আমরা যে কত শিক্ষালোভী সারাংশ সারমর্ম

আমরা যে কত শিক্ষালোভী সারাংশ সারমর্ম দেখবো আজ। এই পাঠটি আমাদের ভাষা ও শিক্ষা সিরিজের , সারাংশ সারমর্ম বিভাগের একটি পাঠ।

আমরা যে কত শিক্ষালোভী সারাংশ সারমর্ম লিখন

আমরা যে কত শিক্ষালোভী… রচনাটি ভালোভাবে পড়ে নেবো। এরপর আমরা সারাংশ সারমর্ম তৈরি করবো। তারপর সারাংশ সারমর্ম তৈরি করার নিয়মের দিকে একটু চোখ বুলিয়ে নেব।

 

 

আমরা যে কত শিক্ষালোভী | সারাংশ সারমর্ম | ভাষা ও শিক্ষা

আমরা যে কত শিক্ষালোভী রচনা:

আমরা যে কত শিক্ষালোভী তার প্রমাণ আমাদের পাঁচ বৎসর বয়সে হাতেখড়ি হয়। আর কমসে কম একুশ বৎসর বয়সে হাতে- কালি মুখে কালি মেখে আমরা সেনেট হাউস থেকে লিখে আসি। কিন্তু এতেও আমাদের শিক্ষার সাধ মেটে না। এর পরে আমরা সারা জীবন যখন যা কিছু পড়ি তা কবিতাই হউক, আর গল্পই হউক— আমাদের মনে স্বতঃই এ প্রশ্নের উদয় হয় যে, আমরা এ পড়ে কী শিক্ষা লাভ করলুম? এ প্রশ্নের উত্তর মুখে মুখে দেওয়া অসম্ভব; কেননা, সাহিত্যের যা শিক্ষা তা হাতে হাতে পাওয়া যায় না। সাহিত্য যা দেয় তা আনন্দ; কিন্তু ও বস্তু আমরা জানি নে বলে মানি নে। আমাদের শিক্ষার ভিতর আনন্দ নেই বলে আনন্দের ভিতর যে শিক্ষা থাকতে পারে তা আমাদের বুদ্ধির অগম্য।

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

আমরা যে কত শিক্ষালোভী সারাংশ :

বর্তমান সমাজে বৈষয়িক লাভালাভই শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। তা থেকে আমরা হাতে হাতে ফল পেতে চাই, জ্ঞানার্জন বা আনন্দ নয় আনন্দ লাভ করা যায় সাহিত্যপাঠের মাধ্যমে। আমাদের শিক্ষার সঙ্গে আনন্দের যোগ নেই বলেই তা রসহীন।

 

আমরা যে কত শিক্ষালোভী | সারাংশ সারমর্ম | ভাষা ও শিক্ষা

 

কবি-সাহিত্যিকগণ যখন তাঁদের সাহিত্যের রচনাকে সৃষ্টি করেন তখন মূলকথাটি রসমধুর করে অর্থাৎ খুবই মর্মগ্রাহী করে প্রকাশ করেন। এর মূল লক্ষ্য হল শ্রোতা বা পাঠকের মনকে আকর্ষণ করা। আর এ-জন্যে মূলকথাটির সঙ্গে বেঁধে দেয়া হয় ছন্দ, অলঙ্কার, উপমা, দৃষ্টান্ত ইত্যাদি। ফলে মূল বক্তব্যের গায়ে লাগে রসের প্রলেপ। রবীন্দ্রনাথের ভাষায়, ‘শুধু কথা যখন খাড়া দাঁড়িয়ে থাকে, তখন কেবলমাত্র অর্থকে প্রকাশ করে। কিন্তু, কথাকে যখন তির্যক ভঙ্গি ও বিশেষ গতি দেওয়া যায়, তখন সে আপন অর্থের চেয়ে আরও কিছু বেশি প্রকাশ করে। সেই বেশিটুকু যে কী, তা বলা শক্ত। কেননা, তা কথার অতীত; সুতরাং অনির্বচনীয়। যা আমরা দেখছি, শুনছি, জানছি তার সঙ্গে যখন খুঁজে বের করা একটু কঠিনই হয়।

সারাংশ সারমর্ম তৈরি করার নিয়ম:

সারাংশ সারমর্ম  বলতে কোন বৃহত্তর রচনা, যেমন কোন গবেষণাপত্র, সন্দর্ভ, অভিসন্দর্ভ, পর্যালোচনা, সম্মেলন বিবরণী, বা যেকোন বিষয়ের উপর গভীর বিশ্লেষণী কোন রচনার মূল বিষয়বস্তুর ধারণা প্রদানকারী একটি সংক্ষিপ্ত রচনাকে বোঝায়। সারাংশ সাধারণত রচনার শুরুতে বা কখনো কখনো রচনার শেষে সংযুক্ত করা হয়।

শিক্ষায়তনিক গবেষণায় জটিল গবেষণাধর্মী বিষয়সমূহ সহজভাবে বোধগম্য করে তুলতে সারাংশ ব্যবহৃত হয়। সারাংশ সম্পূর্ণ গবেষণাপত্রের পরিবর্তে একটি ছোট সত্তা হিসেবে কাজ করতে পারে। যেমন, অনেক প্রতিষ্ঠান কোন গবেষণার মূলভিত্তি নির্বাচনে সারাংশ ব্যবহার করে, যা কোন শিক্ষায়তনিক সম্মেলনে পোস্টার আকারে, মৌখিক উপস্থাপনার বা মঞ্চে উপস্থাপনার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতে পারে। বেশিরভাগ গবেষণা ডেটাবেজ সার্চ ইঞ্জিনে সম্পূর্ণ গবেষণাপত্র দেওয়ার পরিবর্তে শুরু সারাংশ প্রদান করে থাকে।

আরও দেখুন:

Leave a Comment