Site icon Bangla Gurukul [ বাংলা গুরুকুল ] GOLN

ভারতের বিপন্নপ্রায় অপ্রধান আঞ্চলিক ও আদিবাসী ভাষা | ভাষাকোষ | শানজিদ অর্ণব

ভারতের বিপন্নপ্রায় অপ্রধান আঞ্চলিক ও আদিবাসী ভাষা – মানুষের কণ্ঠনিঃসৃত বাক্ সংকেতের সংগঠনকে ভাষা বলা হয়। অর্থাৎ বাগযন্ত্রের দ্বারা সৃষ্ট অর্থবোধক ধ্বনির সংকেতের সাহায্যে মানুষের ভাব প্রকাশের মাধ্যমই হলো ভাষা। দেশ, কাল ও পরিবেশভেদে ভাষার পার্থক্য ও পরিবর্তন ঘটে। বিভিন্ন প্রাকৃতিক পরিবেশে অবস্থান করে মানুষ আপন মনোভাব প্রকাশের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন বস্তু ও ভাবের জন্য বিভিন্ন ধ্বনির সাহায্যে শব্দের সৃষ্টি করেছে।

ভারতের বিপন্নপ্রায় অপ্রধান আঞ্চলিক ও আদিবাসী ভাষা

আরিয়: মধ্যপ্রদেশের ভাষা

আবুজমারিয়া দ্রাবিড়ী ভাষা। মধ্যপ্রদেশের বস্তার (পার্বত্য মারিয়া) জেলার আবুজমার পর্বতের পার্বত্য মারিয়া উপজাতির মাঝে প্রচলিত।

আদি (আরব, আরবমিরি): তিব্বতীয়-বর্মীয় ভাষা। আলসমা উপত্যকার উত্তর- পার্বত্য অঞ্চল, ভুটান ও রুরুলী নদীর মধ্য ভাগ এবং অরুণাচল প্রদেশের জনগোষ্ঠীর মাঝে প্রচলিত। মিরি ও মিশিং-এর আঞ্চলিক ভাষা।

আদি ইয়ান (এরাভাস): একটি দ্রাবিড়ী ভাষা। কেরলা রাজ্যের কুনুর জেলা, তামিলনাডু এবং কর্ণাটকের অংশ বিশেষে প্রচলিত।

আগারিয়া (অগোরিয়া): বিহার, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং উড়িষ্যার উপজাতিরা ব্যবহার করে।

অহম (তাই অহম): বর্তমানে ব্যবহার নেই। শুধু আসামের উপজাতিদের ধর্মীয় গান ও সাহিত্যে ব্যবহার আছে।

আইমল আসাম ও মণিপুরের উপজাতিদের ভাষা। লানগরং-এর আঞ্চলিক ভাষা।

আইটন: আসামে প্রচলিত।

আজমেরী: রাজস্থানের আঞ্চলিক ভাষা। প্রধানত আজমের-এ ব্যবহৃত হয়।

আকা-বিয়া (বিয়া, বোজিগ্‌নিজি বোজিগ ইয়াব): দক্ষিণ আন্দামান দ্বীপের উপকূল অঞ্চলের উপজাতির ভাষা।

আকা-বো (বো, বা): উত্তর আন্দামান দ্বীপের পূর্ব-মধ্য উপকূল এবং উত্তর দ্বীপ অঞ্চলে প্রচলিত।

আকা জেরু (জেরু, ইয়েরাওয়া): দক্ষিণ ও উত্তর আন্দামান অঞ্চলে এ ভাষা প্রচলিত।

আর্ককেডে (কেডে): মধ্য আন্দামান দ্বীপে প্রচলিত।

আকা-কল (কল): দক্ষিণ-পূর্ব মধ্য আন্দামান দ্বীপে এই ভাষার ব্যবহার আছে।

আকর-বালে (বালে, বালওয়া) আন্দামানের দ্বীপগুলো, রিচির দ্বীপপুঞ্জ, হাবলক দ্বীপ ও নিইল দ্বীপে প্রচলিত।

আল্লার (চাতান): দ্রাবিড়ী ভাষা। প্রধানত তামিলনাড়ুর পালখাট অঞ্চলে বলা হয়।

আলু (আলু কুরুম্বা): দ্রাবিড়ী ভাষা। তামিলনাড়ুর নিলগিরি জেলায় প্রচলিত।

আমউহ: খাসি পাহাড়ি অঞ্চলের আদিবাসীদের ভাষা।

আনাল (নামফাউ): দক্ষিণপূর্ব মনিপুর এবং মিয়ানমারের অংশবিশেষ ও বাংলাদেশে এ ভাষার ব্যবহার আছে।

অন্ধ (আনধি): অন্ধ্রপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রের অংশবিশেষে প্রচলিত।

আনগা (অনগিকা): বিহারের অংশবিশেষে এ ভাষায় কথা বলা হয়।

আপাতানি (আপা): আসাম, অরুণাচল প্রদেশ ও নাগাল্যান্ডের অংশবিশেষের ভাষা।

আ-পুসিকওয়ার (পুচিকওয়ার): আন্দামান দ্বীপের অংশবিশেষ, বোরাটাঙ্গা দ্বীপ, মধ্য আন্দামান দ্বীপের মধ্যভাগের দক্ষিণ উপকূল, দক্ষিণ আন্দামান দ্বীপের উত্তর- পূর্ব উপকূলের ভাষা।

আরাকনিস (মঘ, মাঘ, মাঘি, মরমা, ইয়াকান): বাংলাদেশ, মিয়ানমার আসামের অংশবিশেষ, ত্রিপুরা ও মিজোরামে এই ভাষা ব্যবহার করা হয়।

আরাখ (আরখ): মধ্যপ্রদেশের ও মহারাষ্ট্রের অংশবিশেষে এই ভাষার ব্যবহার আছে।

আরানাদান (এরানাদান): তামিলনাডু ও কর্ণাটকের অংশবিশেষ, কেরলার কালিকট অঞ্চলের ভাষা।

আরে (আদিভাষা, আরে, আরিয়): অন্ধ্রপ্রদেশ, মাহরাষ্ট্র, কর্ণাটকের অংশবিশেষের ভাষা।

আসুরি (আশ্রী, অসুর): বিহার, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গের অংশবিশেষ ব্যবহৃত। ব্রিজিয়া (কোরান্টি) ও মানঝির আঞ্চলিক ভাষা।

আওয়াধি (আবাদি, আবোহি, আমবোধি, বৈশ্বারী, কৌশলি): এটি হিন্দির একটি আঞ্চলিক ভাষা। বিহার, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লী ও নেপালের অংশবিশেষে ব্যবহার আছে।

বাগাদা (বাগুণ্ড): দ্রাবিড়ী ভাষা। তামিলনাড়ুর নিলগিরি ও কুণ্ডা পার্বত্য অঞ্চলে বলা হয়।

বাগাটা (ভাকটা): অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাডু ও উড়িষ্যার অংশবিশেষে প্রচলিত।

বাঘেলী (বাগেলখন্ডি, মান্নাদি, রিওয়াই, গন্দগাই, মণ্ডল, কেওয়াট, নাগপুরী মারাঠি): উত্তর-পূর্ব মধ্যপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ ও নেপালের অংশবিশেষে এই ভাষার ব্যবহার আছে।

বাগরি (বাগরিয়া, বাওরিয়াস) পাঞ্জাব, রাজস্থান, পাঞ্জাব-হরিয়ানা ও মধ্যপ্রদেশের অংশবিশেষে বাগরি আদিবাসীরা ব্যবহার করে। এছাড়া বানসফর, নাট, বিশ্বনয় জাট এবং লোহার আদিবাসীরাও এই ভাষা ব্যবহার করে।

বাহাওয়ালপুরী (বিয়াসতি) মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের কোনো কোনো অংশে এই ভাষার ব্যবহার আছে।

বাইগা (বেগা, ভুমিয়া) বিহার, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গের কোনো কোনো অংশে বাইগা আদিবাসীরা এ ভাষায় কথা বলে।

বাঙ্গারু: বাঙ্গারু ভারতীয় আর্য ভাষার অন্তর্গত। প্রধানত হরিয়ানা রাজ্য, কর্ণাটক, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব ও দিল্লীর ৫.৭ শতাংশ মানুষ ব্যবহার করে।

বারেলি: মধ্যপ্রদেশের কিছু অংশ ও মহারাষ্ট্রের ধুলে জেলার উত্তর অংশের বারেল

আদিবাসীরা বারেলি বাবারেল ভাষায় কথা বলে। এই ভাষা ভারতীয় আর্য ভাষা পরিবারের ভিল শাখার অন্তর্ভুক্ত। এ ভাষায় রাজস্থানি ও গুজরাটি প্রভাব আছে।

বাটেরি: জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরের কিছু অঞ্চলে এই ভাষার ব্যবহার আছে। বাথুদি: বিহার, উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গের কোনো কোনো অংশে বাথুদি আদিবাসীরা এই ভাষায় কথা বলে।

বাউরিয়া (বাদক, বাবরি, বসিরা, ভাগরি, বাউবি): ভারতীয় আর্য ভাষা পরিবারের ভিল শাখার অন্তর্গত। এ ভাষায় রাজস্থানি ও গুজরাটি প্রভাব প্রতিফলিত। গুজরাট, হিমাচল প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও উত্তর প্রদেশের কিছু অঞ্চলে এ ভাষার ব্যবহার আছে।

বাজিগর গুজরাট, হিমাচল প্রদেশ, জম্মু কাশ্মীর, মধ্যপ্রদেশ ও কর্ণাটকের কয়েকটি অঞ্চলে এই ভাষার ব্যবহার আছে।

বেদিয়া (বেদিইয়া, বেরিইয়া): বিহার, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক ও পশ্চিমবাংলার কয়েকটি অঞ্চলে এই ভাষার ব্যবহার আছে। বেল্লারি: দ্রাবিড়ী ভাষা। টুলু ও কোরেগার সঙ্গে সম্পর্কিত।

ভাদ্রাওয়াহি (বাদেরওয়ালী, বাদরোহি, বাহি): জম্মু ও কাশ্মীরের কোনো কোনো অংশে এ ভাষার ব্যবহার আছে। ভালেসিয়ান্ড পাডারির উপভাষা।

ভালে: মহারাষ্ট্রের অমরাবতী জেলার অনেক অংশে এই ভাষা ব্যবহৃত হয়। ভারিয়া (ভার, ভারত, ভূমিয়া, ভূমিইয়া, পালিহা): মধ্যপ্রদেশের বিলাসপুর, ছাতারপুর, ছিন্দওয়াদা, দাতিয়া, জবলপুর, মানলা, পান্না, রেওয়া, সিধি সারগুজা, টিকমগড় জেলায় এবং উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিম বাংলার কোনো কোনো অঞ্চলে এ ভাষার ব্যবহার আছে।

ভাট্টি, ইয়ালি (ভাটিয়ালি, পাহাড়ি ভাটিইয়ালি): হিমাচল প্রদেশের চাম্বা জেলার অংশবিশেষে এই ভাষায় কথা বলা হয়।

ভাটনেরি: মধ্য প্রদেশের প্রধানত উত্তর-পূর্ব ভাট্টিয়ানা অঞ্চলে এই ভাষা ব্যবহার হয়।

ভাটোলা: মধ্যপ্রদেশের কয়েকটি অঞ্চলে প্রচলিত।

ভাটরি (ভাইটি, ভাটট্টা, ভাটরা): অন্ধ্রপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও উড়িষ্যার কোনো কোনো অংশে এ ভাষার ব্যবহার আছে।

ভিলালা (ভিলালি): গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক ও রাজস্থানের কিছু অঞ্চলে ব্যবহার আছে।

ভিলি (ভিলবারি, ভিলবোলি, ভিল্লা, ভিলবিল): অন্ধ্রপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, গুজরাট, জম্মু, কাশ্মীর, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, পাঞ্জাব, রাজস্থান এবং ত্রিপুরায় প্রচলিত। এর বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষা রয়েছে, যেমন অনার্য, বাওরিয়া, ভীমচাউরা, চারানি, ধোধবি,

হাবুরি, ককনা, কোটালি, কোটভালি (কোটওয়ালিয়া), মাগরি, নাইকি, নিলিশিকাররি, পটভি, পাঞ্চালি, পিট্টালা, বানাওয়াট, রানী শিয়ালগিরি, টাডাভি, টাকানকারি, টাকারিআন্ড ভালভি।

ভিলোরি: মহারাষ্ট্রে ধাদগাঁও ঘিরে উত্তর ধুলে জেলায় এই ভাষার ব্যবহার আছে। ভিলোডি ও নোইরির (সাতপুরা নোইরি) আঞ্চলিক ভাষা।

ভীম (ভীনা): ত্রিপুরার কোনো কোনো অংশে এ ভাষার ব্যবহার আছে।

ভোজপুরি (ভোজাপুরি, বিহারি): বিহারের পূর্ণিয়া জেলার কোনো কোনো অংশে এবং আসাম, দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ ও পশ্চিমবাংলার কোনো কোনো অংশে এই ভাষার ব্যবহার আছে। এর অনেক ধরনের উপভাষা আছে, যেমন, উত্তর অঞ্চলীয়

বৈশিষ্ট্যযুক্ত (গোরখপুরি, সারওয়ারিয়া বাস্তি), পশ্চিম অঞ্চলীয় বৈশিষ্ট্যযুক্ত (পূব্বী, বেনারসি), দক্ষিণ অঞ্চলীয় বৈশিষ্ট্যযুক্ত (খারওয়ারি), থারু, মধেসি, জোমরা ও মুশারি।

ভোট্টা: অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু ও উড়িষ্যার কোনো কোনো এলাকায় প্রচলিত। ভোইয়ারি (ভোমিয়ারি, ভুরিয়া) মহারাষ্ট্র। এর উপভাষাগুলো হলো কুমাভারি, মারাই, ওঝি, পাওয়ারি।

ভূঁইয়া (ভূঁইহার, ভূঁইয়া, ভূমিয়া): বিহার, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, উড়িষ্যা, উত্তরপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে এই ভাষার ব্যবহার হয়।

ভূমিজ (সদর ভূমিজ, মুন্ডা): প্রধানত ময়ূরভঞ্জ জেলা, উড়িষ্যা এবং সিংভূম জেলা বিহার ও পশ্চিমবাংলায় প্রচলিত। এর উপভাষাগুলো হলো: কিষান, ভূমিজ, কুর্মি, পারসি-খুমিজ এবং রাহিয়া।

ভুনজিয়া (ভুমজিয়া): রায়পুর, হৌসঙ্গাবাদ, সম্বলপুর, কালশান্ডি জেলা, মহারাষ্ট্র উড়িষ্যার অংশবিশেষে প্রচলিত।

বিয়েটে (বেটে): মেঘালয়, মিজোরাম, আসাম ও কাছাড় পাহাড়ি অঞ্চলের ব্যবহৃত ভাষা।

বিহারি: ভারতের বিহার রাজ্যের বিহারিদের দ্বারা ব্যবহৃত এবং এর বিস্তার দক্ষিণ নেপালের তরাই অঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত। এর বিভিন্ন উপভাষা রয়েছে। ভোজপুরি এদের মধ্যে সর্বজনীন উপভাষা। যদিও এই উপভাষায় লিখিত সাহিত্য খুব কমই পাওয়া যায়। তবে এর অনেক মৌখিক লোককথা আছে। অন্যান্য বিহারি উপভাষা হলো নাগপুরি ও মাগধি।

বিজোরি (বিনঝিয়া, বিরিজিয়া, বুরজা): বিহার, মধ্যপ্রদেশ, উড়িষ্যা ও পশ্চিম বাংলার কোনো কোনো অংশে এই ভাষায় কথা বলা হয়।

বিলাসপুরী (পচ্চমি, কাহলুরি, কেহলুরি): হিমাচল প্রদেশের কিছু অঞ্চল।

বিনঝওয়ারি (বিনঝল): বিহার, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও পশ্চিমবাংলার কোনো কোনো অঞ্চলে বিনঝওয়ারি বা বিনঝা আদিবাসীরা এ ভাষায় কথা বলে।

বিরহর (বিহর, বিরহার, বিরহোর): বিহারের সিংভূম অঞ্চল, রাচি ও হাজারীবাগ জেলার কিছু অঞ্চল, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, উড়িষ্যা ও পশ্চিমবাংলার কিছু অঞ্চলে এ ভাষা প্রচলিত।

বোড়ো (বোরো, বড়ি, বোরোনি, বারা, মেচি): আসাম, পশ্চিমবাংলা ও নেপালে এই ভাষার ব্যবহার আছে। ছোটে ও মেচ এর উপভাষা।

বোড়ো পারজা (পারজি, পারজা, জোড়িয়াপারজা): উড়িষ্যার কোরাপুট জেলার কিছু অংশে এই ভাষার ব্যবহার আছে।

বনড়ো (ভোনডা, গুটোবি, রেমো, নানকা, পোরোজা): কোরাপুট ও উড়িষ্যার বনড়ো পার্বত্য অঞ্চলে প্রচলিত।

ব্রজ ভাষা (ব্রজ, অন্তরবেদী): হিন্দির একটি উপভাষা। বিহার, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশের আগ্রা, রাজস্থান, দিল্লির কিছু অঞ্চলে এর ব্যবহার আছে। ভুকসা, জাড়েবাফি এবং ডাঙ্গি এর আঞ্চলিক ভাষা।

ব্রকসকট (ব্রোকপা, ডা-হানু, ডকসকাট, কইয়ানগো, মিনারো): লাদাখের সিন্ধু নদীর ধার ধরে, উত্তর কাশ্মীরের কারগিল জেলায় ও চুলিচান, গুরগুরডো, বাটালিক এবং দাহতে এই ভাষার ব্যবহার আছে।

বুনান (ঘারা, গহ্বর): হিমাচল প্রদেশ ও পশ্চিম তিব্বতে প্রচলিত।

বাঙালি (বুন্দেলখণ্ডি): উত্তর প্রদেশের জালাউন, ঝাঁসি, হাসিরপুর জেলা; মধ্যপ্রদেশের বালাঘাট, ছিন্দওয়ারা, হোসাঙ্গাবাদ, মাগর, মেজোর, পান্না, সাতনা, ছাতারপুর, টিকমগড়, শিবপুরি, গুনা, বিন্ড, মোরেনা, গোয়ালিয়র, নরসিংপুর, সিওনি, ডাটিয়া জেলা; মহারাষ্ট্রের ভাণ্ডারা, নাগপুর জেলা এবং রাজস্থান, গুজরাট ও অন্ধ্রপ্রদেশের কিছু অঞ্চলে এ ভাষা ব্যবহৃত হয়। এর উপভাষাগুলো হলো বুন্দেলি, পাওরি (পাওয়ারি), লোধানতি (রাঠোরা), খাটোলা, বানাফরি, কুনদ্রি, নিভাট্টা, বাদাউরি (তোয়ারগরহি), লোধি, কস্তিকুম্ভারি, নাগপুরি হিন্দি এবং ছিন্দাওয়ারা বুন্দেলি।

কার-নিকোবরি (পু, কার) উত্তর নিকোবর দ্বীপে প্রচলিত।

চাকমা (টাকম, চাকমা) আসাম, ত্রিপুরা, পশ্চিমবাংলা, মিজোরাম ও মণিপুরের কিছু অঞ্চলে এ ভাষা প্রচলিত।

চামাবি (চামার, চান্তারি): মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের কিছু অঞ্চলে চামার আদিম জনগোষ্ঠী এ ভাষা ব্যবহার করে।

চাম্বিয়ালি (চামাইয়া): হিমাচলপ্রদেশের চাম্বা জেলা, চাম্বা তেহসিল, জম্মু কাশ্মীরের অংশবিশেষে প্রচলিত। বনসবালি, বনসিয়ারি, ও গাড়ি চামিয়ালিয়র আঞ্চলিক ভাষাসমূহ।

চাউরা (চোউরা, টুটেট): নিকোবর দ্বীপ ও চাউরা দ্বীপের ভাষা।

চেনচু (চেনচুকুলম, চেনচওয়ার, চেনসওয়ার, চনচারু): দ্রাবিড়ী ভাষা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাডু, কর্ণাটক ও উড়িষ্যায় ব্যবহৃত।

চেরো বিহার, উড়িষ্যা, উত্তরপ্রদেশ ও পশ্চিমবাংলার কিছু অঞ্চলে ব্যবহার শোনা যায়।

ছত্তিশগড়ি (লারিয়া, খালতাহি): মধ্যপ্রদেশ, বিহার ও উড়িষ্যায় প্রচলিত। এর নানা রকম আঞ্চলিক ভাষা আছে, যেমন সরগুজিয়া, সদরি কারওয়া, বাইগানি, বিনঝওড়য়াভি, কালাঙ্গা, পুরনো ছত্তিশগড়ি, কাভারডি ও খইরাগরহি।

চিক বারিক (চিক বারাইক, পঞ্চপরগনিয়া, বেদিয়া পান, পানসওয়াসি, আনতি): বিহার ও পশ্চিমবাংলায় প্রচলিত।

চিন, ফালাম (হালামচিন, ফাইল্লাম ত্রিপুরা): আসাম, ত্রিপুরা, মিজোরাম ও পশ্চিমবাংলা, মায়ানমার ও বাংলাদেশের কোনো কোনো অঞ্চলে খুঁজে পাওয়া যায়। আঞ্চলিক ভাষাগুলো হলো চোরোই, চারিচং, হালাম, কাইপাঙ, কালাই, খেলমা, মরসুম, রুপিনি ও শোকাসিপ।

চিন, থাডো (থাডাউ, থাডো-উবিফেই, থাডো-পাও, কুকি, কুকি-থাডো): আসাম, মুণিপুর, নাগাল্যান্ড এবং মিজোরাম। এর বিভিন্ন রকম আঞ্চলিক ভাষা আছে। যেমন, বাইটে, চাঙ্গসেন, জাঙ্গশেন, কাওকিপ, খঙ্গজাই, কিপজেন, ল্যাঙ্গইয়ান, সইরাঙা, থাঙ্গোজেন, হওকিপ, শিথলও বেং শিসঙ্গল।

চিরু (ছোরি): আসাম, মণিপুর ও নাগাল্যান্ডে প্রচলিত।

দোদরি (চাউদ্রি): প্রধানত গুজরাটের ভারুচ ও দাঙ্গ জেলা এবং মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক ও রাজস্থানের কোনো কোনো অঞ্চলে ব্যবহৃত হয়।

চুলিকাতা (ইচু, মিদি, মিদু, ইদা); আসাম, অরুণাচল প্রদেশ এবং পশ্চিমবাংলার কোনো কোনো অংশে এই ভাষা প্রচলিত।

চুরাহি (চুরাহি পাহাড়ি); ব্যবহৃত হয়। ভারতীয় আর্য ভাষা। হিমাচল প্রদেশের চাম্বা জেলায়

দল: উড়িষ্যার কিছু অঞ্চলে প্রচলিত।

ডারলঙ্গ: ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের কিছু অঞ্চলে প্রচলিত।

ডেগারু: বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের কিছু অঞ্চল।

দেওরি (ছুতুয়া, দ্রোরি): আসাম, অরুণাচল প্রদেশ ও নাগাল্যান্ডের কিছু অঞ্চলে প্রচলিত।

ধানকি (ধানকা, ধাঙ্গারি, দাঙ্গ ভিল, তাড়াভি, তাড়ভি ভিল, কাকাছু কি বোলি): ইন্দো-আর্য ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। গুজরাটের দাঙ্গ জেলা, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকের কিছু অংশে এর খোঁজ পাওয়া যায়।

ধানওয়ার: মধ্যপ্রদেশ ও মহরাষ্ট্রের কিছু অঞ্চল।

ধোড়িয়া (ধোরি, ধোযারি, ডোরিয়া): গুজরাট, দমন, দিউ, দাদরা এবং নগরহাভেলি, মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক এবং রাজস্থানের কিছু অংশে এ ভাষা প্রচলিত। দিগারো (দিগারু, তারাওন, তাইং, মিসুই) আসাম ও অরুণাচল প্রদেশের কিছু অংশে বলতে শোনা যায়।

দিমাসা: নাগাল্যান্ডের কিছু অঞ্চল ও আসামের কাছাড় জেলার উত্তর কাছাড় পার্বত্য অঞ্চলে এই ভাষার প্রচলন আছে। দিমাসা ও হারিআম্বা এই ভাষার দুটি উপভাষা।

ডোগরি-কাঙ্গরি (ডোগরি, ধোগারইয়ালি, ভোগরি, জন্ম, পাহাড়ি ভোগরি, ডোঙ্গারি টোক্কারু): ইন্দো-আর্য ভাষা গোষ্ঠীর একটি ভাষা। সংস্কৃত, পাঞ্জাবি ও পার্সি ভাষার মিশ্রণ। ডোগরি আদিবাসীদের মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায়। মুখ্য উপভাষাগুলো হলো:

ভাটবলি, পূর্ব ডোগরি, কান্দিয়ালি, বাঙালি (কাডরা): ও উত্তর ভোগরি।

ডোবলি: মধ্যপ্রদেশের বাস্তার জেচলার ডোরলি আদিবাসীদের ভাষা।

ডুবলা (ডুবলি, রাথোড়, টালাভিয়া): একটি ইন্দো-আর্য ভাষা। রাজস্থান, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটকে পাওয়া যায়।

ডুরুওয়া (ধুরওয়া, পার্মি, ঠাকারা, টাগারা, টুগারা): দ্রাবিড় গোষ্ঠীর ভাষা। মূলত দক্ষিণ-পূর্ব জগদ্দলপুর, মধ্যপ্রদেশ (বাস্তার), কোরাপুটে বলতে শোনা যায়। কয়েকটি উপভাষা হলো তিরিয়া, মেথানার, ধারবা ও কুকানার।

গাডাবা (গাধা, গুতোব, গুডুওযা, গোড়ওয়া, বোডো গাডাবা, বই গাডাবা): প্রধানত অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপট্টম জেলায়, উড়িষ্যার কোরাপুট জেলায় এই ভাষা প্রচলিত। এর কয়েকটি উপভাষা হলো মুণ্ডা ওরিয়া গাডাবা, মুণ্ডা অন্ধ্রপ্রদেশ গাডাব।

 

 

গাড্ডি (ভারমাউরি ভাডি, পাহাড়ি ভারমাউরি, গাড্ডিয়ালি গাডি): ইন্দো-আর্য ভাষা। হিমাচল প্রদেশে চাম্বা জেলায়, উত্তরপ্রদেশ ও জম্মু কাশ্মীরের কয়েকটি অঞ্চলে প্রচলিত।

গাডে লোহার (গাডুলিয়া লোহার, বাগরি লোহার, লোহারি): একটি ইন্দো-আর্য ভাষা। রাজস্থান, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, মহরাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ, দিল্লি, হরিয়ানা ও পাঞ্জাবের কয়েকটি অঞ্চলে এর ব্যবহার শোনা যায়।

গালড্ গোলো, আদি গালোঙ্গ আসাম ও অরুণাচল প্রদেশের তিব্বত সীমান্তবর্তী অঞ্চলে প্রচলিত।

গামতি (গামাতি, গাড়া): একটি ইন্দো-আর্য ভাষা এবং ভিল ভাষীদের একটি উপগোষ্ঠীয় ভাষা। গুজরাটের সুরা ও ব্রোড অঞ্চলে গামতি আদিবাসীরা ব্যবহার করে।

গামতি (গাধাওয়ালা, গাডওয়াহি, গোরওয়ালি): ইন্দো-আর্য ভাষা। কাশ্মীর ও উত্তর-প্রদেশে ব্যবহার আছে। এর বেশ কয়েকটি উপভাষা আছে। যেমন: শ্রীনগরিয়া, তেহরি, বাধানি, দেসাউলগ, লোহবিয়া, মাছ-কুমাইয়া, ভাট্টিয়ানি, নাগপুরিয়া, রাথি ও সালানি।

গামতি (মাণ্ডে): পশ্চিম আসাম, গারো পার্বত্য অঞ্চল, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গে এই ভাষার ব্যবহার আছে। এর কয়েকটি উপভাষা হলো: আবেঙ্গা, অডিক, আম্বেঙ্গ, আতোঙ, চিসাক, ডাকা, গান্ডিং, গামরূপ, মাতচি, মেগাম ও রুগা।

গামতি (কাটাক, গিটা, দিদায়ি): উড়িষ্যার কোরাপুটে ব্যবহার আছে।

গামতি (আদিবাসী গিরাসিয়া, গারাসিয়া): ইন্দো-আর্য ভাষা। ভিল সম্প্রদায়ের একটি উপগোষ্ঠী এবং সবর কণ্ঠ জেলার গিরাগিয়া আদিবাসীদের বলতে শোনা যায়।

গামতি (রাজপুত গারাসিয়া, ডুঙ্গরি গারাসিয়া, ধুঙ্গরি ভিলি): ইন্দো-আর্য ভাষা। গুজরাট ও রাজস্থানে প্রচলিত।

গামতি (গোণ্ডি, গোণ্ডিডা): দ্রাবিড় গোষ্ঠীর ভাষা। মধ্যপ্রদেশের বেদুল, ছিন্দুওয়ারা, সিওনি, মাওলা, বালাঘাট এবং মহারাষ্ট্রের অমরাবতী, নাগপুর, ভাণ্ডারা ও ইয়াভওমল জেলায় খুঁজে পাওয়া যায়। এর উপভাষাগুলো হলো: বেতুল, ছিন্দওয়ারা, মাওলা, সিওনি, অমরাবতী, ভাণ্ডালা, নাগপুর ও ইয়াভতমল।

দক্ষিণী গোল্ডি (তেলেগু গোন্ডি): দ্রাবিড় গোষ্ঠীর ভাষা। প্রধানত অন্ধ্রপ্রদেশের আদিলাবাদ জেলায় প্রচলিত। এছাড়া মহারাষ্ট্রের দক্ষিণ ইয়াভতমল, দক্ষিণ চন্দ্রপুর ও দক্ষিণ-পূর্ব গাডচিরোলি জেলাতেও এ ভাষার ব্যবহার আছে। সিরোস্তা, নির্মল (আদিলাবাদ), ভামড়াগড়, উথনুর আহেরি, রাজুরা, এটা পল্লী গেন্ডির কয়েকটি উপভাষা।

গাওলান: ইন্দো-আর্য ভাষা। মহারাষ্ট্রের কোরকু আদিবাসীরা ব্যবহার করে।

গোওলি (নন্দ): ইন্দো-আর্য ভাষা। এর কয়েকটি উপভাষা হলো: নন্দ, রানিয়া, লিঙ্গায়াত এবং মামলা। মধ্যপ্রদেশের কয়েকটি অঞ্চল ও মহারাষ্ট্রের অমরাবতী জেলায় এই ভাষার ব্যবহার আছে।

গোসা (ত্রোমোওযা): তিব্বতীয় চৈনিক ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। প্রধানত সিকিমে প্রচলিত।

গুজারি (গুজুরি, গোজরি, গোগরি, কাশ্মীরি গুজুরি) ইন্দো-আর্য ভাষা। হিমাচল প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর এবং রাজস্থানের কিছু অংশে বলতে শোনা যায়।

গুরুত্ব (গুরু কুরা): তিব্বতির চৈনিক ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ের কিছু অংশে ও নেপালের কিছু অংশে প্রচলিত।

হাজং: ইন্দো-আর্য ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। পশ্চিমবঙ্গ, মেঘালয়, আসাম ও বাংলাদেশের কিছু অংশে প্রচলিত।

হালবি (বাস্তারি, হালাবি, হালভি, মাহারি) ইন্দো-আর্য ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। এর কয়েকটি উপভাষা হলো আদকুরি, বাস্তারি, চান্তারি, গাছিকোলো, মেহারি, মুরি ও মুক্তি। মধ্যপ্রদেশের বস্তার, মহারাষ্ট্র, উড়িষ্যা ও অন্ধ্রপ্রদেশের কিছু অংশে প্রচলিত।

হারাওতি (হাদাউতি, পিপলোদা) ইন্দো-আর্য ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। এই ভাষার দুটি উপভাষা: গিলপারি ও হারাউতি। রাজস্থানের কোটা, মধ্যপ্রদেশের কিছু অংশে প্রচলিত।

হারিয়ান্ডি (বাঙ্গারু, বাঙ্গরি, দেসারি, চামারওয়া) ইন্দো-আর্য ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। হরিয়ানার শতকরা ৮৫ ভাগ মানুষ বা ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ এ ভাষায় কথা বলে। এছাড়া পাঞ্জাব, দিল্লি, হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশের কিছু অংশে প্রচলিত। উপভাষাগুলো হল বাঙ্গুরা, প্রোপের, দেশওয়ালি, বাগরি ও মেওয়াটি।

মাব (হামার, হার, মারি): আসাম, মণিপুর ও মিজোরামে প্রচলিত।

হো (লাকা, কোল, বিহার হো) অস্ট্রো-এশীয় ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। উপভাষাগুলো হলো: লোহারা, চাইবাসা, ঠাকুরমুণ্ডা। সিংভূম জেলায় প্রায় ১০ লাখ মানুষ এ ভাষায় কথা বলে। এছাড়া উড়িষ্যার ময়ূরভঞ্জ, কিওনঝড়, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের কিছু অঞ্চলে প্রচলিত।

হোলিয়া (হোলার, হোল, হোলু, হোলারি-কান্নারা) দ্রাবিড় ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের কিছু অংশে প্রচলিত।

রানখোল (রাঙ্গখোল) বর্মি তিব্বতি ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। হাদেম এর একটি উপভাষা। মণিপুর, আসাম, ত্রিপুরা, মিয়ানমারের কিছু অংশে প্রচলিত।

ইকরানি: মারাঠি ভাষার একটি মিশ্র রূপ। মহারাষ্ট্রের ধুল অঞ্চলে প্রচলিত। ইরুলা (ইরাভাল্লাম, ইরুকালা, ইয়ারুকালা, ইরাভা, ইরুলার, ইরুলিঙ্গা, কোরাভা, কার ডেনসু) দ্রাবিড় ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। তামিলনাড়ুর নিলগিরি, পেরিয়ার, সালেম, ডেনগাই, আন্না ও কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রে ব্যবহার করা হয়।

উপভাষাগুলো হলো: মেল নারু, ভেট্টে কারা।

ইরুলা: উত্তর ইরুলা (কাসাকা), বুকাপুরাম, ইরুলিগা, পারিকালা, সানকারা-ইয়ারুকালা।

জগন্নাথি (জগা আদ, সূর্য) ইন্দো-আর্য ভাষা। অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটকের কিছু অংশে প্রচলিত। উড়িষ্যার ভাষার সঙ্গে মিল পাওয়া যায়।

জনগ্গালি (ঝানগল, ঝানগড়, রাওয়াত) বর্মি তিব্বতি বর্মা ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। উত্তরপ্রদেশের পিথোরাগড় অঞ্চলে ব্যবহার আছে।

জনঙ্গস্স্থং (জানগ্রামি ঝানগ্রাম, ঝাং ঝুং, থেবোর থেবোর কাদ, মধ্য কিনাউরি): বর্মি-তিব্বতি ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। হিমাচল প্রদেশের কিনাউর অঞ্চলে চার শতাংশ মানুষ ব্যবহার করে।

জারাওয়া: ভাষাটি আন্দামান, দক্ষিণ রুতল্যান্ডে প্রচলিত।

জাটাপু: দ্রাবিড় ভাষাগোষ্ঠীর কুইকুভি শাখার অন্তর্গত। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলাম, বিশাখাপট্টম অঞ্চলের কিছু আদিবাসীর মধ্যে, উড়িষ্যার গানজাম, কোরাপুট অঞ্চলে ও তামিলনাড়ুর কিছু অংশে প্রচলিত।

জাউনসারি: ইন্দো-আর্য ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। উত্তরপ্রদেশের জাউনসার, হিমাচল প্রদেশের দেরাদুনে প্রচলিত।

ঝারিয়া: ইন্দো-আর্য ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। উড়িষ্যার কোরাপুট অঞ্চলে প্রচলিত। জিনফো (চিঙ্গপো, কাছিন, সিঙ্গপো, জিঙ্গপাও, মারিন) তিব্বতি-বর্মি ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। মিয়ানমার ও চীনে প্রচলিত। আসাম ও অরুণাচল প্রদেশের কিছু অংশেও এর ব্যবহার আছে।

জুয়ান্স (পুট্টোয়াস, পাটুয়া, পাত্রাসারা) অস্ট্রো-এশীয় ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা।

উড়িষ্যার কিছু অংশে প্রচলিত। লাদাখি: বর্মি-তিব্বতি-বর্মা ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। জম্মু ও কাশ্মীরের লেহ ও লাদাখ অঞ্চলে ব্যবহৃত। উপভাষাগুলো হলো: লেহ (মধ্য লাদাখি), ঝাংকারি লাদ্যাখি (ঝাসকারি), হানটাঙ্গ লাদাখি (কাইয়াগকাট, রেঙ্গে রূপসা, স্তোতপা, উচ্চ লাদাখি), সাম্মা (সামসকাট, নীচ লাদাখি) এবং নুষরা লাদাখি।

লাতুলি ছামা (মানছাতি, মানছাদ, পাট্টানি-ছাম্বা): বর্মা-তিব্বতি ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। হিমাচল প্রদেশের ছাম্বা অঞ্চলে প্রচলিত।

লাহুলি তিনান (রাঙেগালি গোওলা, তিনান): হিমাচল প্রদেশের লাহাউল, স্পিতি ও ছান্দাতে প্রচলিত।

লালুঙ্গ: তিব্বতি চৈনিক ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। আসাম ও মেঘালয়ের কিছু অংশে প্রচলিত।

লামানি (লামবারি, বাঞ্জারা, গোহার-হেকেরি, গুলা, গুরা মারতি, কোরা, ভাজারি, ওয়ানজি, সিনগালি) অন্ধ্রপ্রদেশের কিছু অংশে বাঞ্জারাদের মাঝে প্রচলিত। এছাড়া মধ্যপ্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ, গুজরাট, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক ও উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গের কিছু অঞ্চলে এর ব্যবহার আছে বলে শোনা যায়।

লামকাং: দক্ষিণ-পূর্ব মণিপুর ও নাগাল্যান্ডে প্রচলিত।

লেপেথা (রোংকে, রোংপা, নুনপা): নেপাল, ভুটান, সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গে ব্যবহৃত হয়। ভাষাটির উপভাষা হলো: ইলাম্মু তামসাঙ্গমু ও রেঙ্গ জোম্মু। লোভা, ইদ্দু (লুওভা, লোপা): অরুণাচল প্রদেশের পূর্ব ও পশ্চিম কামাঙ্গ ও চীনের কিছু অংশে ব্যবহার হয়।

লোমি (লোকেট, সিঙ্গ সাপা): পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং এবং নেপাল ও চীনে ভাষাটির ব্যবহার আছে।

লিম্বু: পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং ও সিকিমের কিছু অঞ্চলে প্রচলিত।

লোধি (লোধা): বিহার, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গে প্রচলিত।

লুসাই (তুলি এন, লুখাই, লুসাগেব, সাইলাউ, ওয়েলন্সো) মিজোরাম, আসাম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের কিছু অংশে প্রচলিত। ভাষাটির উপভাষাগুলো হলো: ফানাই, মিজো, জেন্টে, পাঙ্গ।

মামাই (মাগাধি, মাগায়া, মাগি) দক্ষিণ বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের মালদা অঞ্চলে ব্যবহৃত।

মাগর, পূর্ব (মাগারি): নেপাল, ভুটান ও সিকিমে প্রচলিত।

মাহি: মালদ্বীপ ও লাক্ষাদ্বীপের প্রচলিত ভাষা।

মাহালি: আসাম, বিহার, উড়িষ্যা ও পশ্চিবঙ্গের কিছু অংশে প্রচলিত।

মৈথিলি: বিহার, দিল্লি, উড়িষ্যা, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও পশ্চিমবঙ্গ মিলিয়ে প্রায় ২ কোটি ২০ লক্ষ মানুষের মুখের ভাষা। এর উপভাষাগুলো হলো স্ট্যান্ডার্ড মৈথিলি, সাউদার্ন স্ট্যান্ডার্ড মৈথিলি, ইস্টার্ন মৈথিলি, (মোট্টা, কোর্মা), ছিকাছিকি, ওয়েস্টার্ন মৈথিলি, জোলোহা, মধ্য কলৌকিয়াল মৈথিলি (সতিপুরা), কিসান, অঙ্গিকা।

মৈথিলি দেহাতি (দেহাদি, দাহাতি, দেসিইয়া, দেসিয়া): এটি মৈথিলি ভাষা থেকে ভিন্ন। বিহার, উড়িষ্যা ও নেপালে প্রচলিত। মাঝি ভাটি পাঞ্জাবের গুরুদাসপুর এবং অমৃতসর ও লাহোরে পাওয়া যায়।

মাঝওয়ার: মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ ও সিকিমে ব্যবহার হয়।

মাল পাহাড়িয়া (মান্ডো, মান্ডি, মালের, মালপাহাড়িয়া, মাও, মাওরো): বিহার ও পশ্চিমবঙ্গে প্রচলিত।

মালাকুরাভান: দ্রাবিড় ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। কেরালার কিছু অংশে প্রচলিত।

মালা পান্দারাম : দ্রাবিড় ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। কেরালার কোট্টায়াম, ইর্নাকুলাম, কুইলানে প্রচলিত।

মালারিয়ান (মালেইয়ারিয়ান, মালে আরিয়ান, আরিয়ানস, কারিঙ্গল, ভাজহিয়াম্মার) দ্রাবিড় ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। কেরালার ইর্নাকুলাম, কোট্টায়াম, ত্রিমুর অঞ্চল ও তামিলনাড়ুর কিছু অঞ্চলে প্রচলিত।

মালাভেদান: দ্রাবিড় ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। উপভাষা দুটি ভেতান ও ভেতুভান। কেরালার ইর্নাকুলাম কোট্টায়াম, থিরুভানথাপুরাম ও তামিলনাড়ুর তিরুনেলভেলিতে প্রচলিত।

মালদিভিয়ান (মালিখ, মাল, মাল্কি, দিভেহি, দিভেহলি) মালদ্বীপের প্রধান ভাষা। মিনিকয়, লাক্ষাদ্বীপে এ ভাষার অল্প সংখ্যক মানুষ আছে। মালি: অন্ধ্রপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রে প্রচলিত।

মাক্তো: বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের রূপাজমহল গিরির মাক্তেরা আদিবাসীদের ভাষা। মাল্ডি (মালওয়াদা, মালো, উজৈনি, মিলাউই, মালাভি): ইন্দো-আর্য ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। এর উপভাষাগুলো হলো: বাছারি, ভোয়ারি, ধোলেওয়ারি, হোসঙ্গাবাদ, জামরাল কাতিয়াই, মালভি প্রোপের, পাটভি, রাঙ্গারি ও গোন্দাওয়ারি। উত্তর- পশ্চিম মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান ও গুজরাটে প্রচলিত।

মান্দা: দ্রাবিড় ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। উড়িষ্যার কালাহান্দিতে প্রচলিত। মান্দেয়ালি (মান্দি): হিমাচল প্রদেশের মান্দি অঞ্চলে প্রচলিত।

মাঙ্গেলাস: মহারাষ্ট্রের কিছু অংশে প্রচলিত। ‘কোঙ্কনি’ ভাষার সঙ্গে মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

মাঁঝি: বিহারের গুড়া অঞ্চলের মাঁঝি আদিবাসীরা ব্যবহার করে।

মান্না-দোরা দ্রাবিড় ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। অন্ধ্রপ্রদেশের পূর্ব গোদাবরী, শ্রীকাকুলাম, বিশাখাপত্তম এবং তামিলনাড়ুর কিছু অংশে প্রচলিত।

মান্নান (মান্নে, মান্নিওদ) দাদ্রিড় ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। কেরালা ও অন্ধ্রপ্রদেশে প্রচলিত।

মারিয়া (মাদি, মাদিয়া, মোদি) দ্রাবিড় ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। মহারাষ্টের চান্দা ও মধ্যপ্রদেশে প্রচলিত। উপভাষাগুলো হলো ভাম্মানি, মারিয়া (ভমানি), আদেওয়াদা ও এটাপাল্লি মারিয়া।

মারিয়া দান্দামি (বিসন, হোর্গ, মারিয়া, মারিয়া গোন্দ, ধুরু, দান্দামি মাদিয়া): দ্রাবিড় ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। উপভাষা দুটি গিদাম ও সুক্লা (সুকা)। মধ্যপ্রদেশের মধ্য ও দক্ষিণ বস্তার অঞ্চলে প্রচলিত।

মারওয়ারি (রাজস্থানি, মেওয়ারি) ১ কোটি ২০ লাখ মানুষের মুখের ভাষা। গুজরাট, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, পাঞ্জাব, দিল্লি, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশে প্রচলিত।

মাতিয়া: মধ্যপ্রদেশের আদিবাসীদের ভাষা।

মাওয়াহি: ইন্দো-আর্য ভাষাগোষ্ঠীর ভিল শাখার একটি ভাষা। গুজরাট ও মহারাষ্ট্রের মাভহি আদিবাসীরা ব্যবহার করে।

মিজু (কামান, মিশমি, মিকি) অরুণাচল প্রদেশে প্রচলিত। বর্মি-তিব্বতি ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। আসাম ও মিকির (মানহাতি, মিকিরি, কার্বি) আসামের মিকির ও রেঙ্গমাতে এবং অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডে প্রচলিত। উপভাষাগুলো হলো: আর্মি, আর্লেঙ্গ, ভুই এবং রেঙ্গফিটাঙ্গ।

মিনা: মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে প্রচলিত।

মির্ধা: আস্ট্রো-এশীয় ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। উড়িষ্যার কিছু অংশে শোনা যায়।

মির্গান (পানিকা, পাঙকা): মধ্যপ্রদেশের বাস্তার অঞ্চলে ও উড়িষ্যার কোরাপুটে প্রচলিত।

মোইম্বা (মোম্বা, মোম্পা): বর্মি-তিব্বতি ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। অরুণাচল প্রদেশ, ভুটান ও চীনে প্রচলিত।

মু (ম্রো, মুরঙ্গ, নিওপ্রেঙ্গ) পশ্চিমবঙ্গের মু আদিবাসীরা ব্যবহার করে। মিয়ানমার ও বাংলাদেশেও খুঁজে পাওয়া যায়।

মুখা-দোরা (রেদ্দি দোরা, কোন্টা বেদ্দি, রেদ্দি): অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাডুতে প্রচলিত।

মুলিয়া: অন্ধ্রপ্রদেশের অল্প কিছু মানুষ ব্যবহার করে।

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

মুণ্ডারি (মাণ্ডারি, মুণ্ডা, হোরো) আসামের ১০ লাখ মানুষ ব্যবহার করে। তবে বিহারের দক্ষিণ-পশ্চিম রাঁচি, হিমাচল প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, উড়িষ্যা, ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ, আন্দামান ও নিকোবরেও প্রচলন আছে।

মুরিয়া পূর্ব: দ্রাবিড় ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। মধ্যপ্রদেশের উত্তর-পূর্ব বস্তার, উড়িষ্যার উত্তর-পশ্চিম কোরাপুটে প্রচলিত। দুটি উপভাষা: রাইগড়, লানজোত। মুরিয়া, পশ্চিম (কোরিয়া, মুরিয়া, মুরিয়া গোন্ডি) মধ্যপ্রদেশের উত্তর ও পশ্চিম
বস্তারে প্রচলিত। উপভাষাগুলো হলো: সোনাপাল, বাঁছাপাই ও ধানোরা।

মুঠাভন: দ্রাবিড় ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। কেরালার কোজিকেদ, কানুর, ইর্নাকুলাম, কোট্টায়াম ও অন্ধ্রপ্রদেশের কিইউ অংশে প্রচলিত।

নাগা পিডজিন (নাগামিস): নাগাল্যান্ডের কোহিমা অঞ্চলে প্রচলিত। নাগারছল (গাগার, নাগারছি) দ্রাবিড় ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও রাজস্থানে প্রচলিত।

নাগা অঙ্গামি (গামি, অঙ্গামিস, মেমানি, মেনর, মগংলো) পশ্চিম নাগাল্যান্ড মণিপুর ও মহারাষ্ট্রে প্রচলিত। এর উপভাষাগুলো হলো: কোহিমা, ঝুনা, কোহেনা, মোনোমা, চাকরোমা (পশ্চিম অঙ্গামি), মিমা, নালি, মোজাম, তেঙ্গিমা, তেনিইদে। নাগা

আও (আওর, পাইমি, হোলিমি, নাংগং, হাটিগোরিয়া, উরি আও) উত্তর-পূর্ব নাগাল্যান্ড ও আসামে প্রচলিত। উপভাষাগুলো হলো মেংসেন, মারি, হাংগি, হোংলি (দুংলি), ছোরচার (ইয়াহাম) ও লোঙ্গলা।

নাগাছ্যাং (মোজুঙ্গ, মাছোংগড়, মোছুমি, ছানগিয়ানগুহ) আসামের আশপাশে এবং মধ্য নাগাল্যান্ডে প্রচলিত।

নাগা ছোকরি (পূর্ব অঙ্গামি, ছাকরিমা, নাগা, ছাকরু): নাগাল্যান্ডে প্রচলিত। (ছ্যাকে স্যাঙ্গ): দক্ষিণ-পূর্ব মণিপুর ও নাগাল্যান্ডে প্রচলিত।

(কাপউই, কুবাই): মণিপুর, নাগাল্যান্ড ও আসামের কিছু অংশে প্রচলিত।

(কেজামি, মেজামা, মেঝা): নাগাল্যান্ডের কোহিমা অঞ্চলে প্রচলিত।

(মিয়ানগান, মাকওয়ার, নোকাও পারা, পেইনও, আওসেত, উইলেম) : নাগাল্যান্ডের টুয়েনস্যাং অঞ্চলে ও মণিপুরে প্রচলিত।

কোলাইয়া (মায়ানখাঙ্গ, খাগগাল, টুকাইমি) উত্তর মণিপুরে প্রচলিত।

(কানাইয়াক, কোনইয়াক) আসামে ও নাগাল্যান্ডের মন অঞ্চলে প্রচলিত। এর উপভাষাগুলোর হলো: আংফঅং, হোপাও, ছাংনু, ছেন, ছিংকাও, ছিংলাং, ছোহা, গেলেকিদোরিয়া, জাকফাং, লংসিং, লোংখাই, লোংমেন, লোংওয়া, মোহুং, তাবলেং, মন, মুলুং, গাঙ্গাছিং, সগং, সানলাঙ্গ, সুনইও, সেনমা, সিমা, সোওয়া, তাবু, তামমুনগিও, সগমন্দু ইয়াংগা, আং, তবুনিং, তালামলিমিউয়া ও তোলোক।

(লিয়াং, লিয়াংমে): নাগাল্যান্ডে প্রচলিত

(ছিঝমা, মিকলাই, সাসি): নাগাল্যান্ডে প্রচলিত।

(মাও, স্পোয়ামা, সপবোমা, সপফোমা) উত্তর-পশ্চিম মণিপুর ও নাগাল্যান্ডে প্রচলিত।

(মারাম): আসাম ও উত্তর মণিপুরে প্রচলিত।

(মারিঙ্গা): মণিপুরে ব্যবহৃত।

নাগা মেলুরি (মেলুরি, মেলুওরি, আনইও) নাগাল্যান্ডে প্রচলিত।

নাগা মোংস্যাং: মণিপুরে প্রচলিত। নাগা মোইওন (মাইওল) নাগাল্যান্ড ও মণিপুরে প্রচলিত।

নাগা ঝিমে: দক্ষিণ-পশ্চিম নাগাল্যান্ডে প্রচলিত।

নাগা নষ্টে (বাদুরিয়া, জয়পুরিয়া, মহাঙ্গিয়া, নামসাঙ্গিয়া) নাগাল্যান্ড, অরুণাচল প্রদেশ ও আসামে প্রচলিত।

নাগা তেনি: মধ্য পশ্চিম নাগাল্যান্ডে প্রচলিত।

নাগা ফোম (তামুল, নাগা, ছিংমেঙ্গু) নাগাল্যান্ডের কিছু অংশে প্রচলিত।

নাগা লোছুরি: দক্ষিণপূর্ব নাগাল্যান্ডে প্রচলিত।

নাগা পৌমেই: মণিপুরে প্রচলিত।

নাগা রেঙ্গমা (বেঙ্গমা মোঝুমি, মোইউ, মন, উনঝা, ঝোং, ঝোনইউ, ইনঝ্যাং): মধ্য পশ্চিম নাগাল্যান্ড, আসাম ও মণিপুরে প্রচলিত। দুটি উপভাষা: কোটেনেনইয়া ও আজোইউ।

নাগা রোঙ্গমেই (মারারোঙ্গমাই, রুং, রুয়াঙ্গমেই, রোংমেই) উত্তর-পশ্চিম মণিপুর, নাগাল্যান্ড, ও আসামে প্রচলিত। নাগা তারাও দক্ষিণ-পূর্ব মণিপুরের কিছু অংশে প্রচলিত। নাগা তেম (তাগে, ত্যাংগা, রাঙ্গপান, ছামছ্যাং) উত্তর নাগাল্যান্ডে ও মিয়ানমারে প্রচলিত। এর উপভাষাগুলো হলো লোংফি, ইয়োগোলি, হ্যাভ, খেমসিং, লুংছ্যাঙ্গ, লুঙ্গরি, মোকলুম, পোনথাই, রোংর‍্যাঙ্গ, তাইপি, তিকহাক, গ্যাঙ্কে (সানগী), স্যাঙ্গছে।

নাগা ওয়ানছো (ওয়ানছো, বানপারা, নাগা, জোবোকা) আসাম, নাগাল্যান্ড, অরুণাচল প্রদেশে প্রচলিত। উপভাষাগুলো হলো: ছাঙ্গনোই, বরমুঠুন, হোরুমুঠুন, কুলুঙ্গ মুঠুন।

নাগা ইমছুংরু: আসাম ও নাগল্যান্ডে প্রচলিত। উপভাষাগুলো হলো ঢিকির, ওয়াই, ছির, মিনির, ফেরেঙ্গরি, ইমছুঙ্গরু।

(কাছ, মেঝামা, স্যাঙ্গারিমা, স্যাঙ্গিমা, আরুঙ্গ, এমপুই, জেম, ঝেমি) মণিপুর, নাগাল্যান্ড, আসামে প্রচলিত। উপভাষা দুটি হলো-পারেন, জাউনা।

নিকোবর নিকোবর, কাটছল, ক্যামেরতা, নগনকাওরি, ত্রিংকাটে ভাষাটির প্রচলন আছে। উপভাষাগুলো হলো কোস্তুল, গ্রেট নিকোবর, লিটিল নিকোবর এবং মিলো।

দোমলা, নিশি, নিসাং, ভাঙ্গি, লেল বার্কো-তিব্বতি ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। আসাম ও অরুণাচল প্রদেশে প্রচলিত। উপভাষা: আকা লেল।

ওঝি (ওঝা): মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রে প্রচলিত।

ওকো জুওই: আন্দামানের কিছু অংশে প্রচলিত।

ওল্লারি: দ্রাবিড় ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। উড়িষ্যার কোরাপুটে প্রচলিত।

অঙ্গে: দক্ষিণ আন্দামানে প্রচলিত।

উড়িষ্যা আদিবাসী: অন্ধ্রপ্রদেশের আরাকু উপত্যকার আদিবাসীদের মধ্যে এবং উড়িষ্যার কিছু অংশে ভাষাটির প্রচলন আছে। উপভাষা হল বাল্মিকি আদিবাসী উড়িষ্যা।

পাহাড়ি কুলু: হিমাচল প্রদেশ ও পাঞ্জাবে প্রচলিত। উপভাষাগুলো হলো: ইনার সিরাগি, কুকুই, সাইনঝি।

পাহাড়ি মাহাসু সিমলা এবং হিমাচল প্রদেশের সোলান অঞ্চলে প্রচলিত। উপভাষাগুলো হলো: নীচ মহাসু পাহাড়ি (কিউনথালি, সির্মাউরি বামাটি, হান্দুরি, বামলিয়ানি) এবং উচ্চ মহাসু পাহাড়ি (সিমলা সিরাজি, গোদেছি, রামপুরি, রহুরুরি।

মান্ডো, মান্ডি: দ্রাবিড় ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। সাঁওতাল পরগনা ও বিহারের রাজমহল এবং পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া, বর্ধমান ও মুর্শিদাবাদে প্রচলিত।

সেন্তিনিলেগ: আন্দামানের সেন্তিনেল ও দক্ষিণ-পূর্ব আন্দামানের কিছু অঞ্চলে ভাষাটি প্রচলিত।

-(মেয়েন্ট মিয়েন): বর্মি-তিব্বতি ভাষাগোষ্ঠীর সদস্য। আসামের লুসাই পাহাড়ে প্রচলিত।

-(মার্পা, ভোটিয়া, জিয়াবা, সেরওয়া) বর্মি-তিব্বতি ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং, সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশে প্রচলিত।

সিনাকি: কাশ্মীরের কিষেণগঙ্গায় দ্রাস এবং গুরাইস অঞ্চলে এ ভাষাটি প্রচলিত। দুটি উপভাষা হলো: দ্রাসি ও গুরেজি।

সোম পেঙ্গ: অস্ট্রো-এশীয় ভাষাগোষ্ঠীর সদস্য। নিকোবরে প্রচলিত।

প্রিন: জম্মু ও কাশ্মীরের জগ্‌-পা বা গ্রিন আদিবাসীদের মাঝে ভাষাটি প্রচলিত আছে।

সুমছো: বর্মি-তিব্বতি ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। হিমাচল প্রদেশের কিন্নাউর অঞ্চলে প্রচলিত।

সিক্কিমিস (সিক্কিম ভোটিয়া, দাংজোক্তা) বর্মি তিব্বতি ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। উত্তর সিকিমে শোনা যায়।

সিন্তে: বর্মি-তিব্বতি ভাষাগোষ্ঠীর সদস্য। দক্ষিণ-পশ্চিম মণিপুরে প্রচলিত।

সোরা (সাবারি, সাভারা, সাওয়ারিয়া) অস্ট্রো-এশীয় ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। উড়িষ্যার গঞ্জম, কোরাপুট, ফুলবনি অঞ্চল এবং অন্ধ্রপ্রদেশের কিছু অঞ্চল, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ ও আসামে প্রচলিত।

সুনাম: হিমাচল প্রদেশের কিন্নাউর অঞ্চলে প্রচলিত। তামারিয়া (তেমোরাল) বিহারের রাঁচি ও সিংভুমে প্রচলিত।

তেরেসসা (তাইল লং) এ ভাষার উপভাষা হলো বোমপোকা। নিকোবর, তেরেসসা ও বোমপোকা দ্বীপে প্রচলিত।

মার্পা, ভোটিয়া, জিয়াকা, সেরওয়া বর্মি-তিব্বতি ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং, সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশে প্রচলিত।

ঠাকুবি : ইন্দো-আর্য ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। মহারাষ্ট্র ও উড়িষ্যায় প্রচলিত। ঠারু, রুক্সা (বুক্সা): ইন্দো-আর্য ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। উত্তরপ্রদেশের নৈনিতাল, বিজনোর ও গারোয়াল অঞ্চলে প্রচলিত। উপভাষা দুটি মাদ্রাপুর ও থারি। টিবেটান (হাসা, ভোটিয়া,

দালাই, পোহবেটিয়ান) তিব্বত, নেপাল, ভুটান এবং ভারতের হিমাচল প্রদেশ, অরুণাচল প্রদেশ, আসাম, দিল্লি ও সিকিমে প্রচলিত। উপভাষাগুলো হলো: কোঙ্গবো, স্পিতি ও স্টোত।

তোদা (তোদি) দ্রাবিড় ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। উড়িষ্যা ও তামিলনাডুতে প্রচলিত। পালিয়ান (পালায়া, সেরামার) দ্রাবিড় ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। তামিলনাড়ু ও কেরালায় প্রচলিত।

পাঙ্গি: হিমাচল প্রদেশের লাহুল স্পিতি এবং ছাম্বা অঞ্চলে প্রচলিত। পারবা: মধ্যপ্রদেশের সাতনা অঞ্চলে প্রচলিত।

-(সিনটেন্স): মেঘালয়ের মাসি ও জৈন্তিয়াতে প্রচলিত। উপভাষা দুটি হলো: জৈনটিয়া ও নোঙ্গটুঙ্গ।

লাহণ্ডা (লাগাণ্ডা, লাহণ্ডি) পাকিস্তানের ৪ কোটি মানুষের মাঝে ও জম্মু, কাশ্মীর, দিল্লি, হরিয়ানাতে ভাষাটির প্রচলন আছে।

-(বুরিগ, বুরিগস্কাত) বর্মি-তিব্বতি ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। উত্তর কাশ্মীরের কার্গিলের ‘বাল্টির’ সঙ্গে মিল পাওয়া যায়।

রাভা (রভা): বর্মি-তিব্বতি ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। উপভাষাগুলি হলো মাইতারিযা, রাঙ্গডানিয়া। আসাম, গারা, নাগাল্যান্ড, পশ্চিমবঙ্গ এবং মেঘালয়ে প্রচলিত।

রাজবংশি (তাজপুরি): ইন্দো-আর্য ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। উপভাষা হলো বাহে। পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি, কুচবিহার, দার্জিলিং এবং নেপাল ও বাংলাদেশে প্রচলন আছে।

রান্ডে: মিয়ানমার ও আসামে প্রচলিত।

রাওয়াঙ্গ: তিব্বতি চৈনিক ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। মিয়ানমার তিব্বতের কিউটঝে আদিবাসীরা ব্যবহার করে।

রেলি: ইন্দো-আর্য ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। অন্ধ্রপ্রদেশ ও উড়িষ্যার কিছু অংশে প্রচলিত।

রিয়াঙ্গ (কাউ ক্র): বর্মি-তিব্বতিয় ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। আসাম, মধ্য ত্রিপুরা, মিজোরাম ও বাংলাদেশে প্রচলন আছে।

সাদ্রি: আসাম, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, উড়িষ্যা, আন্দামান এবং নাগাল্যান্ডে প্রচলিত।

-(সাদ্রি, নাগপুরিয়া, ছোটা নাগপুরি, দিন্ধু কাজি, সোর, মাসিয়া) মধ্যপ্রদেশে প্রচলিত।

-(হোর, হার, সাতার, সান্দাল, সাঙ্গতাল, সাঙ্গথালি, মানথালি, সেনতালি): অস্ট্রিক ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। উপভাষাগুলো হলো: কার্মালি (মোল), কামারি-সান্ত ালি, লোহারি-সান্তালি, মাহালি (মাহলে), মাঁঝি, পাহাড়িয়া। বিহার, উড়িষ্যা, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও

আসামের ৫০ লাখ মানুষ ব্যবহার করে। ভুটান ও বাংলাদেশেও ব্যবহার আছে।

-(মুন্ডানি, দক্ষিণ পাঞ্জাবি, বিয়াসাতি) পাকিস্তানে প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ মানুষ এ ভাষা ব্যবহার করে। পাঞ্জাব, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, দিল্লি ও গুজরাটে এ ভাষার প্রচলন আছে। উপভাষাগুলো হলো: জাফরি, সিরাইকি, হিন্দকি, থালি ও জাটকি।

পাটুনলি ইন্দো-আর্য ভাষা। চেন্নাই, মাদুরাই, থানভাজুর, তিরুচিরাপল্লী, তিরুনেলাভেলি, তামিলনাড়ুর উত্তর আর্কোট ও গালেম শহরে এবং কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশে এ ভাষার ব্যবহার আছে।

স্যাংলা: ভুটান ও অরুণাচল প্রদেশে প্রচলিত।

তুলু : দ্রাবিড় ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। কর্ণাটকের উদিপি ও দক্ষিণ কান্নাড়াতে প্রচলিত।

উল্লাটন (কাটান, কাট্টালান, কোছুভেলাম) দ্রাবিড় ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। কেরালার কিছু অংশে প্রচলিত।

উরালি (ওরাঝি): তামিলনাডুর পেরিয়ার ও নিলগিরি অঞ্চলে প্রচলিত।

ভাডডাল (ফুদাগি): মহারাষ্ট্রে শোনা যায়।

ভাইপেহ: আসাম, মণিপুর ও মেঘালয়ে প্রচলিত।

ভারহাদি নাগপুরি (বেরাই, ধানাগারি, কুমভারি) মহারাষ্ট্রের কিছু অংশে প্রচলিত। উপভাষাগুলো হলো ব্রাহমণি, কুনবি, রায়পুর, ঝারপি, গোদাবরী, কোস্টি (রাঙ্গরি), কুনবান (কোহলি) এবং মাহারি (ধেরি)।

ভারলি (ওয়ারলি): মহারাষ্ট্র ও গুজরাটের কিছু অংশে প্রচলিত।

ওয়াদ্দর: দ্রাবিড় ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকে প্রচলিত। ভিসাবন (মালারকুটি) দ্রাবিড় ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। কেরালার ইর্নাকুলাম, কোট্টয়াম অঞ্চলে প্রচলিত।

ওয়াগদি (ওয়াগরি, ওপাগহলি, মিনা ভিল) রাজস্থানের উদরপুর, দুনগারপুর, বাক্সওয়ারা অঞ্চলে ও গুজরাটের সবরকাও এবং পাঁচমহলে ভাষাটি প্রচলিত।

ইয়ানাদি (ইয়াদি, ইয়ান্দিস) দ্রাবিড় ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু ও উড়িষ্যাতে প্রচলিত।

ইয়েরাভা: দ্রাবিড় ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। কর্ণাটকের কোদাও অঞ্চলে প্রচলিত।

জাপান্সকারি: বর্মি-তিব্বতি ভাষাগোষ্ঠীর ভাষা। কাশ্মীরের বাস্কার ও কার্গিলে প্রচলিত।

জোম: মিয়ানমার এবং ভারতের মণিপুর ও আসামের কিছু অংশে শোনা যায়।

[তথ্যসূত্র: ভাষার মৃত্যু লুপ্ত ও বিপন্ন ভাষার খোঁজ, অভীক গঙ্গোপাধ্যায়]

আরও পড়ুনঃ

Exit mobile version