অতৎসম শব্দ বাংলা ভাষার যেসকল শব্দ সরাসরি সংস্কৃত ভাষা থেকে গ্রহণ করা হয়েছে, তাদেরকে বলা হয় তৎসম শব্দ। তৎসম শব্দ ছাড়া আর বাকি যেসব শব্দ রয়েছে তাদেরকে বলা হয় অ-তৎসম শব্দ। অ-তৎসম শব্দের বানানে আমরা প্রায়শই ভুল করে থাকি। এই ধরনের কিছু ভুল ও তার সংশোধনী নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এই কোর্সটি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের, পলিটেকনিক ডিসিপ্লিনের, বাংলা (৬৫৭১১) কোর্সের অন্তর্গত।
যে কোর্সটি “ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং”, “ডিপ্লোমা ইন ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং”, “ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং”, “ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং” সহ, পলিটেকনিক এর প্রায় প্রতিটি টেকনোলোজির পাঠ্যক্রমের অংশ। পলিটেকনিক এর সিলেবাস ও উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীর (ক্লাস ১১-১২) সিলেবাস এর অনেক মিল থাকায় এই পাঠগুলো এইচএসসি শিক্ষার্থীদের একই ভাবে সহায়তা করবে। এই ক্লাসটি সহায়তা করবে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতিতে, যেমন বিসিএস প্রস্তুতি, ব্যাংক চাকরির প্রস্তুতি সহ অন্যান্য পরীক্ষার প্রস্তুতিতে।
অতৎসম শব্দ
বাংলা শব্দভাণ্ডারে তৎসম শব্দ ও অ-তৎসম শব্দ কথা দুটি প্রায়শই বিভিন্ন প্রসঙ্গে শোনা যায়। আজকের আলোচনায় আসুন আমরা জেনে নিই অ-তৎসম শব্দ কী এবং বাংলা ভাষায় অ-তৎসম শব্দের গুরুত্ব কোথায়। তৎসম শব্দ বলতে বোঝায় সংস্কৃত শব্দভাণ্ডার থেকে সরাসরি বাংলা ভাষায় গৃহীত শব্দ। সংখ্যার বিচারে তৎসম শব্দগুলি বাংলা শব্দভাণ্ডারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রেণি।
বাংলা শব্দভাণ্ডারে তৎসম শব্দ ছাড়াও রয়েছে তদ্ভব, অর্ধতৎসম, দেশি, বিদেশি, প্রাদেশিক ও সংকর শব্দ। এই সব ধরনের শব্দগুলিকে একত্রে অ-তৎসম শব্দের পর্যায়ে ফেলা হয়। নিচে বাংলা শব্দভাণ্ডারে অ-তৎসম শব্দের গুরুত্ব আলোচনা করলাম।

অ-তৎসম শব্দের গুরুত্ব
অ-তৎসম শব্দগুলি বাংলা ভাষায় বিশেষ একটি কারণে গুরুত্বপূর্ণ। বাংলার নিজস্ব বানানবিধি প্রায় সম্পূর্ণ রূপে মেনে চলা যায় অ-তৎসম শব্দের ক্ষেত্রেই। তৎসম শব্দের বানানে সংস্কৃত বানান বিধি না মেনে উপায় থাকে না। কারণ সংস্কৃত বানান না মানলে তৎসম শব্দের ব্যুৎপত্তি ব্যাখ্যা করা কঠিন হয়ে উঠবে এবং নানা রকম জটিলতা দেখা দেবে। অ-তৎসম শব্দের ক্ষেত্রে এই ধরনের সমস্যা নেই। এই শব্দগুলির সঠিক বাংলা উচ্চারণ অনুযায়ী বানান নির্ধারণ করা যায়।
অতৎসম শব্দ নিয়ে বিস্তারিত :
আরও দেখুন: