মৃত্যু নিয়ে কবিতা – মৃত্যু, হল জীবন প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ অবসান যা অবশেষে সমস্ত জীবন্ত প্রাণীর মধ্যে ঘটে। মৃত্যু বলতে জীবনের সমাপ্তিকে বুঝায়। জীববিজ্ঞানের ভাষায় প্রাণ আছে এমন কোন জৈব পদার্থের (বা জীবের) জীবনের সমাপ্তিকে মৃত্যু বলে।[১] অন্য কথায়, মৃত্যু হচ্ছে এমন একটি অবস্থা (state, condition) যখন সকল শারীরিক কর্মকাণ্ড যেমন শ্বসন, খাদ্য গ্রহণ, পরিচলন, ইত্যাদি থেমে যায়। কোন জীবের মৃত্যু হলে তাকে মৃত বলা হয়। এই মৃত্যু নিয়ে রয়েছে অনেক লেখক এর কবিতা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু কবিতাঃ
Table of Contents
মৃত্যু নিয়ে কবিতা সমূহ
মৃত্যু ইচ্ছা
এমন একটি মনোরম স্থানে মৃত্যু হোক
যেখানে আজরাঈলের কানে বাজবে
মধুর সমুদ্র গর্জন।
নীল আকাশ ও ঝকঝকে হাওয়া
খেলে যাক আজরাঈলের চুলে
সে জানুক, অনুভব করুক যে —
প্রাণ হরণ তার পরম অর্জন।
প্রাণ নিয়ে নীল মেঘে ভেসে
যাবার পথে তার মন খারাপ হোক।
যদিও ফেরার পথ চেনা
তবু সে অচেনা পথে ফেরি করে চলুক
আমার বিদেহী আত্মা।
মৃত্যুর ডাক
মৃত্যুর কাছে প্রতিটি মানুষ বড়ই অসহায় , মৃত্যু যখন কাছে এসে বলে ... পৃথিবীর সব মায়ার বাঁধন ছিন্ন করে , আমার কাছে আয় চলে আয় । তবুও মানুষ ক্ষণিক জীবনের তরে নতুন স্বপ্নগুলো করছে বপন , পরাজিত হয়েও জীবন যুদ্ধে গড়ছে আপন ভুবন । নতুন বছর ফিরে ফিরে আসে , আবার চলেও যায় , সময়ের কাছে তবুও মানুষ হয়ে পড়ে কেন এতো অসহায় ? জীবনটা এতো ক্ষণিকের কেনো কেউ কি বলতে পারো ? তবুও কারো কাছে এর কোনো উত্তর নেই যেনো । এই পৃথিবীর ক্ষণিকের মায়াডোরে , আলো আর আঁধারের মাঝে - কেউ পড়ছেন নামায - কালাম কেউ করছেন হজ্জ , কেউ বা আবার কালো টাকা গুনছেন কেউ বা হচ্ছেন জর্জ । কেউ চালাচ্ছেন উড়োজাহাজ কেউ বা মেশিনগান , কেউ বা আবার কেড়ে নিচ্ছেন কতো অমূল্য প্রাণ । কেউ রাজা হয়ে রাজ্য শাসন করেন অসহায় প্রজারা কেন ধুঁকে ধুঁকে মরেন ? কেউ পড়ে প্রতারণার ফাঁদে একাকী বসে বসে নীরবে কাঁদেন । কতো যাদুকর যাদু দেখিয়ে মানুষের চোখে ধাঁ ধাঁ লাগিয়ে বিখ্যাত হচ্ছেন বিশ্বময় , কতো বিজ্ঞানী নীল আকাশ দিয়ে পাড়ি চাঁদ , গ্রহ , নক্ষত্রকে করছেন জয় , তবুও সব মানুষই একসময় হয়ে পরেন মৃত্যুর কাছে বড়ই অসহায় । মৃত্যু যখন কাছে এসে বলে পৃথিবীর সব মায়ার বাঁধন ছিন্ন করে আমার কাছে আয় চলে আয় । মানুষের জীবন টাতো আশা - নিরাশার দোলায় দোলে কতো রঙ্গিন স্বপ্ন বুনে জীবনের তরে ... সেই স্বপ্নগুলো সময়ের ব্যবধানে নির্মল মৃত্যুর আগমনে , কোথায় যেন হারালো ? সেই হারানো স্বপ্নগুলো থাকে বেদনার স্মৃতি দিয়ে মোড়ানো ।।
কয়েকটা ফাৎরা কবিতা
স্বপ্ন
দরোজা তাকিয়ে থাকে ঘড়িটির দিকে-
এমন তাকায় সে আমাদের শিখে।
প্রেম
আলোতে তাকাও।
— অন্ধকার।
আঁধারে তাকাও।
— অন্ধকার।
বিরহ
মহল্লার সেলুন আর কতদিন বন্ধ থাকবে?
বিবাহ
দুর্গা তোমার একটি হাতে,
আসব আমি অনেক রাতে।
মৃত্যু
প্রচলিত সাবানের একাধিক ব্যবহার শেষ হলে বাঁচি।
অতঃপর একটি নতুন মৃত্যু
অবসাদে পরে রয় দেহ,
যা অজানা তা না হয় অজানাই থাক,
বইয়ের বাইরের জানালা খোলা
ভিতরটায় অমানুষিক এক যন্ত্রণা।
প্রেমিকের ব্যর্থ প্রচেষ্টা শুধু পরে রয়
বয়ে বেড়ায় প্রতিটা খুনি মস্তিষ্ক
শুধু এক চিৎকার হাহাকার ভেসে বেড়ায় বাতাসে,
খনিকের যন্ত্রণায় খুন হয় মন
শুধুই অশান্তি, শুধুই অশান্তি।
কেউ কারো নয়, বারংবার শোনা যায় চিৎকার
কোন জীবিত কবরের পাশে,
কে এই জীবন্ত কবর? কেন এই হাহাকার?
কেউ খোজে না তার কারণ
শুধুই যন্ত্রণা, শুধুই যন্ত্রণা।
প্রতিকারে যায় না ছুটে কেউ
দেয়না ভালোবাসা, বৃথায় সান্ত্বনা, বৃথায় বেঁচে থাকা
অতঃপর একটি নতুন মৃত্যু।
মৃত্যুর আগে তুমি কাজল পরেছিলে
তুমি গঙ্গার একটা অংশ ছেড়ে চলে যাচ্ছ
কিন্তু তোমার আঁচলে নদীর আত্মজীবনী লেখা রইল ।
বিচানার নীচ থেকে কয়েক লক্ষ কর্কট
বিছানা-সমেত তোমাকে তুলে নিয়ে চলেছে মহাকাশযানে ।
ম়ৃত্যুর কয়েক মিনিট আগে তাও তুমি কাজল পড়েছ,
কাজল ও কান্নার মাঝখানে তোমার মুখে এক চামচ জল
হ্যাঁ, আমি এক চামচ জল হয়ে
এক চামচ অন্তর্জলী হয়ে, এক চামচ অঞ্জলি হয়ে,
তোমার ভেতরে একটা পূর্ণিমায় ভেসে যাওয়া
বিমানবন্দরে আমি বসে থাকতে চেয়েছিলাম ।
আমি বলেছিলাম এটা বিমানবন্দর নয়
এটা একটা গ্রাম, লোকে বিরহী বলে ডাকে
এখানেই আমরা জীবনে প্রথম চুম্বন করেচিলাম
তুমি ছিলে চাবুকের মত তেজি এবং সটান
বেতস পাতার মতো ফার্স্ট ইয়ার এবং সেনসুয়াল কাঠবেড়ালি
বৃষ্টিতে ভিজলে তোমাকে আন্তিগোনের মতো দেখাত ।
আমি ছিলাম গাঙচিল,
দু’লাইন কাফকা পড়া অসংগঠিত আঁতেল ।
তুমি যমুনার একটা অংশ চেড়ে চলে যাচ্ছ
ডাক্তার তোমার হাতের শিরা খুঁজে পায়নি ।
দোষ তোমার নয়, ডাক্তারের
এতবার তোমার শরীর ফুটো করেছিল ওরা
ইরাকের মৃত্তিকাও অতবার বার ফুটো করেনি আমেরিকা
কিন্তু তোমার ধমনী আসলে একটা নদীর আত্মজীবনী
তুমি তিস্তার একটা ঢেউ ছেড়ে চলে যাচ্ছ
আমার মাছরাঙা সেই ঢেউয়ের ভেতর আটকে গেছে ।
সেই মাছরাঙার ঠোঁটে তোমার সংসার
বোরো যেখানে নিউক্লিয়ার ফিজিক্স না পড়ে পড়ছে সাতটি তারার
তিমির ।
কিন্তু আমি নদীর পলিমাটি মেখে , হারে রে রে রে রে
একদিন শহরে ঢুকে পড়েছিলাম
কার্জন পার্কে শুয়ে কালপুরুষের সঙ্গে তর্ক করেছি
এসে দাঁড়ালেন বাত্সায়ন এবং নিৎসে
কালপুরুষ বলল, নাও, দুই মহান খচ্চর এসে গেছে,
যৌনতা এবং মৃত্যু
ওরা দুই সহোদর, কে তোমাকে বেছে নেয় সেটাই তোমার
সেমিফাইনাল
ডব্লু, ডব্লু, ডব্লু ড্যাশ ডটকম ।
রাত দুটোর এ্যাম্বুলেন্সের ভেতর বসে আমি তোমার
হাত দুটি ধরে বলেছিলাম, বলো কোথায় কষ্ট ?
তুমি বলেছিলে, কৃষ্ণচূড়ায়, পারমানবিক পলিমাটিতে
তোমার অসংখ্য জুঁইফিলে জ্বালা করছে ।
হাত থেকে একটানে চ্যানেল খুলে ফেলে বললে,
আমাকে বাঁচাও, ভালবাসা, আমি বাঁচতে চাই ।
পৃথিবীতে আমি একটু শিউলির গন্ধ পেতে পারি ?
আমার নাক থেকে রাইস টিউব সরিয়ে দাও ।
আমি বললাম এটা ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট,
এখানে কোনও শিউলি গাছ নেই ।
তুমি বললে, ছেলেটা কোথায় গেল, কার সঙ্গে গেল ?
ওকে একটু দেখো,রাত করে বাড়ি ফিরো না ।
নার্সিংহোমের বারান্দায় বলে আমি একা, একেবারে একা
‘দ্য এম্পারার অফ অল ম্যালাডিজ’ পড়ছিলাম ।
কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাক্তার, তুমি ঠিক বলেছ
অন্ধকারে দাবা খেলছেন সারা পৃথিবীর অনকোলজিস্ট
উল্টোদিকে এ্যান্টিচেম্বার ড্রাগ-মাফিয়ারা বসে আছে
মানুষের গভীরতম দুঃখ যাদের ব্যবসা ।
তুমি আমাকে বারবার বলতে সিগারেট খেও না
আমি উড়িয়ে দিয়ে বলতাম, আমরা সবাই চিমনি সুইপার
আমরা কার্বনের সঙ্গে প্রণয় আর প্রণয়ের সঙ্গে
মেটাস্টেসিস বহন করে চলেছি ।
কে একদিন রাস্তা থেকে ধরাধরি করে বাড়ি নিয়ে আসবে
তার আগে আজ, এখনই, আমি প্রজাপতিদের সঙ্গে দৌড়তে চাই,
আজ, এখনই মিলন করতে চাই, আশিরনখ মিলন
দেবতা না চড়ুই, কে দেখে ফেলল, কিছু যায় আসে না ।
মনে নেই আমরা একবার ভাঙা মসজিদে ঢুকেছিলাম
প্রচুর সাপের ভিতর আল্লা পা ছড়িয়ে বসে কাঁদছিলেন ।
বললেন, আয় পৃথিবীতে যাদের কোনও জায়গা নেই
আমি তাদের জুন্নত এবং জাহানারার মাঝখানে
এখটা বিকেল বাঁচিয়ে রেখেছি ভালবাসার জন্য
গাছ থেকে ছিড়ে আনা আপেলে কামড় দিবি বলে ।
তুমি তমসার একটা অংশ ছেড়ে চলে যাচ্ছ
কিন্তু তোমার আঁচল ধরে টানছে ছেলের উচ্চমাধ্যমিক ।
ছেলে বলছে, মা, আমাকে কুজ্ঝটিকা বানান বলে দিয়ে যাও
আইসিইউ-তে কেউ কুজ্ঝটিকা বানান বলতে পারে না ।
ছেলের বাবা বসে আছে, মেডিক্যাল বোর্ড বসেছে বারোতলায়
যেন হাট বসেছে বক্সিগঞ্জে, পদ্মাপারে ।
কে যেন বলল, আরে বেরিয়ে আসুন তো ফার্নেস থেকে,
এরা পিঁপড়ে ধরতে পারে না, কর্কট ধরবে ?
একটা পানকৌড়ি ডুব দিচ্ছে গগনবাবুর পুকুরে
কেমোথেরাপির পর তোমাকে গোয়ায় নিয়ে গিয়েছিলাম ।
একটা কোঙ্কনি কবিকে বললে, ‘পানকৌড়ি দেখাও’,
একটা পর্তুগিজ গ্রামে গিয়ে কী দেখেছিলে আমাকে বলনি ।
তুমি জলঢাকার একটা অংশ ছেড়ে চলে যাচ্ছ
যে বড় বড় টিপ পরতে তারা গাইছে, আমায় মুক্তি আলোয় আলোয় ।
তুমি সুবর্ণরেখার একটা অংশ ছেড়ে চলে যাচ্ছ
তোমার লিপস্টিক বলছে, আমাদের নিয়ে চলো আয়না ।
তুমি রোরো নামে একটা চাইবাসার নদী ছেড়ে চলে যাচ্ছ
সে বলছে, মা দাঁড়াও, স্কুল থেকে এক্ষিনি মার্কশিট তুলে আসছি ।
তুমি ভল্ গা নামে একটা নদীর অংশ ছেড়ে চলে যাচ্ছ
পারস্যের রানি আতোসা তোমায় ডাকছে
পৃথিবীর সবচেয়ে গভীর স্তন ছিল রানি আতোসার
কাটা হয়েছিল খড়গ দিয়ে, কেটেছিল এক গ্রিক ক্রিতদাস ।
ইস্তানবুলের নদী বসফরাস ছেড়ে তুমি চলে যাচ্ছ
তোমার এক পা ইউরোপ, এক পা এশিয়া ।
তুমি জিপসিদের হাটে তেজপাতা-মোড়ানো ওষুধ আনতে চলেছ
ইহুদি মেয়েরা তোমাকে নিয়ে গুহায় ঢুকে গেল ।
জিপসিরাই পৃথিবীতে প্রথম ব্যথার ওষুধ কুড়িয়ে পেয়েছে
তোমার বিশ্বাস ছিল শেষ ওষুধটাও ওরাই কুড়িয়ে আনবে ।
শেষ একটা ওষুধের জন্য গোটা মানবজাতি দাঁড়িয়ে আছে
য়ে সেটা কুড়িয়ে আনবে, সে বলবে, দাঁড়াও
আমি একটা আগুনের মধ্যে দিয়ে আসছি
বাবাকে বারণ করো হাসপাতালে বসে রাত জাগতে ।
আমাকে য়দি কোনও ম্যাটাডোর বা মার্সিডিজ ধাক্কা না মারে
ভোর হওয়ার আগে আমি যে করে হোক শহরে ঢুকব ।
এমন একটা অসুখ যার কোনও ‘আমরা ওরা’ নেই
ভিখিরি এবং প্রেসিডেন্টকে একই ড্রাগ নিতে হবে ।
ডাক্তার, ভাল যদি নাই পারোষ এত সুঁচ ফোটালে কেন ?
সুঁচগুলো একবার নিজের পশ্চাতে ফুটিয়ে দেখলে হত না ?
তুমি গঙ্গার একটা অংশ ছেড়ে চলে যাচ্ছ, সত্যি চলে যাচ্ছ—
রোরো তোমার আঁচল ধরে আছে, আমি তোমার রোদ্দুর ।
মৃত্যুহীনা
মৃত্যুহীনাকে কাঁধে নিয়ে মরনশীল আমরা দাঁড়িয়ে আছি এ মদ বড় আন্তরিকঃ বারবার পাত্রটিকে শুধু চুম্বন করেছি, আমাকে বিমূর্ত দেখে বাগানের সব ফুল তুলে ভরাও সাজি এই মদে মাতাল হয়ে স্বাধীনতার কথা ভুলে গেছে কয়েদী আমার ভালবাসা পাবার পরই তুই হয়েছিস আমার বিবাদী, যন্ত্রনার মূর্হূতে শরীরের পোকাগুলি বলে, ‘আমরা তোমাকেই ভালবাসি’ পরজীবীর সুখ গোপন করতে মুখের আড়ালে লুকিয়ে রাখিস হাসি- পশুদেরই শুধু ধর্ম আছে আমরা ধর্মহীন বলে নিজের নগ্নতাকে ঢাকি ! মৃত্যুর ভাবে এই মদ মাতাল করে আমাকে- রাত্রির অরন্য এই হৃদয় জালিয়াৎ শুধু হেসে গেলি কালপুরুষ থেকে সপ্তর্ষিমণ্ডলে যাবার সময়, আতুর বলে জানি ভালবাসার সময় কোষে কোষে ভয়ের জন্ম হয় কানা হয়েও গুপ্তচর দুই হাতের সম্মোহনে আমাকেই খুঁজে পায় দুঃখ জয় করতে এসে এক ষোড়শীর পেটে দুঃখকেই প্রোথিত করে যেতে চায় রক্তের স্বাদ নোনতা নয়, মিষ্টি বলে পৃথিবী আরও রক্ত চায়, যে দেশে নবান্ন, সেখানেই গাছ আর পাখির একসাথে বন্ধন মুক্তি হয় ! এ রাত্রির শেষ নেই, ছোটলোকের দল শুধু মদটুকু হাতে নিয়ে এখনও বসে আছি তোকে যে নামিয়ে দেব সে উপায় নেই- তুই জীবনের এত কাছাকাছি- নিজের খাবারটুকু তুলে নিয়ে অন্যের খাবার নষ্ট করা, মাছির দ্বৈতজ্ঞান আমরা পেয়েছি বিষে বিষক্ষয়- এই বিশৃঙ্খলার মধ্যে আরও বিশৃঙ্খলা হয়ে গেছি ঘৃনাকে গ্রহনযোগ্য করার জন্য আমাদের মুখে বসে পুরীষের মাছি চাঁদের আকাশে সূর্য ওঠায়, বরফ গলে, রক্তে ঢুকে পড়ে নদী অনুচ্চারিত চিৎকার হিসাবেই থেকে যাব আমরা যত অপরাধী! জীবনের মানচিত্র বুকে আঁকা আছে, শয়তান তাই তোর এত হাসি, চৌম্বকক্ষেত্রটির অন্ধকার অনুসরন করে তুই উড়ে চলে যা পাখি, মৃত্যুহীনাকে কাঁধে নিয়ে মরনশীল আমরা এখনও দাঁড়িয়ে আছি অস্ত্রের স্বপ্ন দেখো বলে সহবাস কালে অস্ত্রের অনুভূতি পাও তুমি, আমার এক অংশে এক অবধূত আছে অন্য অংশে আছে তার যোগিনী!
আরও দেখুনঃ
- শব কবিতা | জীবনানন্দ দাশের শ্রেষ্ঠ কবিতা | জীবনানন্দ দাশ
- বুনো হাঁস কবিতা | জীবনানন্দ দাশের শ্রেষ্ঠ কবিতা | জীবনানন্দ দাশ
- জীবনানন্দ দাশের ঝরা পালক কাব্যগ্রন্থ
- বেলা অবেলা কালবেলা কাব্যগ্রন্থ ( ১৯৬১ ) – জীবনানন্দ দাশ
- অন্য এক প্রেমিককে কবিতা | জীবনানন্দ দাশের,শ্রেষ্ঠ কবিতা | জীবনানন্দ দাশ
- কবি কাহিনী (১৮৭৮) | কাব্যগ্রন্থ | কবিতা সূচি | পর্যায় : সূচনা (১৮৭৮ – ১৮৮১) | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর