Site icon Bangla Gurukul [ বাংলা গুরুকুল ] GOLN

আধুনিক জীবন ও প্রযুক্তি | বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক | বাংলা রচনা সম্ভার

আধুনিক জীবন ও প্রযুক্তি | বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক | বাংলা রচনা সম্ভার ,  ভূমিকা : আধুনিক জীবন ও প্রযুক্তি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বিজ্ঞান হচ্ছে আবিষ্কার, তার নানা তত্ত্ব ও সূত্রের প্রায়োগিক দিককেই বলা হয় প্রযুক্তি। অন্য কথায় উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি, শক্তি ও উপাদানকেই বলা হয় প্রযুক্তি। প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে, প্রযুক্তির দ্বারা তৈরি নানা পণ্যদ্রব্য ভোগ করে, আর নানা কলাকৌশল ব্যবহার করে মানুষ হয়ে উঠেছে আধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণেই কৃষিতে ফলন বাড়ছে, বাস-ট্রেন, বিমান জাহাজের সাহায্যে স্থলে জলে আকাশে ভ্রমণ করতে পারছি আমরা। টেলিফোন, টেলিগ্রাফ, রেডিও, কৃত্রিম উপগ্রহ, কম্পিউটার, মোবাইলের সাহায্যে অভাবনীয় যোগাযোগ কিংবা বিনোদনের সুযোগ পাচ্ছি। শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ, কাপড় ধোয়া, রান্না করা, সিঁড়ি না ভেঙে বহুতল ভবনে ওঠানামা করা—সবই মানুষের কাছে সহজ করে দিয়েছে প্রযুক্তি।

আধুনিক জীবন ও প্রযুক্তি | বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক | বাংলা রচনা সম্ভার

আধুনিক জীবন ও প্রযুক্তি

মানুষের আধুনিক জীবনযাপন প্রণালী, আধুনিক জীবনভাবনা ও চেতনা সম্পূর্ণরূপে প্রযুক্তির সৃষ্টি। তাই প্রযুক্তিকে বাদ দিয়ে আধুনিক জীবনের কথা চিন্তাই করা যায় না। প্রযুক্তিবিদ্যার কল্যাণেই মানবজীবনের যাবতীয় সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য সম্পাদিত হচ্ছে যা কিছু ধ্বংসাত্মক তাও প্রযুক্তিরই কল্যাণে। প্রযুক্তির চরিত্র বৈশ্বিক। এ কারণেই সমগ্র বিশ্ব আজ একটা ‘গ্লোবাল সিটি’তে পরিণত হয়েছে। এ যেন আধুনিক জীবন—আধুনিক মানুষ আধুনিক বিশ্ব।

আধুনিক জীবনের স্বরূপ : সাম্প্রতিককালে মানুষের জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রভাব বিশেষভাবে লক্ষণীয়। মানবজীবন বর্তমানে যে সভ্যতায় স্নাত, তা বিজ্ঞানেরই প্রভাবের ফল। মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। বিশ্বে জনসংখ্যা ব্যাপক বৃদ্ধির ফলে মানুষের জীবনে সমস্যার জটিলতা বৃদ্ধি পেয়েছে অনেক বেশি। সেসব জটিলতার অবসানের জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। মানুষের অদম্য আগ্রহ থেকে বিজ্ঞানের বিকাশ। আর এ বিকাশের ফলে সমৃদ্ধ হয়েছে মানুষের জীবন।

আধুনিক জীবনব্যবস্থা বিজ্ঞানের সাহায্য ছাড়া অচল। বর্তমানে মানুষের শিক্ষা-দীক্ষা ও জ্ঞান-গরিমায় যেমন বিজ্ঞানের প্রভাব পড়েছে, তেমনি মানুষের অপরাপর ক্ষেত্রে। যেমন— স্বাস্থ্য, বাসস্থান, যোগাযোগ, বিনোদন ইত্যাদিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সর্বাত্মক ভূমিকা রাখছে। সাম্প্রতিককালে তথ্যপ্রযুক্তির যে বিস্ময়কর উন্নতি সাধিত হয়েছে, তা বিজ্ঞানেরই দান। যোগাযোগের অভূতপূর্ব উন্নতির ফলে সারা বিশ্ব এখন কাছাকাছি এসে দাঁড়িয়েছে। চিকিৎসাক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে। বিনোদনের জন্য এসেছে বিচিত্র উপকরণ। এভাবে আধুনিক জীবন যথার্থই অগ্রগতির স্বাক্ষর বহন করছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অনুদানেই আধুনিক জীবন যথার্থ সমৃদ্ধ ।

আধুনিক জীবনে প্রযুক্তি : একুশ শতকের মানুষের জীবনযাত্রা সার্বিকভাবে প্রযুক্তি নির্ভর। শহরে নগরে যে আকাশচুম্বী বহুতল ভবন গড়ে উঠেছে; আমরা যে বাস, কার, ট্যাক্সিতে যাতায়াত করছি তা প্রযুক্তিবিজ্ঞানের অবদান। বাষ্প, বিদ্যুৎ ও পারমাণবিক শক্তিচালিত রেল ও স্টিমার পরিবহন ব্যবস্থায় এনেছে যুগান্তর। প্রযুক্তির কল্যাণে ঘরে ঘরে বৈদ্যুতিক আলো জ্বলছে, পাখা, হিটার, রেডিও, টিভি,  ফ্রিজ, ভিসিআর, ভিসিপি, লিফট, এয়ারকুলার, কম্পিউটার চলছে। অফিসে, আদালতে, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে, সংবাদপত্রের অফিসে যে ক্যালকুলেটর, টাইপরাইটার, ফটোকপিয়ার, ফ্যাক্স, কম্পিউটার ইত্যাদি ব্যবহৃত হচ্ছে তাও সম্ভব হয়েছে প্রযুক্তির কল্যাণে।

শিল্পাঞ্চলে উৎপাদনের প্রধান চালিকাশক্তিই হচ্ছে প্রযুক্তি গ্রামাঞ্চলে কুটিরশিল্পেও এখন প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে। কৃষিতে কর্ষণ, বীজ বপন, নিড়ানো, ফসল কাটা ফসল তোলা, ঝাড়াই, মাড়াই ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হচ্ছে কলের লাঙল থেকে শুরু করে নানা কৃষি যন্ত্রপাতি। জলসেচের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে বিদ্যুৎ চালিত সেচযন্ত্র। চিকিৎসা ব্যবস্থাও এখন বহুলাংশে হয়ে পড়েছে প্রযুক্তিনির্ভর। জ্বালানি শক্তির বিকল্প যেসব শক্তি বিজ্ঞানীরা ব্যবহার করছেন সেগুলোকে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রেও প্রযুক্তির কার্যকর ভূমিকা রয়েছে।

এক কথায় আধুনিক যুগের মূল ভিত্তি ও সহায় হচ্ছে প্রযুক্তি। অটোমেশিন বা স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র আধুনিককালে মানুষের জীবনে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। ইলেকট্রনিক্স প্রযুক্তি বিজ্ঞানের মেলবন্ধনে সৃষ্টি হয়েছে কম্পিউটার ও রোবটের মতো অভাবনীয় যন্ত্র। বিনোদন থেকে শুরু করে যুগান্তকারী সব সাফল্যের পেছনেও রয়েছে প্রযুক্তি বিজ্ঞানের ভূমিকা ।

প্রযুক্তির উদ্ভব : জীবনের প্রয়োজনে-স্বাচ্ছন্দ্য বিধানে বিজ্ঞানকে কাজে লাগানোর প্রয়াস মানুষের দীর্ঘদিনের। কিন্তু আধুনিক প্রযুক্তি ও প্রকৌশল বিদ্যার বয়স দৃশ বছরের বেশি নয়। ইংল্যান্ডই প্রথম এ বিদ্যাকে প্রযুক্তি তথা প্রয়োগ বিজ্ঞানকে আত্মস্থ করে এবং কাজে লাগায়। প্রযুক্তির প্রসারের ফলে সেখানে শিল্পবিপ্লব ঘটে। নানা প্রকার যন্ত্রপাতি মানুষের জীবনধারা বদলে দেয়।

অন্যান্য দেশেও এর ব্যবহার শুরু হয় এবং তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে। তবে পশ্চিমা দেশগুলোই শিল্পবিপ্লবের প্রধান ধারক ও বাহক। প্রযুক্তির ক্ষেত্রে যে দেশ যত অগ্রগামী সে দেশ তত উন্নত, তত আধুনিক জীবনের অধিকারী। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি হাতে হাত ধরে চলছে ক্রমাগত। আজও তার চলার বিরাম নেই। নব নব প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে এবং ব্যবহারিক জীবনে তাকে কাজে লাগিয়ে আধুনিক মানুষ হয়ে উঠেছে আরো আধুনিক।

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

ক্রমবিকাশের প্রথম যুগ প্রযুক্তির প্রথম যুগ ছিল বাষ্পীয় যন্ত্রের। এর মাধ্যমে ধীর গতির পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় পালাবদল ঘটে। ফসলাদি উৎপাদনের কাজেও প্রযুক্তি ব্যবহৃত হতো। স্বল্প মূল্যে, স্বল্প শ্রমে স্বল্প ফসল –এ ছিল প্রথম যুগের অবস্থা।

দ্বিতীয় যুগ : বিদ্যুতের আবিষ্কারের পর প্রযুক্তির ইতিহাসে সৃষ্টি হয় নবযুগ। বিদ্যুতের ব্যাপক প্রয়োগিক কৌশলে শিল্পক্ষেত্রে বিপ্লব সংঘটিত করে। শুরু হয় দ্বিতীয় যুগের। নব নব শিল্প-কারখানা স্থাপন এবং তার উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী মানুষের জীবন প্রণালীতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটায়। প্রকৃত অর্থে বিদ্যুতের যুগ তথা দ্বিতীয় যুগ থেকেই পৃথিবীর মানুষ আধুনিক মানুষে পরিণত হয়। বিদ্যুতের পরশে শিল্প- কারখানার চাকা চলতে লাগল, পাখা ঘুরল, বিমান উড়ল, স্টিমার, মোটর চলল।

মানুষ নতুন এক জীবন….আধুনিক জীবন লাভ করল। অবশ্য মানুষের কল্যাণকর উপকরণ ও দ্রব্যাদির পাশাপাশি এ যুগে প্রযুক্তি ব্যবহৃত হলো সমরাস্ত্র উৎপাদনের ক্ষেত্রেও। মহাযুদ্ধগুলোতে ব্যবহারের জন্য এবং রাষ্ট্রসমূহের পারস্পরিক বিরোধ দমন ও আধিপত্য বিস্তারের জন্য এবং সীমান্ত রক্ষার জন্য এ যুগে পশ্চিমা দেশগুলো সমরাস্ত কারখানা নির্মাণে এবং সমরাস্ত্র উৎপাদনে প্রতিযোগিতায় নামল ।

তৃতীয় যুগ : তৃতীয় যুগ ইলেকট্রন, প্রোটন ও সৌরশক্তির যুগ। প্রযুক্তি এসে এ যুগকে বলীয়ান করে তুলেছে। শুধু বলীয়ান নয়, আধুনিক বিশ্বের আধুনিক মানুষের জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করছে প্রযুক্তি। প্রযুক্তিই এখন আধুনিক মানবজীবনের নিয়ামক। কৃষি, শিল্প, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নির্মাণ, স্থাপতা, যোগাযোগ, পরিবহন, তথ্য—সব ক্ষেত্রেই প্রযুক্তির জয়জয়কার। নিদ্রায়, জাগরণে, যুদ্ধে, এককথায় জীবনে এবং মন্ত্রণে আধুনিক প্রযুক্তি এখন মানুষের নিত্যসঙ্গী।

প্রযুক্তির সহযোগিতা : আধুনিক যুগে প্রযুক্তিবিদ্যার বিস্ময়কর বিকাশে সারা পৃথিবী জুড়ে এক নবচেতনার সঞ্চার হয়েছে এবং তা পৃথিবীকে দ্রুত উন্নয়নের দিকে পরিচালিত করছে। এক দেশের উদ্ভাবিত প্রযুক্তি চালানো হচ্ছে অন্য দেশে। প্রযুক্তি জ্ঞানের সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করছে সব দেশ। অনুন্নত দেশের উন্নতির জন্য প্রযুক্তি আহরণ একটি কার্যকর পন্থা। আবার কোনো দেশের প্রযুক্তিবিদ্যার সুষ্ঠু রূপায়ণের জন্য কাঁচামাল যোগাচ্ছে অন্য দেশ। তাই এখন প্রযুক্তি যাদের হাতে, তারাই সর্বাধিক সমৃদ্ধ । প্রযুক্তি সরবরাহের মাধ্যমে গড়ে উঠেছে সারা বিশ্বে পারস্পরিক সহযোগিতা ।

প্রযুক্তির অগ্রগতি ও জীবনের উন্নয়ন : আধুনিক বিশ্বে মানবজীবনের যে উন্নয়ন সাধিত হয়েছে, তা প্রযুক্তিগত অগ্রগতির ফল। মানুষ প্রতিনিয়ত গবেষণার মাধ্যমে প্রযুক্তির উন্নতি সাধন করছে। বিজ্ঞানের বিস্ময়কর আবিষ্কার মানবজীবনকে সুখ-সমৃদ্ধিতে পরিপূর্ণ করে তুলছে। মানুষের অভাব দূর হচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে। মানুষ রোগের যন্ত্রণা থেকে রেহাই পাচ্ছে আধুনিক উন্নত ধরনের চিকিৎসায়। জীবনের সকল পর্যায়ে সমস্যার সমাধানে এগিয়ে এসেছে প্রযুক্তিবিদ্যা।

বিজ্ঞানের জ্ঞান বিভিন্ন আবিষ্কার ও উৎপাদনের মাধ্যমে প্রযুক্তিতে রূপলাভ করে মানুষের জীবনের প্রয়োজন মেটাচ্ছে। মানবজীবন বিকাশের যথার্থ উপায় এখন প্রযুক্তিবিদ্যা। প্রযুক্তি মানবজীবনকে নব চেতনায় সমৃদ্ধ করেছে। সারা বিশ্বে উন্নতির যে ধারা প্রবাহিত হচ্ছে, তা এক দেশের প্রযুক্তি অন্য দেশে সরবরাহের ফলে। উৎপাদনের সকল ক্ষেত্রে প্রযুক্তিবিদ্যার ব্যাপক ব্যবহারের ফলে পণ্যসামগ্রীতে এসেছে বৈচিত্র্য ও উৎকর্ষ। এখন অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারে প্রযুক্তিকে সহায়ক হিসেবে প্রয়োগ করা হচ্ছে।

প্রযুক্তির বিরূপ প্রভাব : প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধনের ফলে মানবজীবন ও সভ্যতার অগ্রগতি সাধিত হলেও এর ক্ষতিকর প্রভাবও অস্বীকার করা যায় না। প্রযুক্তি সমৃদ্ধ জাতি এখন ক্ষমতাশালী। তারা প্রযুক্তিগত দিক থেকে অনগ্রসর জাতির ওপর প্রভাব বিস্তার করে আছে। তবে প্রযুক্তির সবচেয়ে ক্ষতিকর দিকটি হচ্ছে, মারণাস্ত্র তৈরিতে এর অবদান। বিশেষত পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করে বিশ্বজুড়ে পেশি শক্তির যে মহড়া দেয়া হচ্ছে, তাতে বিশ্বশান্তিতে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী দেশে সংঘাতের যে বাহুল্য দেখা যাচ্ছে, তা প্রযুক্তির উন্নয়নেরই ফল। আধুনিক প্রযুক্তিবিদ্যা মানুষকে যুদ্ধের দিকে, অশান্তির দিকে পরিচালিত করছে।

উপসংহার : আধুনিক যুগে প্রযুক্তিবিদ্যার বিস্ময়কর বিকাশে সারা পৃথিবী জুড়ে নবচেতনার সঞ্চার হয়েছে এবং তা পৃথিবীকে দ্রুত উন্নয়নের দিকে পরিচালিত করছে। এক দেশের উল্লবিত প্রযুক্তি চালান হচ্ছে অন্য দেশে। প্রযুক্তি জ্ঞানের সুযোগসুবিধা গ্রহণ করছে সব দেশ। অনুন্নত দেশের উন্নতির জন্য প্রযুক্তি আহরণ একটি কার্যকর পন্থা। আবার কোনো দেশের প্রযুক্তিবিদ্যার সুষ্ঠু রূপায়ণের জন্য কাঁচামাল যোগাচ্ছে অন্য দেশ। তাই এখন প্রযুক্তি যাদের হাতে তারাই সর্বাধিক সমৃদ্ধ। তারা অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারে প্রযুক্তিকে সহায়ক হিসেবে ব্যবহার করছে। প্রযুক্তি সরবরাহের মাধ্যয়ে গড়ে উঠেছে সারা বিশ্বে পারস্পরিক সহযোগিতা। আধুনিক জীবনকে সুখকর করার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে এসব প্রযুক্তি।

Exit mobile version