদিকে উদ্দীপকে কেবল মুটে, মজুর, কুলি শ্রেণি কীভাবে উন্নয়নে ও মানবতার সেবায় অবদান রাখে তা তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু প্রবন্ধে কাজী নজরুল যেমন নানা যুক্তিতে উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধনের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন তেমনটি নেই উদ্দীপক কবিতাংশে। তাই উদ্দীপকে প্রতিফলিত দিকটি ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধের খণ্ডাংশ মাত্র।

২.   দক্ষিণ আফ্রিকার অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠী তথা কৃষ্ণাঙ্গদের নিয়ে অধিকার আদায়ের জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন। সে দেশের জনসংখ্যার অনুপাত কৃষ্ণাঙ্গ ৮৪%, শ্বেতাঙ্গ ১৬%। এই ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী শ্বেতাঙ্গরাই দেশটিকে তিন শতাধিক বছর শাসন করে। রাজশক্তির বিরুদ্ধে নেলসন ম্যান্ডেলা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। এজন্য তাঁকে প্রায় ২৮ বছর জেল খাটতে হয়। দমে যাননি ম্যান্ডেলা, সার্থক তাঁর জীবন সংগ্রাম।

ক.   ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’Ñএ প্রবন্ধকারের কোন মানসিকতা ফুটে উঠেছে? ১

খ.   আমাদের এত অধঃপতনের কারণ ব্যাখ্যা করো। ২

গ.   ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধের ভদ্র সম্প্রদায়ের সাথে উদ্দীপকের শ্বেতাঙ্গদের মানসিকতার সাদৃশ্য দেখাও।  ৩

ঘ.   কৃষ্ণাঙ্গদের নেতা ম্যান্ডেলা এবং ছোটলোকদের নেতা মহাত্মা গান্ধী যেন এক ও অভিন্নÑ মূল্যায়ন করো। ৪

 

২ নং প্র. উ.

ক.   ‘উপপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’- এ প্রবন্ধকারের সাম্যবাদী মানসিকতা ফুটে উঠেছে।

খ.   লেখকের মতে তথাকথিত ছোটলোক সম্প্রদায়ের লোকদের প্রতি অবহেলার কারণেই আজ আমাদের এত অধঃপতন।

আমরা নিজেদের ভদ্র সম্প্রদায় দাবি করি। আত্মগৌরবের আভিজাত্যে নীচু শ্রেণির মানুষদের আমরা উপেক্ষা করি। অথচ তাদের হৃদয় কাচের মতো স্বচ্ছ। আমাদের উন্নতির দশ আনা শক্তিই নির্ভর করছে এসব উপেক্ষিত মানুষের ওপর। কিন্তু তাদের উপেক্ষা করে চলেছি আমরা ভদ্র সম্প্রদায়। আর এ কারণেই আজ আমাদের এত অধঃপতন বলে লেখক মনে করেন।

গ.   জাতিগত ভেদাভেদের বিষ ছড়ানোর দিক থেকে ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে বর্ণিত ভদ্র সম্প্রদায় এবং উদ্দীপকের উল্লিখিত শ্বেতাঙ্গরা সাদৃশ্যপূর্ণ।

কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে সমাজের আভিজাত্য-গর্বিত ভদ্র সম্প্রদায়ের মানসিকতার স্বরূপ উন্মোচন করেছেন। তথাকথিত ছোটলোকদের তারা ঘৃণার চোখে দেখে, অবহেলা করে। অথচ এই তথাকথিত ছোটলোকেরাই দেশের মূল প্রাণশক্তি।

উদ্দীপকে দেখা যায়, দক্ষিণ আফ্রিকায় একটা সময় শ্বেতাঙ্গরা কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর অন্যায়ভাবে প্রভাব বিস্তার করে আসছিল। সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ার পরও কৃষ্ণাঙ্গরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল। সমাজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশকে তাদের এ উপেক্ষা এবং ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধের ভদ্র সম্প্রদায় কর্তৃক তথাকথিত নীচু জাতের মানুষদের উপেক্ষা একই মানসিকতার প্রতিফলন।

ঘ.   অবহেলিত জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করার দিক থেকে উদ্দীপকের ম্যান্ডেলা ও ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ রচনার মহাত্মা গান্ধী এক ও অভিন্ন।

কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে মহাত্মা গান্ধীর মহৎ কর্মের কথা উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। ভারতবর্ষে তিনি অসাধ্য সাধন করেছিলেন। আভিজাত্য-গৌরবে তিনি নিজেকে কলুষিত করেননি। সব শ্রেণির মানুষের সাথে প্রাণ খুলে মিশেছেন। মানুষে মানুষে ভেদাভেদ দূর করার জন্য তিনি সকলকে উদার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।

উদ্দীপকে উল্লিখিত নেলসন ম্যান্ডেলা ছিলেন কৃষ্ণাঙ্গদের নেতা। দক্ষিণ আফ্রিকায় কৃষ্ণাঙ্গরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও শ্বেতাঙ্গদের আগ্রাসনের শিকার হয়েছিল তারা। কৃষ্ণাঙ্গদের যথাযোগ্য অধিকার নিশ্চিত করার জন্য আমরণ সংগ্রাম করেছেন ম্যান্ডেলা। নিপীড়িত জনগোষ্ঠীর নেতা হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার দিক থেকে নেলসন ম্যান্ডেলা ও মহাত্মা গান্ধী এক বিন্দুতে গাঁথা।

বিশ্বের বুকে নিজ জাতিকে মর্যাদাবান ও সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য প্রতিটি দেশের মনীষীগণ আমরণ সংগ্রাম করেছেন। ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে উল্লিখিত মহাত্মা গান্ধী এবং উদ্দীপকে উল্লিখিত নেলসন ম্যান্ডেলা তেমনই দুই মহামানব। দুজনই সংগ্রাম করেছেন অবহেলিতদের সমাজে ন্যায্য অধিকার প্রদানের জন্য। ভদ্র সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা যাদের তীব্রভাবে উপেক্ষা করেছে সেই তথাকথিত ছোটলোকদের তাঁরা বুকে টেনে নিয়েছেন। হয়েছেন গণমানুষের নেতা। ভেদাভেদ দূর করে সকলের জন্য সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে উভয়ের অবদানই চিরস্মরণীয়। তাই প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

৩.   আবুল হোসেন মিঞা পৌরসভার চেয়ারম্যান এবং জনদরদি নেতা। সমাজের উঁচুতলার মানুষের চেয়ে নিচু শ্রেণির মানুষের সঙ্গে তাঁর চলাফেরা বেশি। তাদের সুখ-দুঃখের তিনি সঙ্গী। তাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাস্তা সংস্কার এবং নর্দমা পরিষ্কারের কাজ করেন। তিনি বলেন, “এরাই আমার আসল শক্তি”।

ক.   ‘দুর্দিনের যাত্রী’ কোন ধরনের গ্রন্থ? ১

খ.   দেশের অধিবাসী লইয়াই তো দেশ এবং ব্যক্তির সমষ্টিই তো জাতিÑ বাক্যটি বুঝিয়ে লেখো।    ২

গ.   উদ্দীপকের মধ্যে ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধের যে দিকটির প্রতিফলন ঘটেছে তা ব্যাখ্যা করো।     ৩

ঘ.   “এরাই আমার আসল শক্তি”Ñ উদ্দীপকের চেয়ারম্যানের এই উক্তিটি ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ করো।   ৪

 

৩ নং প্র. উ.

ক.   ‘দুর্দিনের যাত্রী’ একটি প্রবন্ধ গ্রন্থ।

খ.   আলোচ্য বাক্যটিতে লেখক বোঝাতে চেয়েছেন সকল মানুষের সমষ্টিতেই গণতন্ত্র গঠিত হয়।

‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে লেখকের সাম্যবাদী চেতনার প্রতিফলন ঘটেছে। একটি দেশে ধনী-গরিব উঁচু-নীচু ভেদাভেদ থাকা ঠিক না। কেননা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে নিয়েই একটি দেশ গঠিত হয়। গণতন্ত্র সকলকে এক কাতারে দাঁড় করায় বিভেদের দেয়াল ভেঙে সকলকে একত্র করে গণতন্ত্র। গণতন্ত্রের এই মূল কথাই প্রশ্নোক্ত বাক্যে লেখক বোঝাতে চেয়েছেন।

গ.   উদ্দীপকের মধ্যে ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধের লেখকের আকাক্সক্ষার দিকটির প্রতিফলন ঘটেছে।

‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে লেখকের সাম্যবাদী মানসিকতার পরিচয় ফুটে উঠেছে। একটি দেশের উন্নয়নের জন্য ছোট-বড়, উঁচু-নীচু, ধর্মীয় ও জাতিগত বিভেদ দূর করা আবশ্যক। প্রবন্ধে লেখক এই বিভেদ দূর করে সকলকে এক হয়ে দেশের অগ্রগতিতে কাজ করার আকাক্সক্ষা ব্যক্ত করেছেন।

উদ্দীপকে বর্ণিত আবুল হোসেন পৌরসভার চেয়ারম্যান হওয়া সত্ত্বেও সমাজের নীচু শ্রেণির মানুষের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছেন। এতে তাঁর মাঝে সাম্যবাদী চেতনার প্রকাশ ঘটেছে। সাম্যবাদী চেতনা ধারণকারী মানুষের মাঝে ছোট-বড় ভেদাভেদ থাকে না। আবুল হোসেন সমাজের মেহনতি মানুষদের কাজের যথাযোগ্য মূল্যায়ন করেছেন। ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধের লেখক এমন প্রত্যাশাই করেছেন।

ঘ.   মর্যাদাবান জাতি ও রাষ্ট্র গঠনে উদ্দীপকের চেয়ারম্যান কর্তৃক উপেক্ষিত শক্তিকে মূল্যায়নসূচক বক্তব্যটি যথার্থ।

‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে কাজী নজরুল সমাজের অবহেলিত মানুষদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁর মতে, তথাকথিত ছোটলোক সম্প্রদায়ের মানুষেরই দেশের দশ আনা শক্তির ধারক। তাই তাদের উপেক্ষা করলে জাতির উন্নতি কখনোই সম্ভবপর হবে না। দেশের উন্নয়নের জন্য তিনি আমাদের সব ভেদাভেদের ঊর্ধ্বে অবস্থান নিতে বলেছেন। উপেক্ষিত মানুষদের যথাযথ মর্যাদা প্রদান করে সমাজ গঠনে ঐক্যবদ্ধ হতে বলেছেন।

উদ্দীপকে পৌর চেয়ারম্যান আবুল হোসেনের মাঝে উপেক্ষিত শক্তিকে গুরুত্ব প্রদানের মানসিকতা লক্ষণীয়। তিনি সমাজের নীচু শ্রেণির মানুষদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার মাধ্যমে ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে বর্ণিত লেখকের সাম্যবাদী চেতনার বাস্তবায়ন ঘটিয়েছেন। সমাজে ছোট-বড়, উঁচু-নীচু, সকলে মিলেই একটি জাতি। এই জাতি যদি উদ্দীপকের চেয়ারম্যানের মতো মানসিকতাকে লালন করে তাহলে তারা সহজেই মর্যাদাবান জাতিতে পরিণত হবে।

আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধির জন্য সাম্যবাদী চেতনার বাস্তবায়নের বিকল্প নেই। কেননা সমাজে সাম্য না থাকলে সেখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। এতে দেশের উন্নয়ন ব্যাহত হয়। তাছাড়া ছোট-বড়, ধনী-গরিব ভেদাভেদ থাকলে কখনো সে জাতি উন্নতির স্বর্ণ শিখরে আরোহণ করতে পারে না। ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে সমাজের নীচু-শ্রেণির লোকদের দেশ গঠনের কারিগর মনে করা হয়েছে। কেননা তাদের হাত ধরেই দুর্দশাগ্রস্ত জাতি জনশক্তিতে উদ্বুদ্ধ হয়ে উন্নতি লাভ করতে পারে। সমাজের উপেক্ষিত ব্যক্তিরাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আর এ সত্য উপলব্ধি করেই উদ্দীপকের চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘এরাই আমার আসল শক্তি’।

৪.     ভৃত্য চড়িল উটের পিঠে উমর ধরিল রশি,

মানুষে স্বর্গে তুলিয়া ধরিয়া ধুলায় নামিল শশী।

আরাম সুখের মানুষ হইয়া নিতে মানুষের সেবা,

ইসলাম বলে সকলে সমান কে বড় ক্ষুদ্র কেবা?

ক.   আমরা কত আনা শক্তিকে উপেক্ষা করে আসছি?    ১

খ.   বোধন বাঁশিতে সুর দেয়া বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ২

গ.   উদ্দীপকে ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধের যে ভাবটি ফুটে উঠেছে তা ব্যাখ্যা করো। ৩

ঘ.   “উদ্দীপকটি ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধের মূলভাবের আংশিক রূপায়ণ মাত্র”Ñ মূল্যায়ন করো। ৪

 

৪  নং প্র. উ.

ক.   আমরা দশ আনা শক্তিকে উপেক্ষা করে আসছি।

খ.   বোধন বাঁশিতে সুর দেওয়া বলতে মানুষের মাঝে সাম্যবাদী চেতনার বোধ জাগিয়ে তোলার কথা বলা হয়েছে।

সমাজে ছোট-বড়, ধনী-দরিদ্র সকলেই মানুষ। মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করা ঠিক নয়। কিন্তু আমাদের সমাজের তথা কথিত ভদ্র সম্প্রদায়ের মাঝে এই ঔচিত্যবোধ নেই। তারা কথিত ছোটলোক সম্প্রদায়কে সব সময় উপেক্ষা করে। অথচ এই ছোটলোক সম্প্রদায়ের ওপরই নির্ভর করে দেশের উন্নয়নের দশ আনা শক্তি। কাজী নজরুল মানুষে মানুষে এমন দূরত্ব চান না। তিনি চান ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ একটি জাতি। বোধন বাঁশিতে সুর দেওয়া বলতে লেখকের এই আকাক্সক্ষার বাস্তবায়নকেই বোঝানো হয়েছে।

গ.   ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ রচনায় কাজী নজরুল ইসলামের যে সাম্যবাদী মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে তা উদ্দীপক কবিতাংশেও লক্ষণীয়।

আমাদের সমাজে নানা ধরনের শ্রেণি বিভেদের মাধ্যমে মানুষে মানুষে সম্পর্ক নির্ধারণ করা হয়। ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে কাজী নজরুল ইসলাম এই বিভাজনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। সমাজ গঠনে সকলেরই অবদান রয়েছে। সেটি স্বীকার করে নিয়ে তিনি সকলকে সমমর্যাদা প্রদানের প্রত্যাশী।

উদ্দীপকে মানুষের সম-অধিকারের কথা বলা হয়েছে। সামাজিক স্তরবিন্যাসের কারণে পৃথিবীতে কেউ মালিক, কেউ ভৃত্য হয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে উভয়ের মর্যাদাই সমান। ইসলাম ধর্মে সব মানুষকে সমানভাবে দেখার কথা বলা হয়েছে। অন্য ধর্মগুলোতেও একই কথা বলা আছে। উদ্দীপকে বর্ণিত মহান শাসক উমর (রা.) ভৃত্যকে উটে চড়িয়ে নিজে উটের রশি ধরার মাধ্যমে মানবতাবোধের সুমহান এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। উদ্দীপকের এই চেতনা ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ রচনাতেও সমভাবে প্রকাশিত হয়েছে।

ঘ.   উদ্দীপকে ব্যক্তিপর্যায়ে উপেক্ষিত মানষেরা মূল্যায়িত হলেও ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে বলা হয়েছে সমাজ ও রাষ্ট্রপর্যায়ে মূল্যায়নের কথা। এ বিবেচনায় বলা যায়, উদ্দীপকটি আলোচ্য প্রবন্ধের আংশিক ভাবের প্রকাশক।

‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধের রচয়িতা কাজী নজরুল ইসলাম সমাজে মানুষের মাঝে বিরাজমান ভেদাভেদের অবসান চান। সমাজের আভিজাত্য গর্বিত সম্প্রদায়ের লোকেরা তথাকথিত ছোটলোকদের যথাযোগ্য সম্মান দেয় না। ন্যায্য অধিকার থেকে তাদের বঞ্চিত করে। কাজী নজরুলের স্বপ্ন এই অসাম্য দূর হয়ে সমাজ উন্নতির পথে এগিয়ে যাবে।

উদ্দীপক কবিতাংশে মানুষকে মানুষ হিসেবে মূল্য দেওয়ার দৃষ্টান্তমূলক একটি ঘটনার উল্লেখ আছে। হযরত উমর (রা.) ভৃত্যকে উটের পিঠে চড়িয়ে নিজে উটের রশি ধরে সাম্যের অনুপম উদাহরণ সৃষ্টি দিয়েচেন। এমনিভাবে সকল ক্ষেত্রে বঞ্চিত মানুষদের বুকে টেনে নিলেই সত্যিকারের গণতন্ত্রে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে বলে ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে বলা হয়েছে।

উদ্দীপক ও ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধের মূলভাব এক ও অভিন্ন। তা হলো মানুষের মাঝে অসমতা দূরীকরণ। উদ্দীপকে রয়েছে শাসক হওয়ার পরও হযরত উমর (রা.) তার ভৃত্যকে যথাযোগ্য মর্যাদা দিয়েছেন। উদ্দীপকে ব্যক্তিগত উদ্যোগের কথা বলা হলেও প্রবন্ধে বলা হয় সাম্যবাদের সামাজিক প্রতিষ্ঠার কথা। দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র বাস্তবায়নের জন্য এটিকে সবচেয়ে জরুরি হিসেবে বলা যায়। জাত-পাত, শ্রেণি-গোত্র ইত্যাদি বৈষম্য ভুলে উপেক্ষিত মানুষদের কাছে টেনে নিলে আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে সুখ সমৃদ্ধি বিরাজ করবে। উদ্দীপকে এই সম্ভাবনার আংশিক রূপায়ণ ঘটেছে।

৫.    দেখিনু সে দিন রেলে,

কুলি বলে এক বাবু সাব তারে ঠেলে দিলে নিচে ফেলেÑ

চোখ ফেটে এলো জল,

এমনি করে কি জগৎ জুড়িয়া মার খাবে দুর্বল?

ক.   ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে কাদের কর্মক্ষেত্রে নেমে কাজ করার শক্তি নেই? ১

খ.   উপেক্ষিত শক্তি সরল মুক্ত মন নিয়েও কোনো কাজ করতে পারছে না কেন? ২

গ.   উদ্দীপকের সাথে ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধের কোন বিষয়ের সাদৃশ্য রয়েছে ব্যাখ্যা করো।   ৩

ঘ.   দুর্বলদের মাঝে কীভাবে শক্তির উন্মেষ ঘটানো যায়? উদ্দীপক ও উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন প্রবন্ধের আলোকে মতামত দাও। ৪

 

৫ নং প্র. উ.

ক.   ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে ভদ্র সম্প্রদায়ের কর্মক্ষেত্রে নেমে কাজ করার শক্তি নেই।

খ.   ভদ্র সম্প্রদায়ের অত্যাচারের কারণে উপেক্ষিত শক্তি সরল মুক্ত মন নিয়েও কোনো কাজ করতে পারছে না।

ক্ষ   উপেক্ষিত শক্তির মানুষদের অন্তর কাচের মতো স্বচ্ছ। তবুও সমাজের ভদ্র সম্প্রদায় তাদের ছোটলোক বলে অত্যাচার করে। ফলে সংকোচ ও জড়তার কারণে তারা কোনো কাজ করতে পারে না।

গ.   উদ্দীপকে উল্লিখিত দুর্বল শ্রেণি এবং ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে বর্ণিত উপেক্ষিত শ্রেণির উপেক্ষিত হওয়ার মধ্যে সাদৃশ্য রয়েছে।

ক্ষ   কবি নজরুল তাঁর প্রবন্ধ ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’-এ কথিত ‘ছোটলোক’ সম্প্রদায়কে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করতে গুরুত্বারোপ করেছেন। কবি দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ছোট-বড় উঁচু-নিচু, ধর্মীয় ও জাতিগত বিভেদ দূর করার জন্য সমাজের অপেক্ষাকৃত উঁচু শ্রেণির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বোঝাতে চেয়েছেন সমাজের একটি শ্রেণিকে উপেক্ষা করে সুস্থ সুন্দর সমাজ প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।

ক্ষ   উদ্দীপকে অসহায়, দরিদ্র ও দুর্বল শ্রেণির তথাকথিত বড়লোক শ্রেণির উপেক্ষা, অবজ্ঞা ও ঘৃণার মনোভাবের প্রকাশ ঘটেছে। কুলি, মুটে, মজুর সকলেই মানুষ। একটি জাতির আর্থ-সামাজিক কর্মকাণ্ডে তাদের অবদান কম নয়। উদ্দীপকের বাবুসাব আভিজাত্যের অহংকারে কুলিকে নিচে ফেলে দিয়েছে। এই দৃশ্য অতি নির্মম। এটি মানবতার অপমান। এই দুর্বলের ওপর নির্মম আচরণ করার ক্ষেত্রে উদ্দীপক ও ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে সাদৃশ্যময় হয়ে উঠেছে।

ঘ.   দুর্বলদের বুকভরা স্নেহ নিয়ে উদ্বুদ্ধকরণের মধ্য দিয়ে তাদের মাঝে শক্তির উন্মেষ ঘটানো সম্ভব। উদ্দীপক ও ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে সেই সত্যটি তুলে ধরা হয়েছে।

ক্ষ   ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে বলা হয়েছে সমাজে উঁচু-নীচু জাত-ভেদ ও তথাকথিত ‘ছোটলোক’ সম্প্রদায়ের নামে একটি সম্ভাবনাময় শক্তিকে দুর্বল করে রাখা হয়েছে। এই দুর্বলদের বুকভরা অপরিসীম মমতায় কাছে টানতে হবে। উপেক্ষার আঘাতে তাদের জর্জরিত না করে তাদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এই পতিত শ্রেণিকে আপন করে নিতে পারলে সমাজের ব্যাপক কল্যাণ সাধিত হবে।

ক্ষ   উদ্দীপকে আমরা লক্ষ করি তথাকথিত ‘বড়লোক’ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি এক বাবু কথিত ‘ছোটলোক’ সম্প্রদায়ের কুলিকে ট্রেনে উঠতে না দিয়ে নিচে ফেলে দিয়েছে। এই কুলিটির অপরাধ সে দরিদ্র ও হীন বস্ত্রসম্পন্ন। কুলি যদি বাবুসাবের পাশাপাশি অবস্থান করে তবে বাবুসাবের সম্মান থাকে না। আভিজাত্যের অহংকারে ঘৃণাভরে কুলিটিকে সে তাড়িয়ে দিয়েছে। এ দৃশ্য দেখে উদ্দীপক কবিতাংশের কবি অত্যন্ত ব্যথিত হয়েছেন। তিনি সকল বিবেকবান মানুষের কাছে প্রশ্ন রেখেছেন দুর্বলরা কতদিন এমন করে মার খাবে?

ক্ষ   তাই উদ্দীপক ও প্রবন্ধ পর্যালোচনা করে পাই, দুর্বল এই শ্রেণির মাঝে উদ্দীপনা সঞ্চার করে তাদের সুপ্ত শক্তির উন্মেষ ঘটানো সম্ভব। শত শত বছর ধরে প্রাণপণ চেষ্টা করে সমাজে ও রাষ্ট্রে যে পরিবর্তন ঘটানো যায় না, এই অধঃপতিত, দুর্বলদের মাঝে আত্মবিশ্বাস ও জাগরণ সৃষ্টি করে সে পরিবর্তন ও উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব। কাউকে জোর করে দমিয়ে রেখে গণতান্ত্রিক চেতনা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। তাই সাম্যবাদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দুর্বলদের মাঝে শক্তির উন্মেষ ঘটানো সম্ভব।

৬.    এক শহুরে বাবু নৌকার মাঝিকে জিজ্ঞেস করলেন, দিন-রাত্রি কীভাবে হয়, নদীতে কেন জোয়ার আসে ইত্যাদি। মাঝি উত্তর দিতে পারল না। বাবু মাঝিকে অবজ্ঞার সুরে বললেন তোর জীবনের বারো আনাই মিছে। এদিকে ঝড়ের পূর্বাভাস দেখে মাঝি জিজ্ঞেস করল, সাতার জানো বাবু? বাবু বললেন, নারে মাঝি, না। তখন মাঝি বলল, তোমার দেখি জীবনটা এখন ষোলো আনাই মিছে।

ক.   লেখকের মতে কাদের ওপর আমাদের দশ আনা শক্তি নির্ভর করছে?  ১

খ.   উপেক্ষিতরা নিজেদের ছোট মনে করে কেন?  ২

গ.   উদ্দীপকের সাথে ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধের সাদৃশ্য নিরূপণ করো। ৩

ঘ.   উদ্দীপকের শহুরে বাবুর আচরণ ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ করো।  ৪

 

৬ নং প্র. উ.

ক.   লেখকের মতে তথাকথিত ছোটলোক সম্প্রদায়ের ওপর আমাদের দশ আনা শক্তি নির্ভর করছে।

খ.   ভদ্র সম্প্রদায়ের অবহেলার কারণে উপেক্ষিতরা নিজেদের ছোট মনে করে।

ভদ্র সম্প্রদায়ের লোকেরা সর্বদা ছোটলোকদের ওপর অত্যাচার করে। ছোটলোকেরা জন্ম থেকেই ঘৃণা, উপেক্ষা পেয়ে থাকে। ফলে সংকোচ জড়তা তাদের স্বভাবে গেঁথে যায়। জন্ম থেকে এই উপেক্ষার কারণে উপেক্ষিতরা নিজেদের ছোট মনে করে।

গ.   উদ্দীপকের মাঝির সাথে ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধের তথাকথিত ‘ছোটলোক’ সম্প্রদায়ের উপেক্ষার সাথে সাদৃশ্য রয়েছে।

কাজী নজরুল ইসলাম তার ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে ছোট-বড়, উচু-নীচু, ধর্মীয় ও জাতিগত বিভেদের ভিত্তিতে সমাজে যে তথাকথিত ‘ছোটলোক’ সম্প্রদায় সৃষ্টি করা হয়েছে তার বিরোধিতা করেছেন। তিনি বলেছেন, মানুষ এক আল্লাহর সৃষ্টি। মানুষ হিসেবে সকলেরই সমমর্যদা ভোগ করার অধিকার রয়েছে। মানুষের প্রতি অবহেলা, অবজ্ঞা জাতির অধঃপতনের অন্যতম কারণ।

উদ্দীপকের মাঝি তার কায়িক পরিশ্রম দিয়ে খেয়া পারাপার করে মানুষকে তার গন্তব্যে যেতে সহায়তা করে। শহুরে বাবুর প্রশ্নের জবাব দেওয়া তার অসাধ্য। কারণ লেখাপড়া করার তার সুযোগ ঘটেনি। শহুরে বাবু সেই সুযোগ নিয়ে মাঝিকে অবজ্ঞাসূচক প্রশ্ন করে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করেন। এ সমাজে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ সমান গুরুত্বপূর্ণ। একে অপরকে অবহেলা, অবজ্ঞা বা উপেক্ষা করার কোনো সুযোগ নেই। এটা করা হীনম্মন্যতারই পরিচায়ক। ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধেও কথিত ‘ছোটলোক’ সম্প্রদায়ের লোকদের উপেক্ষার দিকটি তুলে ধরা হয়েছে।

ঘ.   উদ্দীপকের শহুরে বাবু ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধের ভদ্র সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। এরাই সমাজে নানা ধরনের ভেদাভেদকে জিইয়ে রেখেছে।

‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধ ভদ্র সম্প্রদায় সম্পর্কে লেখক বলেছেন তারা জাতির দুঃখ-দুর্দশা বোঝে, অন্যকে বোঝাতে পারে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে নেমে কোনো কাজ করতে উদ্যোগী হয় না। অধিকারবঞ্চিত মানুষ তাদের অধিকারের ব্যাপারে সোচ্চার হতে চেষ্টা করলে, উৎপীড়নের বিরুদ্ধে কথা বললে ভদ্র সম্প্রদায় তার মাথায় প্রচণ্ড আঘাত করে অজ্ঞান করে ফেলে। তাদেরকে সমমর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত না করে উপেক্ষার আঘাতে জর্জরিত করে।

উদ্দীপকের শহুরে বাবু সমাজের নীচু শ্রেণির প্রতিনিধি মাঝির প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করেছেন। তার জীবনকে মিথ্যে প্রমাণের জন্য উদ্যোগী হয়েছে। শহুরে বাবুর প্রশ্নের জবাব দিতে না পারলেও সে বিনয়ের সাথে অপারগতা প্রকাশ করেছে। আবার ঘটনাচক্রে দেখা গেল শহুরে বাবু আসল কাজটিতেই অনভিজ্ঞ। তখন তার জ্ঞানের অহংকার মিথ্যে প্রমাণিত হলো। ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে উল্লিখিত তথাকর্থিত আভিজাত্য গঠিত সম্প্রদায়ের মাঝে এই মনোভাবের প্রতিফলন লক্ষ করা যায়।

আল্লাহর সৃষ্ট সকল মানুষ সমান। কিন্তু ভদ্র সমাজের কিছু মানুষেরা সমাজে নানা অনাচার সৃষ্টি করে থাকে। তাদের দ্বারাই এক শ্রেণির মানুষ সমাজে উপেক্ষিত হয়। তারা সমাজে আভিজাত্যের অহংকারে সমতা সৃষ্টি হতে দেয় না। মানুষের মাঝে বিভেদের দেয়াল তৈরি করে। তাদের দ্বারা যারা বঞ্চিত হয় তাদের আহাজারি আমরা প্রায়ই শুনতে পাই। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের শহুরে বাবুর মতো ভদ্র সম্পদ্রায়ের লোকেরাই সমাজে বিভেদের দেয়াল তোলার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে এ দিকটিই তুলে ধরা হয়েছে।

 

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

১.   কাজী নজরুল ইসলাম কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?

উত্তর : কাজী নজরুল ইসলাম ১৮৯৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন।

২.   কাজী নজরুল ইসলাম দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে কী হারান?

উত্তর : কাজী নজরুল ইসলাম দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে বাক্শক্তি হারান।

৩.  কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশে কোন মর্যাদায় ভূষিত করা হয়?

উত্তর : কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশে জাতীয় কবির মর্যাদায় ভূষিত করা হয়।

৪.   কাজী নজরুল ইসলাম কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?

উত্তর : কাজী নজরুল ইসলাম ১৯৭৬ সালে মৃত্যুবরণ করেন।

৫.  লেখকের মতে জাতি কিসের সমষ্টি?

উত্তর : লেখকের মতে জাতি হলো ব্যক্তির সমষ্টি।

৬.  ছোটলোক সম্প্রদায়ের এরূপ নামকরণ করেছে কে?

উত্তর : ছোটলোক সম্প্রদায়ের এরূপ নামকরণ করেছে আমাদের আভিজাত্য গর্বিত সম্প্রদায়।

৭.   লেখকের মতে কাদের অন্তর কাচের ন্যায় স্বচ্ছ?

উত্তর : লেখকের মতে ছোটলোক সম্প্রদায়ের অন্তর কাচের ন্যায় স্বচ্ছ।

৮.  মসীময় শব্দের অর্থ কী?

উত্তর : মসীময় শব্দের অর্থ অন্ধকারাচ্ছন্ন।

৯.  ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধটি কোন গ্রন্থের রচনা?

উত্তর : ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধটি ‘যুগবাণী’ নামক প্রবন্ধ গ্রন্থের রচনা।

১০.  ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে লেখকের কোন মানসিকতা ফুটে উঠেছে?

উত্তর : ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে লেখকের সাম্যবাদী মানসিকতা ফুটে উঠেছে।

১১.  কাদের নির্দেশিত পথে পরিশ্রম করতে পারলে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি বিরাজ করবে?

উত্তর : মনীষীগণের নির্দেশিত পথে পরিভ্রমণ করতে পারলে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি বিরাজ করবে।

১২.  দেশের দুর্দশা ও জাতির দুর্গতির কথা বুঝতে পারে কারা?

উত্তর : দেশের দুর্দশা ও জাতির দুর্গতির কথা বুঝতে পারে ভদ্র সম্প্রদায়।

১৩. উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন করলে তারা দেশে কী আনবে?

উত্তর : উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন করলে তারা দেশে যুগান্তর আনবে।

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

১.   দেশে যুগান্তর আসবে কীভাবে?

উত্তর : উপেক্ষিত শক্তির যথাযথ মূল্যায়ন করলেই দেশে যুগান্তর আসবে।

উপেক্ষিত শক্তি উন্নতির দশ আনা কাজের ধারক। তারা একত্রিত হয়ে অসাধ্যকে সাধন করতে পারে। ভদ্র সম্প্রদায় শত বছর ধরে যা পারে না, উপেক্ষিত শক্তি এক দিনে তা করতে পারে। এই উপেক্ষিত শক্তির যদি মূল্যায়ন করা হয় তাহলে তারাই অসাধ্যকে সাধন করবে। ফলে দেশে যুগান্তর আসবে।

২.   ভদ্র সম্প্রদায় একক চেষ্টায় দেশকে উন্নত করতে পারে না কেন?

উত্তর : ভদ্র সম্প্রদায়ের কর্মক্ষেত্রে নেমে কাজ করার সামর্থ্য নেই বলে তারা একক চেষ্টায় দেশকে উন্নত করতে পারে না।

ভদ্র সম্প্রদায় দেশের দুর্দশা ও জাতির দুর্গতি বোঝে। তারা সকলকে বোঝাতে পারে এই দুর্ভাগ্যের কথা। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে নেমে তারা কাজ করতে পারে না। কেননা কাজ করার শক্তি তাদের নেই। দেশকে উন্নত করতে কাজ করার দশ আনা শক্তিই রয়েছে উপেক্ষিতদের। তাই ভদ্র সম্প্রদায় একক চেষ্টায় দেশকে উন্নত করতে পারে না।

৩.  মহাত্মা গান্ধীর আহ্বানে উপেক্ষিতরা বাহু মেলে এগিয়ে যায় কেন?

উত্তর : মহাত্মা গান্ধী উপেক্ষিতদের অন্তর দিয়ে ভালোবেসেছিলেন বলে তাঁর আহ্বানে সকলে বাহু মেলে এগিয়ে যায়।

মহাত্মা গান্ধী প্রাণ খুলে উপেক্ষিতদের সাথে মিশতেন। তাদের সুখ-দুঃখের ভাগী হতেন সর্বদা। উপেক্ষিতদের তিনি কখনো ছোটলোক বলে অবহেলা করেননি। তাদেরকে নিতান্ত আপন করে তুলেছিলেন ভালোবাসা দিয়ে। তাই তাঁর আহ্বানে সকলে বাহু মেলে এগিয়ে যায়।

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

সাধারণ বহুনির্বাচনি

১.   কাজী নজরুল ইসলামকে কোন মর্যাদায় সমাহিত করা হয়েছে?               চ

ক  পূর্ণ সামরিক মর্যাদায়

খ    রাষ্ট্রীয় অতিথির মর্যাদায়

গ    শ্রেষ্ঠ নাগরিকের মর্যাদায়

ঘ    সেরা বুদ্ধিজীবীর মর্যাদায়

২.   ‘বোধন-বাঁশিতে সুর দেওয়া’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?    জ

ক  বাঁশি বাজিয়ে মানুষকে সচেতন করা

খ    জ্বালাময়ী বক্তৃতা দেওয়া

গ    নীতিবোধ জাগ্রত করা

ঘ    দৈন্য দূর করা

৩.   তোমার আমার মা সে তো একই রকম নারীÑ

একই খেয়ায় আনা যাওয়া একই ঘাটে বাড়ি।

‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ রচনায় এ বক্তব্যের প্রতিধ্বনি কোনটি?      চ

ক  তাহার আত্মা তোমার আত্মার মতোই ভাস্বর

খ    তোমার জন্মগত অধিকারটাই কি এত বড়

গ    হীনজনদের ভাই বলে কোলে টেনে নাও

ঘ    বিত্তবানদের গুরুত্ব দাও

৪.   কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সনের কত তারিখে জন্মগ্রহণ করেন?                 ছ

ক  ১১ই বৈশাখ খ    ১১ই জ্যৈষ্ঠ

গ    ২২শে শ্রাবণ    ঘ    ২২শে আষাঢ়

৫.   কাজী নজরুল ইসলাম ময়মনসিংহে কোন স্কুলে লেখাপড়া করেন?                 ঝ

ক  পুলিশ লাইনস হাই স্কুলে    খ    হরেকৃষ্ণ হাই স্কুলে

গ    মুসলিম হাই স্কুলে ঘ    দরিরামপুর হাই স্কুলে

৬.   কাজী নজরুল ইসলামকে ঢাকায় আনা হয় কখন?   চ

ক  বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর

খ    বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আগমুহূর্তে

গ    যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে

ঘ    ভাষা আন্দোলনের সময়

৭.   আমাদের জাতীয় কবি কে?               ছ

ক   রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর  খ    কাজী নজরুল ইসলাম

গ   শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়   ঘ    জসীমউদ্দীন

৮.   কাজী নজরুল ইসলামকে ‘বিদ্রোহী কবি’ বলা হয় কেন?    ছ

ক   ধর্মের নামে ভণ্ডামীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন

খ    সামাজিক অবিচার ও পরাধীনতার বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন

গ   সকল কবিতায় বিদ্রোহের সুর অনুরণিত করে তুলেছেন

ঘ    রচনায় বিদ্রোহী ভাব উদ্দীপনার বীজ বপন করেছেন

৯.   কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা কত সনে জন্মগ্রহণ করেন?  ঝ

ক   ১২০৪ খ    ১৩০৪

গ   ১২০৬     ঘ    ১৩০৬

১০.  কাজী নজরুল ইসলামকে শেষবারের মতো বাংলাদেশে আনা হয় কোন অবস্থায়?                  ছ

ক   সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায়   খ    অসুস্থ অবস্থায়

গ   সৈনিক অবস্থায়  ঘ    বাকশক্তি সচল অবস্থায়

১১.  নজরুলের কবিতাকে বিশিষ্টতা দান করেছে কোনটি? ঝ

ক   বাংলা-উর্দু শব্দের ব্যবহার

খ    ইংরেজি ও বাংলার ব্যবহার

গ   হিন্দি-সংস্কৃতি শব্দের

ঘ    আরবি-ফারসি শব্দের ব্যবহার

১২.  নজরুল ইসলামের সাহিত্যজীবন শুরু হয় কোথায়?   ছ

ক   পশ্চিমবঙ্গে খ    করাচিতে

গ   ঢাকায়     ঘ    মাদ্রাজে

১৩.  নিচের কোনটি প্রবন্ধ নয়?                জ

ক   যুগবাণী    খ    দুর্দিনের যাত্রী

গ   মৃত্যুক্ষুধা   ঘ    রাজবন্দীর জবানবন্দী

১৪.  ‘সিন্ধু-হিন্দোল’ কাজী নজরুল ইসলামের কী ধরনের গ্রন্থ?   ঝ

ক  উপন্যাস   খ    প্রবন্ধ গ্রন্থ

গ    নাটক ঘ    কাব্যগ্রন্থ

১৫.  ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধটির ভাষারীতি কী?   চ

ক  সাধু  খ    চলিত

গ    আঞ্চলিক  ঘ    মিশ্র

১৬.  কাজী নজরুল ইসলাম সেনাবাহিনীতে বাঙালি পল্টনে যোগদান করতে কোথায় যান?             জ

ক  কলকাতা  খ    দিল্লি

গ    করাচি     ঘ    ঢাকা

১৭.  নজরুল ছেলেবেলায় কোন গানের দলে যোগ দেন?   চ

ক  লেটো খ    জারি

গ    যাত্রা ঘ    বাউল

১৮.  মহাত্মা গান্ধীর কোন গুণটি দেশের অপামর জনতাকে সম্মোহিত করেছিল?               ছ

ক  স্বদেশপ্রেম খ    বুকভরা স্নেহ

গ    নির্লোভ মন ঘ    সন্ন্যাসীভাব

১৯.  কাজী নজরুল ইসলাম কত সালে সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন?                 চ

ক  ১৯১৭ খ    ১৯১৪

গ    ১৯২৭ ঘ    ১৯১৯

২০.  ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে ‘হতভাগা’ বলা হয়েছে কাদের?                   চ

ক  শ্রমিকদের খ    বণিকদের

গ    অভিজাতদের    ঘ    অত্যাচারীদের

২১.  ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ রচনায় কাজী নজরুল ইসলাম কাদের হাত ধরতে আহ্বান করেছেন?       ছ

ক  নেতৃত্বদানকারীদের

খ    উপেক্ষিত ভাইদের

গ    সর্বস্তরের নারীদের

ঘ    যারা হাতে অস্ত্র নিয়ে আছে তাদের

২২.  কাজী নজরুল ইসলামের প্রবন্ধ গ্রন্থ কোনটি?  ছ

ক  কুহেলিকা  খ    যুগবাণী

গ    অগ্নি-বীণা  ঘ    মৃত্যুক্ষুধা

২৩.  উপেক্ষিত শক্তি কী আনতে পারে? ঝ

ক  ভেদাভেদ  খ    সাম্প্রদায়িকতা

গ    সন্দেহ    ঘ    পরিবর্তন

২৪.  তথাকথিত হতভাগাদের অবহেলা করার ফলে আমাদের কোনটি গড়ে উঠতে পারছে না? ছ

ক  সমাজতন্ত্র  খ    গণতন্ত্র

গ    অধিকার   ঘ    জাতীয়তা

২৫.  অগ্নিবীণা ও বিষের বাঁশি কোন ধরনের রচনা?   চ

ক  কাব্যগ্রন্থ   খ    নাটক

গ    উপন্যাস   ঘ    ছোটগল্প

২৬. কত বছর বয়সে কাজী নজরুল বাকশক্তি হারান?     ঝ

ক  ৪৩ বছর  খ    ৪২ বছর

গ    ৪১ বছর   ঘ    ৪০ বছর

২৭.  ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ রচনার ভাষ্যমতে কোনটি ছাড়া জাতীয় উন্নতি সম্ভব নয়?  চ

ক  সামষ্টিক অনুভূতি খ    ব্যক্তিগত অনুভূতি

গ    ত্যাগের অনুভূতি ঘ    সহমর্মিতার অনুভূতি

২৮.  কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাকশক্তি হারিয়েছিলেন কীভাবে?     চ

ক  দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে খ    দুর্ঘটনায় পড়ে

গ    ভুল চিকিৎসার কারণে ঘ    যুদ্ধের তেজস্ক্রিয়তায়

২৯.  ‘চক্রবাক’ কাজী নজরুল ইসলামের কী জাতীয় রচনা?      ছ

ক  গল্প  খ    কাব্যগ্রন্থ

গ    উপন্যাস   ঘ    নাটক

৩০.  কাজী নজরুল ইসলামের গ্রামের নাম কী?      চ

ক  চুরুলিয়া   খ    জোড়াসাঁকো

গ    কাজির শিমলা   ঘ    আসানসোল

৩১.  ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে লেখক কোন অবদানকে প্রাধান্য দিয়েছেন?      জ

ক  উপেক্ষিত শক্তির বিনাশ খ    উপেক্ষিত শক্তির অবহেলা

গ    উপেক্ষিত শক্তির মূল্যায়ন   ঘ    উপেক্ষিত শক্তির সঞ্চয়ন

৩২.  ‘মসীময়’-এর সাথে সাদৃশ্য রয়েছে কোনটির?    চ

ক  কলমের কালির  খ    মৌমাছির চোখের

গ    সামরিক শক্তির  ঘ    সবুজ প্রকৃতির

৩৩.  ‘বোধন’ শব্দটি নজরুল ইসলাম কোন অর্থে প্রয়োগ করেছেন?    ছ

ক  বাধ্যবাধকতা খ    উদ্বুদ্ধকরণ

গ    অভিষেক  ঘ    উন্নয়ন

৩৪.  কাজী নজরুল ইসলাম ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে কোন মহাপুরুষের উদাহরণ টেনেছেন?     ছ

ক  কামাল আতাতুর্ক খ    মহাত্মা গান্ধী

গ    হাজী মুহম্মদ মুহসীন  ঘ    স্বামী বিবেকানন্দ

৩৫.  ধান থেকে চাল তৈরির লোকজ যন্ত্রের নাম কী?      ঝ

ক  বরজ খ    গোলা

গ    কুলা ঘ    ঢেঁকি

৩৬. ‘উপেক্ষিত শক্তি উদ্বোধন’ রচনায় লেখক ‘তথাকথিত’ শব্দ দ্বারা কী বোঝাতে চেয়েছেন?  ঝ

ক  যথোচিত   খ    সুনিশ্চিত

গ    অবহেলিত ঘ    মনগড়া

৩৭.  ভারতের অসাধ্য সাধনের রূপকার কে ছিলেন? ছ

ক  ভারতচন্দ্র  খ    মহাত্মা গান্ধী

গ    ভারতের সেনাবাহিনী   ঘ    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৩৮. ‘আমাদের দশ আনা শক্তি নির্ভর করিতেছে’ – এখানে ‘দশ আনা’ শব্দগুচ্ছ দ্বারা লেখক কী বোঝাতে চেয়েছেন?      ছ

ক  সমগ্র খ    সিংহভাগ

গ    শতভাগ   ঘ    আপামর

৩৯.  ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে বর্ণিত উপেক্ষিত হতভাগারা কার দিকে দলে দলে ছুটে গেছে? ঝ

ক  বঙ্গবন্ধুর দিকে   খ    সরকারি বাসভবনের দিকে

গ    ধর্মালয়ের দিকে  ঘ    মহাত্মা গান্ধীর দিকে

৪০.  তথাকথিত ‘ছোটলোক’ সম্প্রদায়ের অন্তর কিসের মতো?    ছ

ক  স্ফটিকের মতো  খ    কাচের মতো

গ    মার্বেলের মতো  ঘ    আয়নার মতো

৪১.  কাজী নজরুল ইসলামের মতে, ভদ্রদের কোন শক্তি নেই – চ

ক  কর্মক্ষেত্রে নেমে কাজ করার

খ    আত্মনির্ভরশীল হওয়ার

গ    যুগোপযোগী শিক্ষা গ্রহণের

ঘ    নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার

৪২.  কবি কাজী নজরুল ইসলামের উপাধি কোনটি? ঝ

ক  প্রেমের কবি     খ    প্রকৃতির কবি

গ    পল্লিকবি   ঘ    বিদ্রোহী কবি

৪৩.  ‘সঙ্কোচ জড়তা’ স্বভাবের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকে – কাদের ক্ষেত্রে কথাটি সত্যি?     চ

ক  তথাকথিত ছোটলোকদের

খ    ভদ্র সম্প্রদায়ের

গ    শিক্ষিত সমাজের

ঘ    দেশের শাসকদের

৪৪.  ‘বোধ জাগিয়ে তোলার বাঁশি’কে এককথায় কী বলা যায়?    জ

ক  প্রলয় বাঁশি খ    সুরেলা বাঁশি

গ    বোধন বাঁশি ঘ    মরণ বাঁশি

৪৫.  ‘জাগো অগণন বন্দি ওঠোরে যত’ – এ আহ্বান প্রবন্ধের কোন চরিত্রের জন্য প্রযোজ্য?   জ

ক  ভদ্রলোকদের    খ    নেতৃবৃন্দের

গ    ছোটলোকদের   ঘ    অহংকারীদের

৪৬.  ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ রচনায় উদ্ধৃত রবীন্দ্রনাথের কবিতায় দেশকে কী বিশেষণে বিশেষায়িত করা হয়েছে?  ঝ

ক  মাতা খ    সৌভাগ্যবতী

গ    কাঙাল    ঘ    দুর্ভাগা

৪৭.  নজরুল রচিত ‘শিউলিমালা’ কী ধরনের রচনা? ছ

ক  নাটক খ    গল্প

গ    উপন্যাস   ঘ    প্রবন্ধ

৪৮.  দেশে যুগান্তর সাধনের জন্য কোনটি দরকার?  চ

ক  উপেক্ষিত শক্তির জাগরণ

খ    শ্রমের পরিমাণ বৃদ্ধি

গ    অভিজাত শ্রেণির কর্মতৎপরতা বৃদ্ধি

ঘ    বেশি বেশি কারখানা নির্মাণ

৪৯.  দরিদ্ররা খেতে না পেলে কে তাদের সাথে উপবাস করতেন? জ

ক  কাজী নজরুল ইসলাম

খ    ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

গ    মহাত্মা গান্ধী

ঘ    রাজা রামমোহন রায়

৫০.  মানুষকে মানুষ হয়ে ঘৃণা করা কিসের ধর্ম নয়? চ

ক  আত্মার    খ  মুসলমানের

গ  বাঙালির    ঘ  হিন্দুর

৫১.  কাজী নজরুল ইসলামের সমাধি কোথায় অবস্থিত?   ছ

ক  বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে

খ    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদ সংলগ্ন এলাকায়

গ    কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার এলাকায়

ঘ    চুরুলিয়া গ্রামে

৫২.  মহাত্মা গান্ধীর ডাকে সবাই ব্যগ্র হয়ে ছুটে যেত কেন?     চ

ক  তিনি সাধারণের কাতারে নেমেছিলেন বলে

খ    তিনি মানুষকে মুক্তির কথা শোনাতেন বলে

গ    তিনি সবাইকে অর্থ সাহায্য দিতেন বলে

ঘ    তিনি স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছেন বলে

৫৩.  কাজী নজরুল ইসলাম কত সালে মারা যান?   চ

ক  ১৯৭৬     খ    ১৯৭৮

গ    ১৯৭০ ঘ    ১৯৭২

৫৪.  কাজী নজরুল ইসলাম কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?      ঝ

ক  ১৮৬১     খ    ১৮৮৫

গ    ১৮৮০     ঘ    ১৮৯৯

৫৫.  কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম কোন জেলায়?  ঝ

ক  আসাম    খ    মেদিনীপুর

গ    কলকাতা  ঘ    বর্ধমান

৫৬. ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে উল্লিখিত ছোটলোকদের প্রাণ কেমন? চ

ক  সরল-মুক্ত-উদার  খ    কঠিন-ভক্ত-সংবেদনশীল

গ    ক্ষুদ্র-ভক্ত-উদার  ঘ    সরল-সংবেদনশীল-কলুষিত

৫৭.  কোনটি আত্মার ধর্ম?   চ

ক  মানুষকে ভালোবাসা   খ    ভেদবৈষম্য করা

গ    জ্ঞানচর্চা করা    ঘ    অধিকার আদায় করা

৫৮. তথাকথিত হতভাগাদের লেখক কোন বিশেষণে বিশেষিত করেছেন?     ছ

ক  ঘুমন্ত মানুষ খ    সত্যিকার মানুষ

গ    দায়িত্ববান মানুষ ঘ    দুর্গত মানুষ

৫৯.  ভদ্র সমাজের দেশে উন্নয়নের ভাবনার সমাপ্তি ঘটে কোনটি?     চ

ক  কথাতে    খ    পরিকল্পনায়

গ    আয়োজনে ঘ    সফলতায়

৬০.  উপেক্ষিত শক্তির বোধন করলে কোনটি ঘটবে? চ

ক  অসাধ্য সাধিত হবে    খ    স্বাধীনতা আসবে

গ    স্বরাজ কায়েম হবে    ঘ    দুর্যোগ কেটে যাবে

৬১.  ‘অন্ধকারাচ্ছন্ন’ শব্দটির সমার্থক কোনটি? ছ

ক  অমিয়াসিক্ত খ    মসীময়

গ    মধ্যাসর   ঘ    আঁধারমানিক

৬২. ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধের মূলকথা কী?     চ

ক  সাম্যবাদ   খ    সংগ্রাম

গ    প্রকৃতিপ্রেম ঘ    মুক্তিযুদ্ধ

৬৩. ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধের শেষ উক্তি কোনটি?    চ

ক  কিসের লজ্জা, কিসের ক্লেশ!

খ    তিনি ভারতে কি অসাধ্য সাধন করিতে পারিয়াছেন

গ    ভাবিতে তোমার আত্মা কি শিহোরিয়া উঠিবে না

ঘ    কিসের দুঃখ, কিসের দৈন্য

৬৪.  ‘দশের লাঠি একের বোঝা’ – কথাটি ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধের কোন ভাবসত্যকে ধারণ করে? ছ

ক  একার পক্ষে জাতীয় উন্নতি সাধন সম্ভব

খ    দশে মিলে কাজ করলে উন্নতি অবশ্যম্ভাবী

গ    ক্ষমতাধররা সম্মিলিতভাবে শোষণই করতে পারে

ঘ    বিত্তবানেরা সদা আত্মসুখ সন্ধানেই ব্যস্ত

৬৫. লেখকের মতে আমরা কাদের উপেক্ষা করে আসছি? চ

ক  দশ আনা শক্তির ধারকদের  খ    তোষামোদকারীদের

গ    নিস্তেজ বুদ্ধিমানদের   ঘ    প্রবীণ মৃতপ্রায়দের

৬৬. দেশে যুগান্তর সাধনের জন্য কোনটি দরকার?  ঝ

ক  অর্থনৈতিক মুক্তি আনয়ন

খ    নেতাদের প্রতিবাদমুখরতা ত্যাগ

গ    বিত্তবানদের উদার হওয়া     ঘ    উপেক্ষিত শক্তির জাগরণ

৬৭.  হিন্দু বর্ণ ব্যবস্থায় নিম্নবর্ণের লোককে কী বলা হয়?   ঝ

ক  ব্রাহ্মণ খ    ক্ষত্রিয়

গ    বৈশ্য ঘ    চণ্ডাল

৬৮. ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধটি কাজী নজরুল ইসলামের কোন গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?   জ

ক  সঞ্চিতা    খ    রিক্তের বেদন

গ    নজরুল রচনাবলী ঘ    দুর্দিনের যাত্রী

৬৯. তথাকথিত ছোটলোকদের বড় পরিচয় কোনটি? ঝ

ক  তাদের কিছুই নেই

খ    তারা নিরহংকার এবং নির্লোভ

গ    তারা ভদ্র এবং মার্জিত

ঘ    তারা সরল এবং উদার

৭০.  ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধটির অন্তর্নিহিত লক্ষ্য কোনটি?  জ

ক   উপেক্ষিতদের পরিচয়  খ    মহাত্মা গান্ধীর প্রশংসা

গ   সাম্য মৈত্রীর বন্দনা

ঘ    ভদ্র সম্প্রদায়ের বৈশিষ্ট্য উদ্ঘাটন

৭১.  ভদ্র সম্প্রদায় কেন তথাকথিত ছোটলোকের মাথায় আঘাত করে? চ

ক   ছোটরা তাদের অধিকার দাবি করে সেজন্য

খ    ছোটরা বড়দের আক্রমণ করে সেজন্য

গ   ছোটরা নির্বোধ সেজন্য

ঘ    ছোটদের মন কাচের ন্যায় সেজন্য

৭২.  উপেক্ষিত ভাইদের হাত ধরে বোধন-বাঁশিতে সুর দিলে কী হবে?   জ

ক   বিশ্ব ঠাট্টা করবে খ    বিশ্ব একঘরে করবে

গ   বিশ্ব নমস্কার করবে    ঘ    বিশ্ব স্বপ্ন দেখবে

৭৩.  আজ আমাদের এত অধঃপতনের কারণ কী?   চ

ক   মেহনতি মানুষদের প্রতি অবহেলা

খ    গণজাগরণের সম্ভাবনা  গ   স্বপ্নরাজ্যে বিচরণ

ঘ    ব্যক্তিস্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া

৭৪.  দেশের দুর্দশা ও জাতির দুর্গতির কথা বুঝতে পারে কারা?   ছ

ক   শ্রমিক সম্প্রদায়  খ    অভিজাত সম্প্রদায়

গ   অন্ত্যজ সম্প্রদায় ঘ    অশিক্ষিত সম্প্রদায়

৭৫.  ‘গরিবদের’ ছোটলোক বলে নামকরণ করেছেন কারা? চ

ক   আভিজাত্য-গর্বিত সম্প্রদায়ের লোকেরা

খ    এদেশের কবিরা

গ   নিম্নশ্রেণির লোকেরা   ঘ    দেশের অর্থনীতিবিদরা

৭৬.  ‘পোশাক কারখানার মালিক রফিক সাহেব বরাবরই শ্রমিকদের ওপর জুলুম নির্যাতন করে থাকেন।’ এখানে শ্রমিকরা ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধের কাদের প্রতিনিধি?  ছ

ক   ভদ্র সম্প্রদায়ের  খ    ছোটলোক সম্প্রদায়ের

গ   নিম্নবিত্তদের ঘ    চণ্ডালদের

৭৭.  ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে আত্মা শিহরিয়া ওঠার কথা বলা হয়েছে কোন প্রেক্ষিতে?  চ

ক   জন্মগত বৈষম্যের নির্মমতা বোঝাতে

খ    কলুষিত আত্মার কষ্ট বোঝাতে

গ   ভদ্রলোকদের চরিত্র বোঝাতে

ঘ    জাতির যুগান্তর আনা বোঝাতে

৭৮.  কাজী নজরুল ইসলামের মতে, শ্রমজীবী মানুষদের অবহেলা করার কারণে আজ আমাদের কী ঘটেছে?  ছ

ক   উন্নয়ন    খ    অধঃপতন

গ   উত্থান     ঘ    বিস্মৃতি

৭৯.  ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ রচনার বর্ণনা মতে ভারতবাসীকে স্নোহর্দ্র বুকে কাছে টেনেছেন কে?    ঝ

ক   রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর  খ    বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

গ   রামমোহন রায়   ঘ    মহাত্মা গান্ধী

৮০.  উপেক্ষিত শক্তির হাত ধরে কাজী নজরুল ইসলাম কী করতে চেয়েছেন?     ঝ

ক   প্রলয়শিখা প্রদীপ্ত করতে

খ    ঝঞ্ঝাকে আহ্বান জানাতে

গ   কণ্টক শয্যা গ্রহণ করতে

ঘ    বোধন বাঁশিতে সুর দিতে

৮১.  আজ আমাদের মহাজাগরণের দিনে উপেক্ষিত ব্যক্তিদের ওপর কত আনা শক্তি নির্ভর করছে?    জ

ক   ছয় আনা  খ    আট আনা

গ   দশ আনা  ঘ    বারো আনা

৮২.  মহাত্মা গান্ধীর দিকে কারা হা হা করে ছুটেছিল?      চ

ক   সমগ্র ভারতবাসী খ    সমগ্র বিশ্ববাসী

গ   অভিজাত সম্প্রদায়ের লোকেরা

ঘ    তথাকথিত ছোটলোকেরা

৮৩. তথাকথিত ছোটলোকদের অন্তর কী রকম?     ছ

ক   আয়নার মতো ঝলমলে খ    কাচের মতো স্বচ্ছ

গ   পাথরের মতো কঠিন  ঘ    কুসুমের মতো কোমল

৮৪.  ‘আমাদের সেই শক্তিকে ভুলিলে চলিবে না।’ এখানে কোন সম্প্রদায়ের শক্তির প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে?    চ

ক   তথাকথিত ছোটলোক সম্প্রদায়ের

খ    অভিজাত জমিদার সম্প্রদায়ের

গ   হিন্দু সম্প্রদায়ের

ঘ    মুসলিম সম্প্রদায়ের

৮৫. ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে আভিজাত্য গৌরব ছিল না কার?    ঝ

ক   লেখকের       খ  পাঠকের

গ   তথাকথিত ছোটলোকদের    ঘ  মহাত্মা গান্ধীর

৮৬. নজরুলের মতে উপেক্ষিতরা ভদ্র সমাজের চেষ্টায় শত বছরের অসম্পন্ন কাজ সম্পন্ন করতে পারবে কত দিনে?   চ

ক   ১ দিনে    খ    ১০ দিনে

গ   ১০০ দিনে  ঘ    ১০০০ দিনে

৮৭.  খেটে খাওয়া শ্রমজীবীরা নিজেদের ছোট মনে করার কারণ কী?  চ

ক   জন্মবৃধি ঘৃণা, উপেক্ষার শিকার বলে

খ    অর্থকড়ি কম বলে

গ   শিক্ষা-দীক্ষা নেই বলে  ঘ    অন্যের কাজ করে বলে

৮৮. ‘চণ্ডাল’ দ্বারা কী বোঝায়?     জ

ক   হিন্দু সম্প্রদায়ের উচ্চ বর্ণের লোক

খ    হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যম বর্ণের লোক

গ   হিন্দু সম্প্রদায়ের নিম্ন বর্ণের লোক

ঘ    হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজনীয় লোক

৮৯.  ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধের মর্মকথা নিচের কোনটিতে ব্যক্ত হয়েছে? জ

ক   যে সহে সে রহে খ    বাহুবলই সেরা বল

গ   একতাই বল ঘ    সাম্য সমৃদ্ধি আনে

৯০.  নজরুলের মতে, আমাদের দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পায় না কেন?  ছ

ক   বিত্তবানদের ষড়যন্ত্রের কারণে

খ    ছোটলোকদেরকে উপেক্ষার কারণে

গ   ক্ষমতাশীলদের স্বার্থপরতার কারণে

ঘ    কিছু লোকের নিষ্ক্রিয়তার কারণে

৯১.  ‘গৃহকর্ত্রীর ভয়ে কাজের মেয়ে সীমা স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারে না।’ ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধের কোন দিকটি সীমার মধ্যে লক্ষণীয়?      জ

ক   নির্যাতনের ভীতি খ    কাজের প্রতি অনীহা

গ   অযৌক্তিক সংকোচ    ঘ    শারীরিক দুর্বলতা

৯২.  ‘এস আমাদের উপেক্ষিত ভাইদের হাত ধরিয়া আজ বোধন-বাঁশিতে সুর দিই’ – কেন? ছ

ক   উপেক্ষিতদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য

খ    জাতিকে জাগিয়ে তোলার জন্য

গ   দীন বসন পরিধানের জন্য   ঘ    ভদ্রলোক হওয়ার জন্য

৯৩.  ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে লেখক কী জরুরি মনে করেছেন?   ঝ

ক   সর্বজনীন শিক্ষার সুযোগ    খ    কর্মসংস্থানের সুযোগ

গ   রাজনৈতিক অধিকার  ঘ    জাতীয় ঐক্য

৯৪.  মহাত্মা গান্ধী কেন উপবাস করেছিলেন?  চ

ক   ছোটলোক সম্প্রদায় খেতে পায়নি বলে

খ    ভদ্র সম্প্রদায়ের অনুরোধ রক্ষা করতে

গ   অপরাধের শাস্তি ভোগ করতে

ঘ    দেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে

৯৫.  ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধের প্রারম্ভে উল্লিখিত কবিতাংশটি কার রচিত?                   ঝ

ক   জীবনানন্দ দাশের খ    কাজী নজরুল ইসলামের

গ   শামসুর রাহমানের ঘ    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের

৯৬. ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে কাজী নজরুল ইসলামের কোন দিকটি ফুটে উঠেছে?    চ

ক   সাম্যবাদী মানসিকতা  খ    সামাজিক দায়িত্ববোধ

গ   রাজনৈতিক মতাদর্শ   ঘ    ধর্মীয় মূল্যবোধ

৯৭.  ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে কাজী নজরুল ইসলামের ভাবনার সাথে সাদৃশ্য বহন করে কোনটি?     ঝ

ক   অর্থনীতি   খ    ধর্মনীতি

গ   সুশাসন    ঘ    মানবতা

৯৮.  সরল অন্তর হওয়া সত্ত্বেও তথাকথিত ছোটলোকরা কাজ করতে পারে না কেন?      চ

ক   ভদ্র সম্প্রদায়ের অত্যাচারের কারণে

খ    ভদ্র সম্প্রদায়ের প্রতিহিংসা আছে বলে

গ   ভদ্রদের সাথে মিশতে চায় না বলে

ঘ    নিজেরা ভদ্র হতে চায় না বলে

৯৯.  তথাকথিত ছোটলোকদের মহাত্মা গান্ধী কী বলে ডেকেছেন? চ

ক   ভাই  খ    বাবা

গ   বন্ধু  ঘ    দাদা

১০০. মহাত্মা গান্ধীর কোন গুণটি দেশের আপামর জনতাকে সম্মোহিত করেছিল?  ছ

ক   দেশাত্মবোধ খ    মানবতাবোধ

গ   সন্ন্যাসী ভাব ঘ    মধুর ভাষণ

১০১. ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ রচনার আলোকে কিসের কারণে মানুষের মাঝে জড়তা ঢুকে পড়ে?     চ

ক   বারবার অবহেলা পেলে

খ    উচ্চাকাক্সক্ষা পোষণ করলে

গ   স্বচ্ছ কাচের মতো মন হলে

ঘ    বিদ্রোহের কারণে

১০২. ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধ অনুসারে দেশে কোনটি প্রতিষ্ঠার জন্য ধর্মীয় ও জাতিগত বিভেদ দূর করা আবশ্যক?     জ

ক   ব্যক্তিমর্যাদা খ    শিক্ষাকাঠামো

গ   গণতন্ত্র    ঘ    অর্থের প্রতিযোগিতা

১০৩. একটি মর্যাদাবান রাষ্ট্র গঠনের ক্ষেত্রে কোনটি প্রয়োজন?   জ

ক   ধর্মীয় ও জাতিগত বিভেদ

খ    তথাকথিত ছোটলোকদের অবদমন

গ   শ্রেণিবৈষম্যহীন সমাজ

ঘ    ভদ্র সম্প্রদায়ের নিয়ন্ত্রণ

১০৪. ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ রচনায় প্রাবন্ধিকের মতে আমাদের অধঃপতনের মূল কারণ কোনটি?   জ

ক   সততার অভাব   খ    স্বচ্ছতার অভাব

গ   সাম্যের অভাব   ঘ    শ্রদ্ধার অভাব

১০৫. ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে লেখকের জীবন চেতনার কোন পরিচয় বিধৃত হয়েছে?    ছ

ক   বিদ্রোহ    খ    সাম্যবোধ

গ   জাতীয়তাবোধ   ঘ    তারুণ্য

১০৬. ‘তোমার উত্থান মাগি, ভবিষ্যৎ রহে প্রতীক্ষায়’ – এ উক্তির আলোকে ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ কার প্রতীক্ষায় আছে?     ঝ

ক   প্রগতিশীল মানুষদের

খ    তথাকথিত ভদ্রলোকদের

গ   সহমর্মী মানুষদের

ঘ    উপেক্ষিত ছোটলোকদের

বহুপদী সমাপ্তিসূচক

১০৭. ‘মন তুমি জান কি – তোমাতে বিরাজে খোদা

ওর  থেকে ও নয় যে জুদা।’

যে বক্তব্যকে এ উক্তির পরিণতি বিবেচনা করা যায় তা হলো-

র.   আমাদের  সে শক্তিকে ভুলিলে চলিবে না

রর.  সে ও যে এক আল্লাহর সৃষ্টি

ররর. তাহার আত্মা তোমার আত্মার মতোই একই মহা

আত্মার অংশ

নিচের কোনটি সঠিক? জ

ক   র ও রর   খ    র ও ররর

গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১০৮. “ঐ তথাকথিত ‘ছোটলোক’-এর অন্তর কাচের ন্যায় স্বচ্ছ।” এখানে ছোটলোকের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত –

র.   মেহনতি মানুষ   রর.  শ্রমিক সম্প্রদায়

ররর. সাধারণ চাকরিজীবী

নিচের কোনটি সঠিক? চ

ক   র ও রর   খ    র ও ররর

গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১০৯. ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে তথাকথিত ‘ছোটলোক’ হচ্ছে –

র.   উপেক্ষিত শক্তি

রর.  দশ আনা শক্তি

ররর. ভদ্র সম্প্রদায়ের শক্তি

নিচের কোনটি সঠিক? চ

ক   র ও রর   খ    র ও ররর

গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১১০. কাজী নজরুল ইসলামের মতে সত্যিকারের মানুষ হচ্ছে –

র.   তথাকথিত ছোটলোকেরা

রর.  উপেক্ষিত হতভাগারা

ররর. ভদ্র সম্প্রদায়ের লোকেরা

নিচের কোনটি সঠিক? চ

ক   র ও রর   খ    র ও ররর

গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১১১. ছোটলোক সম্প্রদায় জন্ম থেকে –

র.   সুখ ভোগ করে থাকে

রর.  ঘৃণা পেয়ে থাকে

ররর. উপেক্ষা পেয়ে থাকে

নিচের কোনটি সঠিক? জ

ক   র ও রর   খ    র ও ররর

গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১১২. কাজী নজরুল ইসলাম সোচ্চার ছিলেন –

র.   সামাজিক অবিচারের বিরুদ্ধে

রর.  পরাধীনতার বিরুদ্ধে

ররর. ঔপনিবেশিক জান্তার বিরুদ্ধে

নিচের কোনটি সঠিক? চ

ক   র ও রর   খ    র ও ররর

গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১১৩. ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ না হওয়ার কারণ –

র.   ছোটলোক বলে অবহেলা

রর.  সহজ-সরল জীবনযাপন

ররর. ভদ্র সম্প্রদায়ের অত্যাচার

নিচের কোনটি সঠিক? ছ

ক   র ও রর   খ    র ও ররর

গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১১৪. ভারতবাসী মহাত্মা গান্ধীর আহ্বানে অকুণ্ঠচিত্তে সাড়া দেয়-

র.   তিনি বুকের রক্ত দিয়েছেন বলে

রর.  তাদের সুখ-দুঃখে সাথি হয়েছেন বলে

ররর. তাদের জন্য বুকভরা স্নেহ দিয়েছেন বলে

নিচের কোনটি সঠিক? জ

ক   র ও রর   খ    র ও ররর

গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১১৫. ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে উল্লিখিত ‘আভিজাত্য গর্বিত সম্প্রদায়’-এর প্রতিনিধিত্ব করে –

র.   ধনিক শ্রেণি রর.  বণিক  শ্রেণি

ররর. কুলীন শ্রেণি

নিচের কোনটি সঠিক? ছ

ক   র ও রর   খ    র ও ররর

গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১১৬. চির সুখীজন ভ্রমে কি কখন, ব্যথিত বেদন বুঝিতে পারে? এই কথার সাথে সংগতিপূর্ণ হচ্ছে –

র.   ভাবিতে তোমার আত্মা কি শিহরিয়া উঠিবে না?

রর.  বেদনার নির্মমতা একবার কল্পনা করিয়া দেখ

ররর. দেখিবে বিশ্ব তোমাকে নমস্কার করিবে

নিচের কোনটি সঠিক? চ

ক   র ও রর   খ    র ও ররর

গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১১৭. অত্যাচারের উপেক্ষায় ‘ছোটলোক’ সম্প্রদায় ভুলে যায় তার-

র.   মানবিক পরিচয়

রর.  অধিকারবোধ

ররর. সামাজিক অবস্থান

নিচের কোনটি সঠিক? চ

ক   র ও রর   খ    র ও ররর

গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১১৮. বিশ্বের বুকে একটি জাতিকে মর্যাদাবান করতে যা প্রয়োজন-

র.   মনীষীদের অবদান

রর.  ঐক্যের উপলব্ধি

ররর. অবহেলিতদের মূল্য প্রদান

নিচের কোনটি সঠিক? ঝ

ক   র ও রর   খ    র ও ররর

গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১১৯. তথাকথিত ভদ্রলোকদের কেউ চণ্ডাল বংশে জন্মগ্রহণ করলে বুঝতে পারতÑ

র.   ব্যথিতের বেদনা

রর.  উচিত শাস্তির ইঙ্গিত

ররর. মনুষ্যত্বের শিক্ষা

নিচের কোনটি সঠিক? জ

ক   র ও রর   খ    র ও ররর

গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১২০. ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে উপেক্ষিতদের ওপর আমাদের –

র.   ভদ্র সমাজ অত্যাচার চালায়

রর.  অধিকাংশ শক্তি নির্ভর করে

ররর. দেশের সকলে নির্ভরশীল

নিচের কোনটি সঠিক? চ

ক   র ও রর   খ    র ও ররর

গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১২১. তথাকথিত ছোটলোকদের সাথে সদাচরণ করা উচিত –

র.   গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠার জন্যে

রর.  সমাজের বৃহত্তর স্বার্থে

ররর. জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনে

নিচের কোনটি সঠিক? জ

ক   র ও রর   খ    র ও ররর

গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১২২. ভারতবাসী ব্যাকুল হয়ে গান্ধীর ডাকে সাড়া দিয়েছিল কারণ-

র.   তাদের আর কেউ এমন করে ডাকেনি

রর.  গান্ধীর মন ছিল স্বচ্ছ ও উদার

ররর. তারা অভাবী গরিব-দুঃখী ছিল সেজন্য

নিচের কোনটি সঠিক? চ

ক   র ও রর   খ    র ও ররর

গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১২৩. মহাত্মা গান্ধীর আহ্বানে অনুপস্থিত ছিল-

র.   বর্ণভেদ    রর.  ধর্মভেদ

ররর. জাতিভেদ

নিচের কোনটি সঠিক? ঝ

ক   র ও রর   খ    র ও ররর

গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১২৪. জাতির মহাজাগরণ ঘটবে –

র.   উপেক্ষিত শক্তির বোধন করলে

রর.  তথাকথিত ছোটলোকদের মর্যাদা দিলে

ররর. ভদ্র সম্প্রদায়ের আত্মোপলব্ধির ফলে

নিচের কোনটি সঠিক? ঝ

ক   র ও রর   খ    র ও ররর

গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১২৫. ‘বোধন-বাঁশিতে’ সুর দিতে হবে-

র.   জাতির জাগরণের জন্য

রর.  পাপের প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য

ররর. ভ্রাতৃত্বের জন্য

নিচের কোনটি সঠিক? ছ

ক   র ও রর   খ    র ও ররর

গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১২৬. উপেক্ষিত জনগোষ্ঠীকে উদ্বোধিত করতে প্রয়োজন –

র.   জাতপাত ভুলে যাওয়া

রর.  ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করা

ররর. প্রাণে প্রাণে সংযোগ স্থাপন করা

নিচের কোনটি সঠিক? ঝ

ক   র ও রর   খ    র ও ররর

গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১২৭. কাজী নজরুল ইসলামের মতে সত্যিকারের মানুষেরা হচ্ছে –

র.   কাউকে ছোটলোক বলে অবহেলা করে না

রর.  সহজ-সরল জীবনযাপন করে

ররর. ভদ্র সম্প্রদায়ের আজ্ঞাবহ হয়

নিচের কোনটি সঠিক? চ

ক   র ও রর   খ    র ও ররর

গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১২৮. মানুষের অধিকারের অন্তর্ভুক্ত নয় –

র.   মানুষ হয়ে মানুষকে সাহায্য করা

রর.  মানুষ হয়ে মানুষকে উপেক্ষা করা

ররর. মানুষ হয়ে মানুষকে ঘৃণা করা

নিচের কোনটি সঠিক? জ

ক   র ও রর   খ    র ও ররর

গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১২৯. তথাকথিত ভদ্র সম্প্রদায়ের সাথে সংগতি রয়েছে –

র.   অর্থ-বিত্তের রর.  আভিজাত্যের

ররর. অন্যায় অবিচারের

নিচের কোনটি সঠিক? ঝ

ক   র ও রর   খ    র ও ররর

গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১৩০. ‘ইহারাই দেশে যুগান্তর আনিবে, অসাধ্য সাধন করিবে।’ এখানে যে শ্রেণির ইঙ্গিত করা হয়েছে –

র.   শ্রমজীবী   রর.  মেহনতি

ররর. বুদ্ধিজীবী

নিচের কোনটি সঠিক? চ

ক   র ও রর   খ    র ও ররর

গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১৩১. ছোটলোকেরা কোনো বড় কাজ করতে পারে না –

র.   বড় লোকদের সহানুভূতির অভাবে

রর.  সংকোচ ও জড়তার জন্য

ররর. ভদ্র সম্প্রদায়ের অত্যাচারের জন্য

নিচের কোনটি সঠিক? ঝ

ক   র ও রর   খ    র ও ররর

গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১৩২. মহাত্মা গান্ধীর ক্ষেত্রে যা প্রযোজ্য –

র.   আভিজাত্যের গৌরব ছিল না

রর.  পদ-গৌরবের অহংকার ছিল না

ররর. হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি অধিকতর দরদি ছিলেন

নিচের কোনটি সঠিক? চ

ক   র ও রর   খ    র ও ররর

গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

অভিন্ন তথ্যভিত্তিক

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১৩৩ Ñ ১৩৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।

মাতাপিতা জ্ঞাতি ভাই ভেদ নাহি মনে।

সকলে সমান মিত্র শত্রু নাহি যার।

মানুষ তারেই বলি মানুষ কে আর?

১৩৩. উদ্দীপকে ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে কাকে ইঙ্গিত করা হয়েছে?      জ

ক   চাচাজিকে  খ    নেতাজিকে

গ   গান্ধীজিকে ঘ    দাদাজিকে

১৩৪. নিচের যে কথাটিতে উদ্দীপকের মূলবক্তব্য ফুটে উঠেছে –

র.   ‘এস, আমাদের উপেক্ষিত ভাইদের হাত ধরিয়া

আজ বোধন-বাঁশিতে সুর দিই’

রর.  মানুষকে মানুষ হইয়া ঘৃণা করিবার, তোমার কি

অধিকার আছে

ররর. তাহার আভিজাত্য-গৌরব নাই, পদ-গৌরবের অহংকার নাই

নিচের কোনটি সঠিক? জ

ক   র ও রর   খ    র ও ররর

গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

১৩৫. উদ্দীপক থেকে আমরা যে অনুপ্রেরণা পাই –

র.   সাম্যবাদের রর.  মনুষ্যত্বের

ররর. উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধনের

নিচের কোনটি সঠিক? ঝ

ক   র ও রর   খ    র ও ররর

গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১৩৬ ও ১৩৭ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।

দেখিনু সেদিন রেলে,

কুলি বলে এক বাবুসাব তারে ঠেলে দিল নিচে ফেলে।

চোখ ফেটে এলো জল,

এমনি করে কি জগৎ জুড়িয়া মার খাবে দুর্বল?

১৩৬. কবিতাংশের কুলির সাথে ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধের কার মিল রয়েছে?                  চ

ক   ছোটলোক সম্প্রদায়ের খ    ভদ্র সম্প্রদায়ের

গ   মহাত্মা গান্ধীর   ঘ    মনীষীগণের

১৩৭. কবিতাংশের বাবুসাব এবং প্রবন্ধের ভদ্র স¤প্রদায়ের কারণেÑ

র.   দেশে যুগান্তর আসে না

রর.  জাতির দুর্গতি দূর হয় না

ররর. আমাদের ছয় আনা শক্তি কাজ করতে পারে না

নিচের কোনটি সঠিক?              চ

ক   র ও রর   খ    র ও ররর

গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১৩৮ ও ১৩৯ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।

সামাদ মিয়া একজন রিকশাচালক। সে রিলিফের কার্ড করার জন্য এলাকার ইউনিয়ন পরিষদে যায়। সেখানে চেয়ারম্যানের রুমে চেয়ারম্যান সাহেব তাকে সামনের চেয়ারে বসতে বললে সামাদ মিয়া সংকোচবোধ করে। সে চেয়ারে না বসে কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত দাঁড়িয়েই থাকে।

১৩৮. উদ্দীপকের সামাদ মিয়া ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে বর্ণিত কোন চরিত্রের প্রতিনিধি?              ছ

ক   ভদ্র সম্প্রদায়    খ    ছোটলোক সম্প্রদায়

গ   মহাত্মা গান্ধী    ঘ    মনীষী শ্রেণি

১৩৯. উদ্দীপকের সামাদ মিয়ার সংকোচবোধের কারণÑ

র.   জন্ম থেকে উপেক্ষা পাওয়া

রর.  চেয়ারম্যান ভদ্র সম্প্রদায়ের লোক হওয়া

ররর. ভদ্র সম্প্রদায়ের অত্যাচার

নিচের কোনটি সঠিক?              ছ

ক   র ও রর   খ    র ও ররর

গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১৪০ ও ১৪১ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।

জালাল উদ্দীন একজন স্কুলশিক্ষক। তিনি সকল সময় গ্রামের দীন-দরিদ্র মানুষের পাশে থাকেন । তাদের সুখ-দুঃখের কথা শোনেন। এলাকার রাস্তাঘাট ভেঙে গেলে তিনি ডাকলেই স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা সারাতে এলাকার গরিব লোকেরাই ছুটে আসে।

১৪০. উদ্দীপকের জালাল উদ্দীন ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধের কোন দিকটি অনুসরণ করেছেন?    জ

ক   ছোটলোক সম্প্রদায়ের চেতনাকে ধারণ

খ    ভদ্র সম্প্রদায়ের মানসিকতা

গ   মনীষীদের নির্দেশিত পথ

ঘ    ছোটলোক সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচার

১৪১. জালাল উদ্দীনের ডাকে সকলে ছুটে আসার কারণÑ

র.   তিনি উপেক্ষিত শক্তির বোধন ঘটিয়েছেন

রর.  তিনি উঁচু-নীচু ভেদ দূর করেছেন

ররর. তিনি ভদ্র সম্প্রদায়ের লোক

নিচেরকোনটি সঠিক?                চ

ক   র ও রর   খ    র ও ররর

গ   রর ও ররর ঘ    র, রর ও ররর

 

আরও দেখুন:

Leave a Comment