অভিজ্ঞতা বর্ণনা সংক্রান্ত নির্দেশিকা নিয়ে আজকের আলোচনা। এই পাঠটি “ভাষা ও শিক্ষা” বিভাগের ” নির্মিতি” বিভাগের একটি পাঠ।
অভিজ্ঞতা বর্ণনা সংক্রান্ত নির্দেশিকা | নির্মিতি | ভাষা ও শিক্ষা
অভিজ্ঞতা-বর্ণনা একটি উৎকৃষ্ট শিল্পকর্ম। অভিজ্ঞতার বর্ণনাটি অবশ্যই হৃদয়গ্রাহী রসব্যঞ্জক হতে হবে। কোনো অভিজ্ঞতা বর্ণনার করার আগে মস্তিষ্কে একটি খসড়া চিত্র দাঁড় করিয়ে নিলে ভালো হয়। এর জন্যে যে অভিজ্ঞতাটি বর্ণনা করা হবে তা পুনরায় স্মরণ করা এবং একের পর এক ধারাবাহিক ঘটনাগুলোকে সাজিয়ে লিখতে শুরু করা। গল্পের মতো করে বা একটি গল্প রচনার মতো অভিজ্ঞতার বর্ণনা করা উত্তম।অভিজ্ঞতা’ বর্ণনার কাঠামো অন্যান্য রচনার মতোই হয়ে থাকে।
তাতে সূচনা, মূল অংশ ও উপসংহার থাকে। 8. অভিজ্ঞতার বিষয় বা কাহিনীটিকে এমনভাবে পরিবেশন করতে হবে যাতে পাঠকের মনে বাস্তবের অনুভাবনা এবং নিবিড় রসানুভূতির সৃষ্টি হয়। আত্মোপলব্ধিতে তা যেন প্রত্যক্ষ হয়ে ওঠে, অভিজ্ঞতার বিষয়টি যেন আয়নার মতো তার চোখের সামনে ভেসে ওঠে। তবেই অভিজ্ঞতা’বর্ণনার সার্থকতা। অভিজ্ঞতা ‘বর্ণনায় অপ্রাসঙ্গিক কোনো বিষয়ের অবতারণা করা যাবে না। অভিজ্ঞতা ও ঘটনার বিবরণ যথাসম্ভব ধারাবাহিক হওয়া উচিত। অভিজ্ঞতা’ বর্ণনামূলক রচনার সূচনা অংশে মূল ঘটনার ইঙ্গিত থাকবে।
সেই সঙ্গে ঐ ঘটনা বর্ণনাকারীর জীবনে কী প্রভাব রেখেছে সে সম্পর্কেও মন্তব্য থাকতে পারে। সুনির্দিষ্ট অভিজ্ঞতা জীবনে বিশেষ কোনো প্রভাব ফেলে থাকলে উপসংহার অংশে তার উল্লেখ করা চলে। এরই আলোকে অভিজ্ঞতার একটা পরিণতি শিক্ষা সম্পর্কিত জোরালো ও চমকপ্রদ উপসংহার টেনে লেখা শেষ করা যেতে পারে। * বা 9. নিজের আত্মোপলব্ধিজাত বর্ণনাই অভিজ্ঞতার বর্ণনা। ভাষার পরিমিতিবোধ এবং স্বকীয় স্টাইলে স্বপ্নায়তনের মধ্যে অভিজ্ঞতা-বর্ণনাকে অর্থবহ করে তুলতে হবে।

আরও দেখুন: