ই কার ব্যবহারের কৌশল | শুদ্ধ বাংলা বানানের নিয়ম

ই কার ব্যবহারের কৌশল বিগত ক্লাসগুলোতে বাংলা বানানে ই কার ব্যবহারের মূল নিয়মগুলো আলোচনা করা হয়েছে। এই কোর্সটি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের, পলিটেকনিক ডিসিপ্লিনের, বাংলা (৬৫৭১১) কোর্সের অন্তর্গত। যে কোর্সটি “ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং”, “ডিপ্লোমা ইন ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং”, “ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং”, “ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং” সহ, পলিটেকনিক এর প্রায় প্রতিটি টেকনোলোজির পাঠ্যক্রমের অংশ।

পলিটেকনিক এর সিলেবাস ও উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীর (ক্লাস ১১-১২) সিলেবাস এর অনেক মিল থাকায় এই পাঠগুলো এইচএসসি শিক্ষার্থীদের একই ভাবে সহায়তা করবে। এই ক্লাসটি সহায়তা করবে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতিতে, যেমন বিসিএস প্রস্তুতি, ব্যাংক চাকরির প্রস্তুতি সহ অন্যান্য পরীক্ষার প্রস্তুতিতে।

 

ই কার ব্যবহারের কৌশল

 

মানুষ কথা বলার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করে। কথার মূলে আছে কতকগুলা ধ্বনি। বাগযন্ত্রের সহায়তায় ধ্বনিগুলো উচ্চারিত হয়। ধ্বনি উচ্চারণের জন্য যেসব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাজ করে সেগুলো হল-ফুসফুস, স্বরতন্ত্রী, গলনালী, জিভ, মাড়ি, দাঁত, ঠোট, নাক ইত্যাদি। ফুসফুস থেকে বাতাস স্বরতন্ত্রী, মুখ বা নাকের মাঝখান দিয়ে বেরিয়ে আসার সময় জিভ, তালু, মাড়ি, দাঁত, ঠোঁট প্রভৃতিতে নানাভাবে বাধা পায় এবং তাতে বিভিন্ন ধ্বনি উচ্চারিত হয়। শব্দের মধ্যে ই-কার বা ঈ-কার উচ্চারণ খুব একটা পার্থক্য লক্ষ করা যায় না। তবে বানানের ক্ষেত্রে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। বানানের ক্ষেত্রে ই-কার ব্যবহারের নিয়ম নিম্নে দেওয়া হল-

 

ই কার ব্যবহারের কৌশল ই কার ব্যবহারের কৌশল | শুদ্ধ বাংলা বানানের নিয়ম

 

ক. যেসব তৎসম (বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত অবিকৃত সংস্কৃত) শব্দে ই-কার বা ঈ-কার দুটোই শুদ্ধ এবং প্রচলিত, বানানের সমতাবিধানের লক্ষ্যে সেইসব শব্দে কেবল ই এবং তার কার চিহ্ন ( ি ) ব্যবহৃত হবে।
যেমন : কিংবদন্তি, খঞ্জনি, চিৎকার, ধমনি, পঞ্জি, ধূলি, পদবি, ভঙ্গি, মঞ্জরি, মসি, লহরি, সরণি, সূচিপত্র ইত্যাদি।

খ. সকল অ-তৎসম অর্থাৎ তদ্ভব, দেশি, বিদেশি, মিশ্র শব্দে কেবল ই এবং এদের-কার চিহ্ন ই-কার ব্যবহৃত হবে। যেমন : গাড়ি, চুরি, দাড়ি, বাড়ি, ভারি (অত্যন্ত অর্থে), শাড়ি, তরকারি, ছুরি, টুপি, সরকারি, মাস্টারি, মালি, পাগলামি, পাগলি, দিঘি, বোমাবাজি, দাবি, হাতি, বেশি, খুশি, সিঙ্গি, কেরামতি, রেশমি, পশমি, পাখি, ফরিয়াদি, আসামি, বে-আইনি, ছড়ি, কুমির, নিচ, নিচু ইত্যাদি।

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

এমনকি স্ত্রীবাচক, ভাষা ও জাতিবাচক ইত্যাদি শব্দের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে । অর্থাৎই ও এর কার-চিহ্ন ই-কার ব্যবহৃত হবে। যেমন— হিজরি, আরবি, ফারসি, ফরাসি, বাঙালি/বাঙ্গালি, ইংরেজি, জাপানি, জার্মানি, ইরানি, হিন্দি, সিন্ধি, ফিরিঙ্গি, নানি, দাদি, বিবি, মামি, চাচি, মাসি, পিসি, দিদি, ইত্যাদি।

ব্যতিক্রম : বহুল ব্যবহারের কারণে আরবি শব্দ ঈদ, ঈমান ঠিক থাকবে।

গ. অনুরূপভাবে- আলি বা আবলি প্রত্যয়যুক্ত শব্দে ই-কার হবে। যেমন : খেয়ালি, বর্ণালি, মিতালি, হেঁয়ালি, রূপালি, সোনালি, দৃশ্যাবলি, গ্রন্থাবলি, সূত্রাবলি ইত্যাদি।

ঘ. পদাশ্রিত নির্দেশক টি-তে ই-কার হবে। যেমন : ছেলেটি, লোকটি, বইটি।

 

অতৎসম শব্দ

 

ই কার ব্যবহারের কৌশল নিয়ে বিস্তারিত :

 

আরও দেখুন:

Leave a Comment